ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলা থেকে ডালিয়া আক্তার (৩২) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। এ সময় ওই নারীর কাছে চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো ছিল। তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ ক্যাম্পে আটক রাখা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক আরমান জানান, তার বাসা কেরানীগঞ্জে। গত এক বছর আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। এরপর এক বছর ধরে বার্ন ইউনিটে ডা. সালমা আমানের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তখন থেকেই ডালিয়া আমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করত এবং হাসপাতালেও আসত। সে আমাদের দুসম্পর্কের আত্মীয়। সে নিজে আমাদের কাছেও ডা. পরিচয় দেয়। আজকে জানলাম সে ডাক্তার না। আরমান বলেন, সকালে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে আসি। সাথে ডালিয়াও ছিল। তার চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথপোকথনের সময় ভুলভাল ইংরেজি বলছিল ডালিয়া। তখন কর্তব্যরত ওই চিকিৎসকই তাকে ভুয়া চিকিৎসক বলে সনাক্ত করেন।
বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এপ্রোন পড়া ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুনীকে আটক করা হয়েছে। সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলেও আটক হওয়ার পর কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার কাছ থেকে কোন ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে, সে প্রফেশনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দানকারী ডালিয়া নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছি। শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে।
বার্ন ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ওই নারী চিকিৎসককে আটক করে প্রথমে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় খবর দিলে তারা এসে ওই নারীকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটকের খবর পাই আমরা। পরে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প থেকে ওই ভুয়া নারী চিকিৎসককে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় বার্ন ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি।
এরআগে, গত ১৭ নভেম্বর হাসপাতালটি থেকে আটক করা হয় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসক। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আটক হয় আরেক প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক টিকটকার মুনিয়া খান রোজা।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলা থেকে ডালিয়া আক্তার (৩২) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। এ সময় ওই নারীর কাছে চিকিৎসকদের অ্যাপ্রোন ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলানো ছিল। তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ ক্যাম্পে আটক রাখা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক আরমান জানান, তার বাসা কেরানীগঞ্জে। গত এক বছর আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। এরপর এক বছর ধরে বার্ন ইউনিটে ডা. সালমা আমানের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তখন থেকেই ডালিয়া আমাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করত এবং হাসপাতালেও আসত। সে আমাদের দুসম্পর্কের আত্মীয়। সে নিজে আমাদের কাছেও ডা. পরিচয় দেয়। আজকে জানলাম সে ডাক্তার না। আরমান বলেন, সকালে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে আসি। সাথে ডালিয়াও ছিল। তার চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথপোকথনের সময় ভুলভাল ইংরেজি বলছিল ডালিয়া। তখন কর্তব্যরত ওই চিকিৎসকই তাকে ভুয়া চিকিৎসক বলে সনাক্ত করেন।
বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এপ্রোন পড়া ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুনীকে আটক করা হয়েছে। সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলেও আটক হওয়ার পর কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার কাছ থেকে কোন ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে, সে প্রফেশনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দানকারী ডালিয়া নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছি। শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে।
বার্ন ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা ওই নারী চিকিৎসককে আটক করে প্রথমে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় খবর দিলে তারা এসে ওই নারীকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটকের খবর পাই আমরা। পরে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প থেকে ওই ভুয়া নারী চিকিৎসককে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় বার্ন ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি।
এরআগে, গত ১৭ নভেম্বর হাসপাতালটি থেকে আটক করা হয় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসক। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আটক হয় আরেক প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক টিকটকার মুনিয়া খান রোজা।