মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ।
পরোয়ানাভুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।
এই পাঁচজনের মধ্যে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
অন্য চারজন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাদেরকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ।
নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে ২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম গড়ে ওঠে। তবে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে সংগঠনটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে, যা পরবর্তীতে সহিংস রূপ নেয়।
সারাদিন সংঘর্ষের পর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেয়। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানে ৬১ জন নিহত হন। তবে পুলিশের ভাষ্যমতে, রাতের অভিযানে কেউ নিহত হয়নি, আর সংঘাতে মোট ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শাপলা চত্বরের সংঘর্ষকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
এরই মধ্যে ‘গণহত্যা’ ও ‘গুম’-এর দুটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করলেও এখনো সাড়া মেলেনি।
শাপলা চত্বরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে আরও একটি অভিযোগ জমা পড়ে গত আগস্টে। এতে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ।
পরোয়ানাভুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।
এই পাঁচজনের মধ্যে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
অন্য চারজন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাদেরকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ।
নারী উন্নয়ন নীতি ও শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে ২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম গড়ে ওঠে। তবে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে সংগঠনটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে, যা পরবর্তীতে সহিংস রূপ নেয়।
সারাদিন সংঘর্ষের পর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের মতিঝিল থেকে সরিয়ে দেয়। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানে ৬১ জন নিহত হন। তবে পুলিশের ভাষ্যমতে, রাতের অভিযানে কেউ নিহত হয়নি, আর সংঘাতে মোট ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শাপলা চত্বরের সংঘর্ষকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
এরই মধ্যে ‘গণহত্যা’ ও ‘গুম’-এর দুটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করলেও এখনো সাড়া মেলেনি।
শাপলা চত্বরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে আরও একটি অভিযোগ জমা পড়ে গত আগস্টে। এতে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।