ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ প্রসুতির গর্ভফুল ক্রয়-বিক্রয় এবং চীনে পাচারকারিচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার নগরীর বলাশপুর হাক্কানির মোড় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সামনে থেকে পাচারকারিচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার এবং পলিথিনে মোড়ানো প্রসুতির ৩৫০ টি গর্ভফুল, তিনটি ক্যাটগার্ডসহ সুই, একটি খোলা ইনজেকশনের এ্যাম্পল ও একটি ব্যবহৃত গ্লাভস উদ্ধার করেছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল রশিদ জানান, গত শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় ব্যক্তি পিকআপ গাড়িযোগে মানবদেহের অঙ্গ-পতঙ্গের অংশ বিশেষ (প্রসুতির গর্ভফুল) হিমায়িত প্যাকেটজাত করে প্লাষ্টিকের ড্রামে ভর্তি করে ঢাকার ধামরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। এমন খবরের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম কোতোয়ালী মডেল থানাধীন বলাশপুর হাক্কানীর মোড় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সামনে থেকে পিকআপ গাড়িটি আটক করেন। পরবর্তীতে গাড়ি তল্লাশী করে পলিথিনে মোড়ানো প্রসুতির ৩৫০ টি গর্ভফুল সাদৃশ্য অংশ বিশেষ, তিনটি ক্যাটগার্ডসহ সুই, একটি খোলা ইনজেকশনের এ্যাম্পল ও একটি ব্যবহৃত গ্লাভস উদ্ধার ও পিকআপসহ ড্রাইভার মো. রুহুল আমিনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। সে রাজধানীর হাজারিবাগ হাজী সাহেবের বাড়ি বেড়িবাঁধের আব্দুল হামেদ তালুকদারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাদুড়তলায়।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তানভিন সুলতানার মতামতের ভিত্তিতে উদ্ধারকৃত প্রসুতি মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য আলামতগুলো ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ধামরাইসহ বিভিন্ন এলকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ধলিরকান্দা গ্রামের মনির উদ্দিন মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৪), বরিশাল জেলার ধামরাই থানার বাগনগর মডেল টাউন এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে মোঃ মুমিনুর রহমান (৩২), ধামরাই থানার কালিয়াগারের দেওয়ান মো. আসফাকের ছেলে দেওয়ান মোঃ অমিত (৩১) ও ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার পাহাড় পাইবজান গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে মোঃ খুরশিদ আলমকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি নজরুল ইসলাম (৫৪) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কর্মচারীদের মাধ্যমে অবৈধভাবে মহিলাদের গর্ভফুল সংগ্রহ করে হিমায়িত করার পর ড্রাইভার মোঃ রুহুল আমিনের মাধ্যমে ঢাকার ধামরাই এলাকার মোঃ মুমিনুর রহমানকে সরবরাহ করে। মুমিনুর রহমান ও দেওয়ান মোঃ অমিত অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে কোনো প্রকার বৈধভিত্তি বা অনুমতি ছাড়াই প্রক্রিয়াজাত এবং ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন। যা আইন অনুযায়ী অপরাধ বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল রশিদ বিষয়টি ময়মনসিংহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উত্থাপন করলে সিভিল সার্জন ডা. ফয়সাল আহমেদ এ ঘটনাটি প্রথম শুনেছেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন চিসিৎসক বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুফিদুল আলম ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গোয়েন্দা নজরদারির জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ প্রসুতির গর্ভফুল ক্রয়-বিক্রয় এবং চীনে পাচারকারিচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত শুক্রবার নগরীর বলাশপুর হাক্কানির মোড় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সামনে থেকে পাচারকারিচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার এবং পলিথিনে মোড়ানো প্রসুতির ৩৫০ টি গর্ভফুল, তিনটি ক্যাটগার্ডসহ সুই, একটি খোলা ইনজেকশনের এ্যাম্পল ও একটি ব্যবহৃত গ্লাভস উদ্ধার করেছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল রশিদ জানান, গত শুক্রবার জেলা গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় ব্যক্তি পিকআপ গাড়িযোগে মানবদেহের অঙ্গ-পতঙ্গের অংশ বিশেষ (প্রসুতির গর্ভফুল) হিমায়িত প্যাকেটজাত করে প্লাষ্টিকের ড্রামে ভর্তি করে ঢাকার ধামরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। এমন খবরের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম কোতোয়ালী মডেল থানাধীন বলাশপুর হাক্কানীর মোড় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সামনে থেকে পিকআপ গাড়িটি আটক করেন। পরবর্তীতে গাড়ি তল্লাশী করে পলিথিনে মোড়ানো প্রসুতির ৩৫০ টি গর্ভফুল সাদৃশ্য অংশ বিশেষ, তিনটি ক্যাটগার্ডসহ সুই, একটি খোলা ইনজেকশনের এ্যাম্পল ও একটি ব্যবহৃত গ্লাভস উদ্ধার ও পিকআপসহ ড্রাইভার মো. রুহুল আমিনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। সে রাজধানীর হাজারিবাগ হাজী সাহেবের বাড়ি বেড়িবাঁধের আব্দুল হামেদ তালুকদারের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাদুড়তলায়।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তানভিন সুলতানার মতামতের ভিত্তিতে উদ্ধারকৃত প্রসুতি মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য আলামতগুলো ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ধামরাইসহ বিভিন্ন এলকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার ধলিরকান্দা গ্রামের মনির উদ্দিন মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৪), বরিশাল জেলার ধামরাই থানার বাগনগর মডেল টাউন এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে মোঃ মুমিনুর রহমান (৩২), ধামরাই থানার কালিয়াগারের দেওয়ান মো. আসফাকের ছেলে দেওয়ান মোঃ অমিত (৩১) ও ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার পাহাড় পাইবজান গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে মোঃ খুরশিদ আলমকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি নজরুল ইসলাম (৫৪) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কর্মচারীদের মাধ্যমে অবৈধভাবে মহিলাদের গর্ভফুল সংগ্রহ করে হিমায়িত করার পর ড্রাইভার মোঃ রুহুল আমিনের মাধ্যমে ঢাকার ধামরাই এলাকার মোঃ মুমিনুর রহমানকে সরবরাহ করে। মুমিনুর রহমান ও দেওয়ান মোঃ অমিত অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে কোনো প্রকার বৈধভিত্তি বা অনুমতি ছাড়াই প্রক্রিয়াজাত এবং ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন। যা আইন অনুযায়ী অপরাধ বলেও জানান তিনি।
আজ রোববার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুল রশিদ বিষয়টি ময়মনসিংহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উত্থাপন করলে সিভিল সার্জন ডা. ফয়সাল আহমেদ এ ঘটনাটি প্রথম শুনেছেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন চিসিৎসক বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক বলে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুফিদুল আলম ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গোয়েন্দা নজরদারির জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।