অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ ছিল, তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ঘুষ হিসেবে প্রাপ্ত ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
২০১৩ সালে বিশেষ আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিলেও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয়।
আপিল বিভাগের রায়ে উভয়কে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আপিল বিভাগ সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, “আপিল বিভাগ মামুনকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে খালাস দিয়েছেন। তারেক রহমান আপিল না করলেও আদালত তার খালাসের সুযোগ মেনে নিয়েছেন।”
২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান এ মামলায় আত্মসমর্পণ না করায় আপিলের সুযোগ পাননি। তবে তার আইনজীবীরা রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আইনি লড়াই চালিয়ে যান। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তারেক ও মামুনের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।
এ মামলায় অভিযোগ ছিল, সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক থেকে তারেক রহমানের নামে ইস্যু করা একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিমানের টিকেট ও চিকিৎসা খরচ করা হয়েছিল। আদালত এটিকে অর্থপাচারের পর্যায়ে না ফেলায় তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এখন পর্যন্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে খালাস দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেয়।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ ছিল, তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ঘুষ হিসেবে প্রাপ্ত ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
২০১৩ সালে বিশেষ আদালত তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিলেও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাই কোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়। ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড দেয়।
আপিল বিভাগের রায়ে উভয়কে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আপিল বিভাগ সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, “আপিল বিভাগ মামুনকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে খালাস দিয়েছেন। তারেক রহমান আপিল না করলেও আদালত তার খালাসের সুযোগ মেনে নিয়েছেন।”
২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান এ মামলায় আত্মসমর্পণ না করায় আপিলের সুযোগ পাননি। তবে তার আইনজীবীরা রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আইনি লড়াই চালিয়ে যান। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তারেক ও মামুনের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করে আপিলের অনুমতি দেয়।
এ মামলায় অভিযোগ ছিল, সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক থেকে তারেক রহমানের নামে ইস্যু করা একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিমানের টিকেট ও চিকিৎসা খরচ করা হয়েছিল। আদালত এটিকে অর্থপাচারের পর্যায়ে না ফেলায় তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
এখন পর্যন্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।