দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, সম্পত্তির বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি টাকা
আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), তার পরিবার ও কোম্পানির নামে থাকা ১৭৫ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন জানিয়েছেন, দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
কোন সম্পত্তি ক্রোকের আওতায় এসেছে?
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি ও পরিবারের ব্যক্তিগত নামে থাকা বিভিন্ন জমি ক্রোক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জমি।
ক্রোক করা সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিম্নরূপ:
চট্টগ্রামের জমি
১৮ নম্বর ওয়ার্ড:
০.১৬৩৭ একর জমি (বাজারমূল্য: ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা)
০.১৩৫০ একর জমি (বাজারমূল্য: ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা)
১ নম্বর পাথরঘাটা ইউনিয়ন:
৮.৫০ শতাংশ জমি (বাজারমূল্য: ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা)
০.৯০ একর জমি (বাজারমূল্য: ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা)
১.২০ একর জমি (বাজারমূল্য: ৬০ লাখ টাকা)
এস আলম কোল্ড স্টিল লিমিটেডের জমি (পটিয়া, চট্টগ্রাম)
৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৩০ হাজার টাকা)
শিকলবাহা ইউনিয়নে ৪০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২১ লাখ টাকা)
২৮ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৪ লাখ টাকা)
৪১.৫০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২১ লাখ টাকা)
২৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৩ লাখ টাকা)
৩২ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৬ লাখ টাকা)
৮০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
নারায়ণগঞ্জের স্যাভোলা অয়েল লিমিটেডের জমি:
১.৩৮৫০ একর জমি ও সেমি পাকা ঘর (বাজারমূল্য: ১২ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা)
২ একর জমি (বাজারমূল্য: ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা)
৩৬.৩৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১ কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা)
ডেল্টা অয়েল লিমিটেডের জমি
১২১.৫১ শতক জমি ও পাকাঘর (বাজারমূল্য: ৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা)
১৭ শতক জমি ও সেমিপাকা ঘর (বাজারমূল্য: ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
৩৬.৫০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৭৩ লাখ টাকা)
সানম্যান টেক্সটাইল মিলসের জমি (সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম)
১৮৯ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা)
১৪৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা)
এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেডের জমি
শিকলবাহা, চট্টগ্রাম: ৪৩ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)
৯৪৩ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৮২ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা)
ঢাকা: গুলশানে ১০ কাঠা জমি (বাজারমূল্য: ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা)
তেজতুরি বাজারে ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইমপ্লেক্সের ৯০.৮৮ শতক জমি ও একতলা ভবন (বাজারমূল্য: ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)
ধানমন্ডিতে ব্লাইন্ড লিমিটেডের ১ বিঘা জমি এস আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আগের আদেশ
এর আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে এস আলম ও তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন:
১. সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন
২. তার দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম
৩. তার ছয় ভাই:
মোরশেদুল আলম
সহিদুল আলম
রাশেদুল আলম
আবদুস সামাদ
ওসমান গণি
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান
৪. আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস
৫. ওসমান গণির স্ত্রী ফারজানা বেগম
৬. মিশকাত আহমেদ নামে এক ব্যক্তি
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না।
দুদক জানিয়েছে, এস আলম, তার পরিবার ও তাদের বিভিন্ন কোম্পানির নামে থাকা এই সম্পদের মোট বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
দুদক এই জমিগুলো অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বলে সন্দেহ করছে এবং তদন্তের স্বার্থে এগুলো ক্রোকের আদেশ চেয়েছিল। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে এস আলম গ্রুপের জমিগুলো ক্রোকের নির্দেশ দেন।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হতে পারে।
এস আলম ও তার পরিবার এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারে।
দুদক এই সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখবে এবং যদি অবৈধ আয় প্রমাণিত হয়, তাহলে আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারে।
এছাড়া, এস আলম গ্রুপের অন্যান্য সম্পদ নিয়েও তদন্ত চলছে।
এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এই ক্রোক আদেশ এস আলম গ্রুপের জন্য বড় একটি ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। **তদন্তের পরবর্তী ফলাফল এবং আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে, এই সম্পদ চূড়ান্তভাবে বাজেয়
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, সম্পত্তির বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), তার পরিবার ও কোম্পানির নামে থাকা ১৭৫ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন জানিয়েছেন, দুদকের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
কোন সম্পত্তি ক্রোকের আওতায় এসেছে?
