alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে টেলিকম জালিয়াতি বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

টেলিকম খাতে জালিয়াতির অভিযোগে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির জানান, "ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।"

এই তদন্তের নির্দেশ আসে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান মালিকানায় রেখে বিটিআরসির বিপুল অর্থ ফাঁকি দিয়েছে।

প্রথম আলো প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিটিআরসি ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কে টেলিকম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স পেয়েছিল।

প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ছিল শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান এবং ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে। তবে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ করেই কে টেলিকমের মালিকানা পরিবর্তন করা হয়।

প্রথম আলো প্রতিবেদনে বলা হয়, কে টেলিকমের মালিকানা হস্তান্তর করা হয় তিনজন ব্যক্তির নামে—

১. সাখাওয়াত হোসেন

২. দেবব্রত চৌধুরী (সিলেটের এক স্কুলশিক্ষক)

৩. রাকিবুল ইসলাম (বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী)

তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই তিনজনের কেউই কে টেলিকমের প্রকৃত মালিক ছিলেন না। তাদের নামে মালিকানা দেখিয়ে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় যে বিটিআরসির অর্থ ফাঁকি দিতে মালিকানা হস্তান্তরের নাটক সাজানো হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী বেরিয়ে আসে এবং এ বিষয়ে কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: তৌফিক–ই–ইলাহীর জামিন আবেদন খারিজ, ফারুক খানের শুনানি সোমবার

ছবি

সায়েন্স ল্যাব থেকে গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা

৫০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগে সিলেট বিআরটিএ দুদকের অভিযান, ব্ল্যাঙ্ক চেক উদ্ধার

ছবি

সার আত্মসাৎ , সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সালমান এফ রহমানসহ পরিবারের ৯৪ কোম্পানির শেয়ার ও ১০৭ বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

অভিনেতা সিদ্দিক সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

কোটি টাকা চাঁদা দাবি, কলাবাগান থানার ওসি ও এসআই প্রত্যাহার

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন

ছবি

তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

আখাউড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ মাদকসেবীর কারাদন্ড

ছবি

শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মাগুরায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ছবি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ

ছবি

জুলাই আন্দোলন: হত্যা মামলায় তুরিন আফরোজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ছবি

আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এক মাস বাড়লো

ছবি

নোয়াখালীতে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে

ছবি

বরগুনার তালতলীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ

মাদক মামলায় কাভার্ডভ্যান মালিকের যাবজ্জীবন

সোনারগাঁয়ে সম্পতি লিখে না দেয়ায় বাবাকে মেরে আহত করেছে ছেলে মেয়েরা

ছবি

উল্লাপাড়ায় বিএনপির ৭ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে, বহিষ্কার দাবি

বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশীর হামলায় একজন নিহত

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ তিনদিনের রিমান্ডে

ছবি

মিরপুরে গুলিতে বিএনপি কর্মী শ্রাবণ নিহত, শেখ হাসিনাসহ ৪০৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

হত্যা মামলার দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

ছবি

রাজউক প্লট দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার প্রতিবেদন পেন্ডিং, নতুন দিন ১২ মে

ছবি

উখিয়ায় চারজন হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার দূর্নীতির অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁয়ে ডাকাতদের হামলায় ব্যবসায়ী আহত

ছবি

আখাউড়ায় গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩

সিলেটে এসআই জিয়াউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নানা অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত, সুপারিশ করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ

মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে স্ত্রীকে খুন করেন মসজিদের ইমাম

চুনারুঘাটে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মাহফুজ কারাগারে

ছবি

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন

ছবি

প্রাইমএশিয়ার ছাত্র খুন: বন্ধুদের ডাকে গিয়েই জড়িয়ে পড়ে হত্যায়, গ্রেপ্তার ৩ বহিরাগত

ছবি

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতা আসামি

রাজশাহীতে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচ ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে টেলিকম জালিয়াতি বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

টেলিকম খাতে জালিয়াতির অভিযোগে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির জানান, "ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।"

এই তদন্তের নির্দেশ আসে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান মালিকানায় রেখে বিটিআরসির বিপুল অর্থ ফাঁকি দিয়েছে।

প্রথম আলো প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিটিআরসি ও সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘কে টেলিকম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য টেলিযোগাযোগ লাইসেন্স পেয়েছিল।

প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা ছিল শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান এবং ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে। তবে ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট হঠাৎ করেই কে টেলিকমের মালিকানা পরিবর্তন করা হয়।

প্রথম আলো প্রতিবেদনে বলা হয়, কে টেলিকমের মালিকানা হস্তান্তর করা হয় তিনজন ব্যক্তির নামে—

১. সাখাওয়াত হোসেন

২. দেবব্রত চৌধুরী (সিলেটের এক স্কুলশিক্ষক)

৩. রাকিবুল ইসলাম (বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী)

তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই তিনজনের কেউই কে টেলিকমের প্রকৃত মালিক ছিলেন না। তাদের নামে মালিকানা দেখিয়ে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকার দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্ত শেষে যদি প্রমাণিত হয় যে বিটিআরসির অর্থ ফাঁকি দিতে মালিকানা হস্তান্তরের নাটক সাজানো হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখন দেখার বিষয়, তদন্তে কী বেরিয়ে আসে এবং এ বিষয়ে কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

back to top