টেলিকম খাতে জালিয়াতির অভিযোগে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির জানান, "ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।"
এই তদন্তের নির্দেশ আসে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান মালিকানায় রেখে বিটিআরসির বিপুল অর্থ ফাঁকি দিয়েছে।
প্রথম আলো প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিটিআরসি ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কে টেলিকম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স পেয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ছিল শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান এবং ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে। তবে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ করেই কে টেলিকমের মালিকানা পরিবর্তন করা হয়।
প্রথম আলো প্রতিবেদনে বলা হয়, কে টেলিকমের মালিকানা হস্তান্তর করা হয় তিনজন ব্যক্তির নামে—
১. সাখাওয়াত হোসেন
২. দেবব্রত চৌধুরী (সিলেটের এক স্কুলশিক্ষক)
৩. রাকিবুল ইসলাম (বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী)
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই তিনজনের কেউই কে টেলিকমের প্রকৃত মালিক ছিলেন না। তাদের নামে মালিকানা দেখিয়ে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় যে বিটিআরসির অর্থ ফাঁকি দিতে মালিকানা হস্তান্তরের নাটক সাজানো হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী বেরিয়ে আসে এবং এ বিষয়ে কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
টেলিকম খাতে জালিয়াতির অভিযোগে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির জানান, "ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।"
এই তদন্তের নির্দেশ আসে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান মালিকানায় রেখে বিটিআরসির বিপুল অর্থ ফাঁকি দিয়েছে।
প্রথম আলো প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিটিআরসি ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কে টেলিকম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স পেয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ছিল শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান এবং ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে। তবে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ করেই কে টেলিকমের মালিকানা পরিবর্তন করা হয়।
প্রথম আলো প্রতিবেদনে বলা হয়, কে টেলিকমের মালিকানা হস্তান্তর করা হয় তিনজন ব্যক্তির নামে—
১. সাখাওয়াত হোসেন
২. দেবব্রত চৌধুরী (সিলেটের এক স্কুলশিক্ষক)
৩. রাকিবুল ইসলাম (বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী)
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই তিনজনের কেউই কে টেলিকমের প্রকৃত মালিক ছিলেন না। তাদের নামে মালিকানা দেখিয়ে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় যে বিটিআরসির অর্থ ফাঁকি দিতে মালিকানা হস্তান্তরের নাটক সাজানো হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী বেরিয়ে আসে এবং এ বিষয়ে কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।