হাইকোর্টের আদেশে মাওলানা সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জন জামিন পেয়েছেন
টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জন আগাম জামিন পেয়েছেন। আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত জামিন আবেদনকারী ২৩ জনের পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শাহীন হাওলাদার, অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী শাহীন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় জামিন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং তাদের বিরুদ্ধে চাক্ষুষ সাক্ষীও পাওয়া যায়নি। তাছাড়া নিহত বা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এই মামলাটি করেননি, এমন যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে আদালতে।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন। এই মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মাওলানা সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তাঁর ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূরসহ আরও অনেক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি আসামি হয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সংঘর্ষের সময় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী আমিনুল ইসলাম, ফরিদপুরের ৬০ বছর বয়সী বেলাল হোসেন এবং বগুড়ার ৬০ বছর বয়সী তাজুল ইসলাম নিহত হন।
মামলার আসামিদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ ও গণ্যমান্য ব্যক্তি, যাদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও রয়েছেন। আদালত জামিন শুনানিতে বলেন, তাদের পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "এভাবে সকলকে মিলেমিশে তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম চালানোর তাগিদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।"
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে এই মামলায় মাওলানা সাদ অনুসারী ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকশ’ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী এস এম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার গাইটাল গ্রামের বাসিন্দা।
এই মামলায় সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি মামলার এজাহারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
হাইকোর্টের আদেশে মাওলানা সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জন জামিন পেয়েছেন
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ ২৩ জন আগাম জামিন পেয়েছেন। আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত জামিন আবেদনকারী ২৩ জনের পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছে। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শাহীন হাওলাদার, অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী শাহীন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় জামিন আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং তাদের বিরুদ্ধে চাক্ষুষ সাক্ষীও পাওয়া যায়নি। তাছাড়া নিহত বা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এই মামলাটি করেননি, এমন যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে আদালতে।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন। এই মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই ঘটনায় মাওলানা সাদ অনুসারীদের প্রধান মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তাঁর ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূরসহ আরও অনেক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি আসামি হয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সংঘর্ষের সময় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী আমিনুল ইসলাম, ফরিদপুরের ৬০ বছর বয়সী বেলাল হোসেন এবং বগুড়ার ৬০ বছর বয়সী তাজুল ইসলাম নিহত হন।
মামলার আসামিদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ ও গণ্যমান্য ব্যক্তি, যাদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও রয়েছেন। আদালত জামিন শুনানিতে বলেন, তাদের পুলিশি প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "এভাবে সকলকে মিলেমিশে তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম চালানোর তাগিদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।"
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে এই মামলায় মাওলানা সাদ অনুসারী ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকশ’ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী এস এম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার গাইটাল গ্রামের বাসিন্দা।
এই মামলায় সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি মামলার এজাহারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।