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানি ও পরিবারের ব্যক্তিগত নামে থাকা বিভিন্ন জমি ক্রোক করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জমি।
ক্রোক করা সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিম্নরূপ:
চট্টগ্রামের জমি
১৮ নম্বর ওয়ার্ড:
০.১৬৩৭ একর জমি (বাজারমূল্য: ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা)
০.১৩৫০ একর জমি (বাজারমূল্য: ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা)
১ নম্বর পাথরঘাটা ইউনিয়ন:
৮.৫০ শতাংশ জমি (বাজারমূল্য: ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা)
০.৯০ একর জমি (বাজারমূল্য: ৩৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা)
১.২০ একর জমি (বাজারমূল্য: ৬০ লাখ টাকা)
এস আলম কোল্ড স্টিল লিমিটেডের জমি (পটিয়া, চট্টগ্রাম)
৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৩০ হাজার টাকা)
শিকলবাহা ইউনিয়নে ৪০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২১ লাখ টাকা)
২৮ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৪ লাখ টাকা)
৪১.৫০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২১ লাখ টাকা)
২৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৩ লাখ টাকা)
৩২ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৬ লাখ টাকা)
৮০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
নারায়ণগঞ্জের স্যাভোলা অয়েল লিমিটেডের জমি:
১.৩৮৫০ একর জমি ও সেমি পাকা ঘর (বাজারমূল্য: ১২ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা)
২ একর জমি (বাজারমূল্য: ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা)
৩৬.৩৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১ কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার টাকা)
ডেল্টা অয়েল লিমিটেডের জমি
১২১.৫১ শতক জমি ও পাকাঘর (বাজারমূল্য: ৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা)
১৭ শতক জমি ও সেমিপাকা ঘর (বাজারমূল্য: ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা)
৩৬.৫০ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৭৩ লাখ টাকা)
সানম্যান টেক্সটাইল মিলসের জমি (সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম)
১৮৯ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা)
১৪৬ শতক জমি (বাজারমূল্য: ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা)
এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেডের জমি
শিকলবাহা, চট্টগ্রাম: ৪৩ শতক জমি (বাজারমূল্য: ১৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)
৯৪৩ শতক জমি (বাজারমূল্য: ৮২ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা)
ঢাকা: গুলশানে ১০ কাঠা জমি (বাজারমূল্য: ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা)
তেজতুরি বাজারে ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইমপ্লেক্সের ৯০.৮৮ শতক জমি ও একতলা ভবন (বাজারমূল্য: ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা)
ধানমন্ডিতে ব্লাইন্ড লিমিটেডের ১ বিঘা জমি এস আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আগের আদেশ
এর আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে এস আলম ও তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন:
১. সাইফুল আলমের স্ত্রী ফারজানা পারভীন
২. তার দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আহসানুল আলম
৩. তার ছয় ভাই:
মোরশেদুল আলম
সহিদুল আলম
রাশেদুল আলম
আবদুস সামাদ
ওসমান গণি
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান
৪. আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস
৫. ওসমান গণির স্ত্রী ফারজানা বেগম
৬. মিশকাত আহমেদ নামে এক ব্যক্তি
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না।
দুদক জানিয়েছে, এস আলম, তার পরিবার ও তাদের বিভিন্ন কোম্পানির নামে থাকা এই সম্পদের মোট বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
দুদক এই জমিগুলো অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বলে সন্দেহ করছে এবং তদন্তের স্বার্থে এগুলো ক্রোকের আদেশ চেয়েছিল। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে এস আলম গ্রুপের জমিগুলো ক্রোকের নির্দেশ দেন।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হতে পারে।
এস আলম ও তার পরিবার এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারে।
দুদক এই সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখবে এবং যদি অবৈধ আয় প্রমাণিত হয়, তাহলে আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারে।
এছাড়া, এস আলম গ্রুপের অন্যান্য সম্পদ নিয়েও তদন্ত চলছে।
এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এই ক্রোক আদেশ এস আলম গ্রুপের জন্য বড় একটি ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। **তদন্তের পরবর্তী ফলাফল এবং আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে, এই সম্পদ চূড়ান্তভাবে বাজেয়