ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী এবং কুষ্টিয়ার এক সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ (চুমকি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া, তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
দুদকের তথ্যমতে, কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান ৪ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৩৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।
মামলায় তার স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দুদক কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলাগুলো প্রমাণ করে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে, এই অভিযোগগুলো বিচারাধীন থেকে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী এবং কুষ্টিয়ার এক সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ (চুমকি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া, তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
দুদকের তথ্যমতে, কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান ৪ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৩৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।
মামলায় তার স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দুদক কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলাগুলো প্রমাণ করে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে, এই অভিযোগগুলো বিচারাধীন থেকে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।