রাজধানীর উত্তরখানে নিজ বাসায় খুন হওয়া হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও ‘আপত্তিকর আচরণ’-এর অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের হাতে আটক এক দম্পতি এই অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আটক দম্পতি মো. নাজিম হোসেন (২১) ও তাঁর স্ত্রী রুপা বেগম (২৩) পুলিশকে জানান, টাকাপয়সাসহ ব্যাগ হারিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে তারা অসহায় অবস্থায় পড়েছিলেন। তাদের এই অবস্থা দেখে সাইফুর রহমান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এবং চাকরি দেওয়ার কথা বলে উত্তরখানের নিজ বাসায় নিয়ে আসেন। তবে চাকরির প্রলোভন দেখালেও সাইফুর রহমানের আসল উদ্দেশ্য ছিল রুপার সঙ্গে ‘আপত্তিকর আচরণ’ করা। নাজিমকে বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে পাঠিয়ে তিনি রুপার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতেন বলে দম্পতির বক্তব্য।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে সাইফুর রহমান রুপাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নাজিম প্রতিবাদ করেন। এতে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে নাজিম রান্নাঘর থেকে বঁটি নিয়ে সাইফুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর দম্পতি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি চাবির রিং ও একটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সাইফুর রহমানের ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি, একটি চাকু, রক্তমাখা জামাকাপড় ও বিছানার চাদর জব্দ করা হয়।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, ১০ মার্চ দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোররাত চারটার মধ্যে উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে সাইফুর রহমান খুন হন। এ খুনের ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগের দিন কমলাপুর রেলস্টেশনে সাইফুর রহমানের সঙ্গে নাজিম ও রুপার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তিনি তাদের তাঁর ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন এবং চাকরির প্রলোভন দেখান। তবে ধীরে ধীরে তিনি রুপাকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে একই শয্যায় ছিলেন সাইফুর রহমান, রুপা ও নাজিম। সেই রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে রুপাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সাইফুর রহমান। একপর্যায়ে নাজিম ঘুম থেকে জেগে গেলে রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে তাঁকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাইফুর রহমানের মৃত্যু হয়।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর উত্তরখানে নিজ বাসায় খুন হওয়া হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা ও ‘আপত্তিকর আচরণ’-এর অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের হাতে আটক এক দম্পতি এই অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আটক দম্পতি মো. নাজিম হোসেন (২১) ও তাঁর স্ত্রী রুপা বেগম (২৩) পুলিশকে জানান, টাকাপয়সাসহ ব্যাগ হারিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে তারা অসহায় অবস্থায় পড়েছিলেন। তাদের এই অবস্থা দেখে সাইফুর রহমান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এবং চাকরি দেওয়ার কথা বলে উত্তরখানের নিজ বাসায় নিয়ে আসেন। তবে চাকরির প্রলোভন দেখালেও সাইফুর রহমানের আসল উদ্দেশ্য ছিল রুপার সঙ্গে ‘আপত্তিকর আচরণ’ করা। নাজিমকে বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে পাঠিয়ে তিনি রুপার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতেন বলে দম্পতির বক্তব্য।
পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে সাইফুর রহমান রুপাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নাজিম প্রতিবাদ করেন। এতে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে নাজিম রান্নাঘর থেকে বঁটি নিয়ে সাইফুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর দম্পতি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি চাবির রিং ও একটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সাইফুর রহমানের ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো বঁটি, একটি চাকু, রক্তমাখা জামাকাপড় ও বিছানার চাদর জব্দ করা হয়।
ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, ১০ মার্চ দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোররাত চারটার মধ্যে উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে সাইফুর রহমান খুন হন। এ খুনের ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগের দিন কমলাপুর রেলস্টেশনে সাইফুর রহমানের সঙ্গে নাজিম ও রুপার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তিনি তাদের তাঁর ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন এবং চাকরির প্রলোভন দেখান। তবে ধীরে ধীরে তিনি রুপাকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে একই শয্যায় ছিলেন সাইফুর রহমান, রুপা ও নাজিম। সেই রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে রুপাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সাইফুর রহমান। একপর্যায়ে নাজিম ঘুম থেকে জেগে গেলে রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে তাঁকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাইফুর রহমানের মৃত্যু হয়।