রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে মহানগরীর তালাইমারি শহিদমিনার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন ২৫ নং ওয়ার্ডেরে সর্বস্তরের জনগণ। বিক্ষোভ চলা সময়ে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে বাস, রিকশা, অটোরিকশাসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আকরাম হোসেন (৪৫)। তিনি পেশায় বাসচালক এবং রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। আকরামের বাড়ি তালাইমারি এলাকায়; তিনি আজাদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নিহত আকরামের মেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিয়া আলফিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের দ্বারা উত্ত্যক্ত হচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার প্রতিবাদ করেন আকরাম হোসেন। একপর্যায়ে উত্ত্যক্তকারীরা আকরামের বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আকরাম হোসেনকে ইট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ওই বখাটেরা। ওই এলাকার নান্টু, বিশাল, রতনসহ বেশ কয়েকজনের এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত আকরামে স্ত্রী ও তার মেয়ে এসএিসি পরীক্ষার্থী রাকিয়া আলফি দাবি জানান, তারা দীর্ঘদিন হতে আমাকে উক্ত্যক্ত করে আসছিলো। সর্বশেষ তারা আমাকে অশ্লীল ভাবে গালি দেয়। আমি বিষয়টি বাড়ীতে এসে বাবা মাকে বলি। বাবা তাদের পরিবারকে সেটা বলতে গিয়েছিলো। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবাকে রাস্তায় ঘিরেফেলে মারধর ও ইটের আঘাত করে। এতে আমার বাবা মারা যায়। আমাদের একটাই দাবি তাদের ফাঁসি হোক। আমরা আর কোন দাবি দিতে চাই না।
এলাকাবাসী জানান, আকরাম খুবই ভালো লোক ছিলো। তার মতো ভালো মানুষ নেই আমাদের একটাই দাবি তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হোক।
জানতে চাইলে রাজশাহী নগরীব বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হোসেন বলেন, গতকাল রাতে বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারী শহীদ মিনারের পাশে উভয় পক্ষের মারামারিতে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আকরাম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে অনন্ত বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্যেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলেও জানান ওসি।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে মহানগরীর তালাইমারি শহিদমিনার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন ২৫ নং ওয়ার্ডেরে সর্বস্তরের জনগণ। বিক্ষোভ চলা সময়ে রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে বাস, রিকশা, অটোরিকশাসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ বিকল্প রাস্তা দিয়ে যানবাহন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আকরাম হোসেন (৪৫)। তিনি পেশায় বাসচালক এবং রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। আকরামের বাড়ি তালাইমারি এলাকায়; তিনি আজাদ হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নিহত আকরামের মেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিয়া আলফিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের দ্বারা উত্ত্যক্ত হচ্ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার প্রতিবাদ করেন আকরাম হোসেন। একপর্যায়ে উত্ত্যক্তকারীরা আকরামের বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে আকরাম হোসেনকে ইট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ওই বখাটেরা। ওই এলাকার নান্টু, বিশাল, রতনসহ বেশ কয়েকজনের এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত আকরামে স্ত্রী ও তার মেয়ে এসএিসি পরীক্ষার্থী রাকিয়া আলফি দাবি জানান, তারা দীর্ঘদিন হতে আমাকে উক্ত্যক্ত করে আসছিলো। সর্বশেষ তারা আমাকে অশ্লীল ভাবে গালি দেয়। আমি বিষয়টি বাড়ীতে এসে বাবা মাকে বলি। বাবা তাদের পরিবারকে সেটা বলতে গিয়েছিলো। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবাকে রাস্তায় ঘিরেফেলে মারধর ও ইটের আঘাত করে। এতে আমার বাবা মারা যায়। আমাদের একটাই দাবি তাদের ফাঁসি হোক। আমরা আর কোন দাবি দিতে চাই না।
এলাকাবাসী জানান, আকরাম খুবই ভালো লোক ছিলো। তার মতো ভালো মানুষ নেই আমাদের একটাই দাবি তাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হোক।
জানতে চাইলে রাজশাহী নগরীব বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হোসেন বলেন, গতকাল রাতে বোয়ালিয়া থানাধীন তালাইমারী শহীদ মিনারের পাশে উভয় পক্ষের মারামারিতে আহত হয়ে রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আকরাম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে অনন্ত বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্যেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলেও জানান ওসি।