বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার এক মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর হাকিম পার্থ ভদ্র এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় রাসেল ও শামীমা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের ‘পলাতক’ দেখিয়ে বিচারক সাজা সংক্রান্ত পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌসিফ মাহমুদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া ইভ্যালি অনলাইনে চটকদার অফারে গাড়ি, মোটরসাইকেল, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। অনেক ক্রেতা বেশি দামে বিক্রির আশায় আগাম টাকা দিয়ে পণ্য অর্ডার করলেও মাসের পর মাস অপেক্ষার পরও কেউ কেউ পণ্য পাননি, টাকা ফেরতও আসেনি।
একপর্যায়ে ইভ্যালির কাছে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা দাঁড়ায় ৫৪৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মাঝামাঝি ইভ্যালি ও অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তৌফিক মাহমুদ নামে এক গ্রাহক আদালতে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ২০ মার্চ ইভ্যালি থেকে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল অর্ডার দিয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে আরও দুটি বাইক অর্ডার দিয়ে মোট ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
কিন্তু ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইভ্যালি তা দিতে ব্যর্থ হয়। এরপর তৌফিক ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে দুটি চেক দেওয়া হয়। তবে ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কর্তৃপক্ষ চেক জমা না দেওয়ার অনুরোধ জানায়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি লিগ্যাল নোটিস পাঠান এবং পরে আদালতে মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। পরে বিভিন্ন মামলায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
পরে ইভ্যালির পুনর্গঠন ও হিসাব-নিকাশের জন্য শামীমা নাসরিনকে এক বছর পর জামিন দেওয়া হয়, এরপর রাসেলও জামিন পান।
২০২৪ সালের ২ জুন চেক প্রতারণার আরেক মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালত রাসেল ও শামীমাকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
সর্বশেষ রায়ে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন তাদের আটকের জন্য পদক্ষেপ নেবে। তবে আসামিপক্ষ আপিল করবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার এক মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর হাকিম পার্থ ভদ্র এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় রাসেল ও শামীমা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের ‘পলাতক’ দেখিয়ে বিচারক সাজা সংক্রান্ত পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌসিফ মাহমুদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া ইভ্যালি অনলাইনে চটকদার অফারে গাড়ি, মোটরসাইকেল, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। অনেক ক্রেতা বেশি দামে বিক্রির আশায় আগাম টাকা দিয়ে পণ্য অর্ডার করলেও মাসের পর মাস অপেক্ষার পরও কেউ কেউ পণ্য পাননি, টাকা ফেরতও আসেনি।
একপর্যায়ে ইভ্যালির কাছে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা দাঁড়ায় ৫৪৩ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মাঝামাঝি ইভ্যালি ও অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তৌফিক মাহমুদ নামে এক গ্রাহক আদালতে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ২০ মার্চ ইভ্যালি থেকে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল অর্ডার দিয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে আরও দুটি বাইক অর্ডার দিয়ে মোট ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
কিন্তু ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইভ্যালি তা দিতে ব্যর্থ হয়। এরপর তৌফিক ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে দুটি চেক দেওয়া হয়। তবে ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কর্তৃপক্ষ চেক জমা না দেওয়ার অনুরোধ জানায়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি লিগ্যাল নোটিস পাঠান এবং পরে আদালতে মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। পরে বিভিন্ন মামলায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
পরে ইভ্যালির পুনর্গঠন ও হিসাব-নিকাশের জন্য শামীমা নাসরিনকে এক বছর পর জামিন দেওয়া হয়, এরপর রাসেলও জামিন পান।
২০২৪ সালের ২ জুন চেক প্রতারণার আরেক মামলায় চট্টগ্রামের একটি আদালত রাসেল ও শামীমাকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
সর্বশেষ রায়ে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন তাদের আটকের জন্য পদক্ষেপ নেবে। তবে আসামিপক্ষ আপিল করবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।