alt

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদে সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী এবং কুষ্টিয়ার এক সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ (চুমকি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া, তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।

দুদকের তথ্যমতে, কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান ৪ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৩৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।

মামলায় তার স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দুদক কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলাগুলো প্রমাণ করে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে, এই অভিযোগগুলো বিচারাধীন থেকে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

ছবি

পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলা: আনিসুলকে দেখানো হলো গ্রেপ্তার, পাভেল রিমান্ডে

ছবি

দুর্নীতির মামলায় মোরশেদ আলমের জামিন নাকচ

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ পাওয়া গেছে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস, ফরিদপুরের ভাঙ্গা রণক্ষেত্র

ছবি

চকরিয়ায় থানা হাজতে দুজর্য়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ছবি

বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতচক্রের তিনসদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

সাদা পাথর লুট: সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত বললো ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ৫ গুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ, ১৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ভোলায় মুভি দেখে বাবা খুন করল ছেলে

ছবি

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইয়ার্ডে বাংলাদেশী দুই টাকার নতুন নোট জব্দ

ছবি

বনানীতে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ছবি

প্রতারণার নতুন ফাঁদ: ফেইসবুকে ‘টু-লেট’ বিজ্ঞাপন, বাসা নিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রকে হেনস্থা

ছবি

স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ব্লগারকে’ কুপিয়ে বাইক ও ফোন ছিনতাই

ছবি

টঙ্গীতে দুপুরে ‘চোর সন্দেহে’ যুবক আটক, রাতে মৃত্যু

ছবি

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি’, তিনজন কারাগারে

ছবি

একদিনে সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮০৯

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তিনজন কারাগারে

ছবি

‘সন্দেহজনক’ লেনদেন, সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ: ২ যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ২ জনের সাক্ষ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা

ছবি

ফ্ল্যাট বরাদ্দে ‘অনিয়ম’: সচিব পদমর্যাদার সাবেক ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ছবি

‘অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতি’ বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

ছবি

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: ভারতে থাকা হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত সেই ঠিকাদার মিঠু গ্রেপ্তার

ছবি

ইমুতে প্রেম ভৈরবে এনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ছবি

স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মিঠু গ্রেপ্তার

ছবি

রাজধানীতে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত

ছবি

টাকা না থাকা তো কোনো অপরাধ নয়: সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল

ছবি

অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রকে উদ্ধার

ছবি

বিআইএর সহ-সভাপতি সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা

ছবি

সাবেক সচিব ভুঁইয়া শফিকুল ইসলাম কারাগারে

tab

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদে সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী এবং কুষ্টিয়ার এক সাবেক সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের পক্ষ থেকে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ (চুমকি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া, তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ১৭৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।

দুদকের তথ্যমতে, কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান ৪ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৩৬১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৫ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।

মামলায় তার স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকীকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দুদক কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলাগুলো প্রমাণ করে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে, এই অভিযোগগুলো বিচারাধীন থেকে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

back to top