alt

প্রাচীন মুদ্রার নামে প্রতারণা: চার ব্যক্তি গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

প্রাচীন ধাতব মুদ্রা (অ্যান্টিক মেটাল কয়েন) বিক্রির নামে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে চারটি ভুয়া মুদ্রা, ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আদাবর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪), আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮), মো. আবদুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (৪৬)।

ইবনে মিজান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীন মুদ্রা বিক্রির নামে মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। তাঁরা জাল মুদ্রা ব্যবহার করে মানুষকে বোঝাতেন যে, এগুলোর মূল্য বিদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলার। পরে টাকা হাতিয়ে নিতেন।"

মামলার বর্ণনায় জানানো হয়, গত বছর ইফতেখারের সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির। ইফতেখার তাকে প্রলোভন দেখান যে, প্রাচীন মুদ্রা বিক্রি করে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গুলশানের একটি হোটেলে মিজানুরকে ডেকে নেয়া হয় এবং নাঈম ও হালিম নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। নাঈমকে বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধি এবং হালিমকে মুদ্রার শুদ্ধতা পরীক্ষাকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। মিজানুরকে বলা হয়, প্রতিটি মুদ্রার মূল্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর মিজানুর চক্রটিকে অগ্রিম ৪৫ লাখ টাকা দেন এবং পরে আরও ৭৫ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক হস্তান্তর করেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন, মুদ্রাগুলো ভুয়া এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। তাঁদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ এখন চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে ।

ছবি

স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মিঠুর ৫ দিনের রিমান্ড

ছবি

‘সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি’: সেই মার্কিন নাগরিক ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহেলের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

অপরাধ বেড়েছে জামালপুর শহরে

ছবি

মহেশখালীতে পুলিশের উপর হামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ঘুষের টাকাসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ছবি

ডিএসসিসির বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করবে দুদক

ছবি

গৃহবধূ হত্যার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

দর্শনায় জুয়েলার্সে হামলা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

চাকরির প্রলোভনে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ছবি

পাসপোর্ট অফিসে দালালবিরোধী অভিযানে চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

পৃথক হত্যাচেষ্টা মামলা: আনিসুলকে দেখানো হলো গ্রেপ্তার, পাভেল রিমান্ডে

ছবি

দুর্নীতির মামলায় মোরশেদ আলমের জামিন নাকচ

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘যথেষ্ট’ প্রমাণ পাওয়া গেছে: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

সংসদের আসন পুনর্বিন্যাস, ফরিদপুরের ভাঙ্গা রণক্ষেত্র

ছবি

চকরিয়ায় থানা হাজতে দুজর্য়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

ছবি

বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতচক্রের তিনসদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

সাদা পাথর লুট: সাহাব উদ্দিন গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা: তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত বললো ‘আপ্রাণ চেষ্টা’ চালাতে

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ৫ গুণ বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ, ১৩ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ভোলায় মুভি দেখে বাবা খুন করল ছেলে

ছবি

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইয়ার্ডে বাংলাদেশী দুই টাকার নতুন নোট জব্দ

ছবি

বনানীতে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ছবি

প্রতারণার নতুন ফাঁদ: ফেইসবুকে ‘টু-লেট’ বিজ্ঞাপন, বাসা নিতে গিয়ে কলেজ ছাত্রকে হেনস্থা

ছবি

স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ১

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ‘ব্লগারকে’ কুপিয়ে বাইক ও ফোন ছিনতাই

ছবি

টঙ্গীতে দুপুরে ‘চোর সন্দেহে’ যুবক আটক, রাতে মৃত্যু

ছবি

উত্তরায় ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি’, তিনজন কারাগারে

ছবি

একদিনে সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮০৯

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, তিনজন কারাগারে

ছবি

‘সন্দেহজনক’ লেনদেন, সাবেক এমপি দিদার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ: ২ যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: ২ জনের সাক্ষ্যে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বর্ণনা

ছবি

ফ্ল্যাট বরাদ্দে ‘অনিয়ম’: সচিব পদমর্যাদার সাবেক ১২ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ছবি

‘অবৈধ সম্পদ ও প্লট জালিয়াতি’ বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

tab

প্রাচীন মুদ্রার নামে প্রতারণা: চার ব্যক্তি গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

প্রাচীন ধাতব মুদ্রা (অ্যান্টিক মেটাল কয়েন) বিক্রির নামে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে চারটি ভুয়া মুদ্রা, ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আদাবর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪), আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮), মো. আবদুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (৪৬)।

ইবনে মিজান বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীন মুদ্রা বিক্রির নামে মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। তাঁরা জাল মুদ্রা ব্যবহার করে মানুষকে বোঝাতেন যে, এগুলোর মূল্য বিদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলার। পরে টাকা হাতিয়ে নিতেন।"

মামলার বর্ণনায় জানানো হয়, গত বছর ইফতেখারের সঙ্গে পরিচয় হয় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির। ইফতেখার তাকে প্রলোভন দেখান যে, প্রাচীন মুদ্রা বিক্রি করে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গুলশানের একটি হোটেলে মিজানুরকে ডেকে নেয়া হয় এবং নাঈম ও হালিম নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। নাঈমকে বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধি এবং হালিমকে মুদ্রার শুদ্ধতা পরীক্ষাকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। মিজানুরকে বলা হয়, প্রতিটি মুদ্রার মূল্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর মিজানুর চক্রটিকে অগ্রিম ৪৫ লাখ টাকা দেন এবং পরে আরও ৭৫ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক হস্তান্তর করেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন, মুদ্রাগুলো ভুয়া এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। তাঁদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ এখন চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে ।

back to top