সাবেক চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এবং তার স্ত্রী জিনাত পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, কমিশনের অনুসন্ধানে নূর-ই-আলম চৌধুরীর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে, যার ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নূর-ই-আলম চৌধুরী আয়ের বৈধ উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে প্রায় ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন।
এছাড়া, তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত ৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৩২ কোটি ১১ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের অভিযোগ অনুসারে, এসব লেনদেনের বেশিরভাগই তার বৈধ আয় ও ব্যবসার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নূর-ই-আলম চৌধুরীর স্ত্রী জিনাত পারভীন চৌধুরী-র বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে তার ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদের উৎস অজ্ঞাত পাওয়া গেছে। এই মামলায় নূর-ই-আলম চৌধুরীকেও আসামি করা হবে বলে দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক জানান, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হবে।
নূর-ই-আলম চৌধুরী বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাত বোনের ছেলে। তিনি ২০১৮-২০২৪ মেয়াদে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দুদকের সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, "অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।"
দুদকের এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
সাবেক চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন এবং তার স্ত্রী জিনাত পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, কমিশনের অনুসন্ধানে নূর-ই-আলম চৌধুরীর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে, যার ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নূর-ই-আলম চৌধুরী আয়ের বৈধ উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে প্রায় ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন।
এছাড়া, তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত ৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২৩২ কোটি ১১ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের অভিযোগ অনুসারে, এসব লেনদেনের বেশিরভাগই তার বৈধ আয় ও ব্যবসার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নূর-ই-আলম চৌধুরীর স্ত্রী জিনাত পারভীন চৌধুরী-র বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে তার ১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদের উৎস অজ্ঞাত পাওয়া গেছে। এই মামলায় নূর-ই-আলম চৌধুরীকেও আসামি করা হবে বলে দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক জানান, নূর-ই-আলম চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হবে।
নূর-ই-আলম চৌধুরী বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাত বোনের ছেলে। তিনি ২০১৮-২০২৪ মেয়াদে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দুদকের সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানেরই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, "অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।"
দুদকের এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।