* আড়াই মাস পর হত্যারহস্য উদঘাটন, ঘাতকের স্বীকারোক্তি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধনুসাড়া গ্রামে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে স্ত্রী সাহিদা বেগমকে (৬৫) নিজেই খুন করেন স্বামী আবদুল মমিন (৭০)। তিনি ধনুসাড়া জামে মসজিদের ইমাম। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে তিনি স্ত্রীকে খুন করে লাশটি কাঁধে করে নিয়ে বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর গুম করে রাখেন। এরপর গোসল করে ভোর ৫টায় ফজরের নামাজের ইমামতি করতে তিনি মসজিদে চলে যান। তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার আড়াই মাস পর এ হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে।
আবদুল মমিন তার স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে পুলিশ ও আদালতের বিচারকের নিকট জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঘাতক আবদুল মমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি সাংবাদিকদের আরও জানান, আবদুল মমিনের মা এর বয়স প্রায় ১৩০ বছর। সুস্থ্য থাকলেও বয়সের ভারে তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার মায়ের সেবা-যতœ নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায় ঝগড়া হতো। এ অবস্থায় আবদুল মমিন ও তার ভাই এক মাস করে পালাক্রমে তার মায়ের দায়িত্ব নিয়ে সেবা যতœ করছেন। মমিনের ছেলে তাদের পুরাতন বাড়িতে মা ও পরিবার নিয়ে থাকছেন। মমিন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম ধনুসাড়া পূর্বপাড়ায় তাদের নতুন বাড়িতে থাকেন। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করেন।
তার মা যখন তার পুরাতন বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তখন মমিন সেখানে মায়ের খোঁজখবর নিতে যান। তখন তার মা নালিশ করে যে, তার স্ত্রী (সাহিদা) তার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। ওইদিন রাতে মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে মায়ের সাথে খারাপ আচরণের কথা জিজ্ঞাসা করে। এতে সাহিদা বেগম গালমন্দ শুরু করে। মমিন বিরক্ত হয়ে তার পাশে থাকা বালিশ দিয়ে তার স্ত্রী সাহিদা বেগমের নাক ও মুখে চাপা দিয়ে ধরে রাখে। কিছুক্ষণ পর দেখে, তার স্ত্রী আর নড়াচড়া করছে না। এক পর্যায়ে বুঝতে পারে, তার স্ত্রী আর বেঁচে নেই। পরে ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রীর লাশ কাঁধে করে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে রেখে উপরের ঢাকনাটি লাগিয়ে দেয়। লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় সাহিদা বেগমের পেটিকোটটি তার শরীর থেকে পড়ে যায়। লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে বাড়ির নলকূপ গোসল করে ভোর ৫টায় আবদুল মমিন মসজিদে চলে যায়।
মসজিদ থেকে এসে তার ছেলেকে ফোন করে বলে, তোমার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তার ছেলেসহ আশপাশের লোকজন মমিনের নতুন বাড়িতে এসে অনেক খোঁজাখুজির পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি খুঁজে পায়। লাশ খোঁজার সময় আবদুল মমিন সবার সাথেই ছিলেন। তাই তাকে কেউ সন্দেহ করেনি।
থানার ওসি সাংবাদিকদের আরও জানান, এ ঘটনায় তার ছেলে মাছুম বিল্লাহ বাদি হয়ে তার বাবা আবদুল মমিনকে ১ নম্বর স্বাক্ষী করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ আবদুল মমিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরই মধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে থানায় এনে গত দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের নিকট ও আদালতে জবানবন্দি দেয়।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
* আড়াই মাস পর হত্যারহস্য উদঘাটন, ঘাতকের স্বীকারোক্তি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধনুসাড়া গ্রামে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ক্ষোভে স্ত্রী সাহিদা বেগমকে (৬৫) নিজেই খুন করেন স্বামী আবদুল মমিন (৭০)। তিনি ধনুসাড়া জামে মসজিদের ইমাম। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে তিনি স্ত্রীকে খুন করে লাশটি কাঁধে করে নিয়ে বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর গুম করে রাখেন। এরপর গোসল করে ভোর ৫টায় ফজরের নামাজের ইমামতি করতে তিনি মসজিদে চলে যান। তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার আড়াই মাস পর এ হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসে।
আবদুল মমিন তার স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে পুলিশ ও আদালতের বিচারকের নিকট জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঘাতক আবদুল মমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি সাংবাদিকদের আরও জানান, আবদুল মমিনের মা এর বয়স প্রায় ১৩০ বছর। সুস্থ্য থাকলেও বয়সের ভারে তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার মায়ের সেবা-যতœ নিয়ে স্ত্রীর সাথে প্রায় ঝগড়া হতো। এ অবস্থায় আবদুল মমিন ও তার ভাই এক মাস করে পালাক্রমে তার মায়ের দায়িত্ব নিয়ে সেবা যতœ করছেন। মমিনের ছেলে তাদের পুরাতন বাড়িতে মা ও পরিবার নিয়ে থাকছেন। মমিন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম ধনুসাড়া পূর্বপাড়ায় তাদের নতুন বাড়িতে থাকেন। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করেন।
তার মা যখন তার পুরাতন বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তখন মমিন সেখানে মায়ের খোঁজখবর নিতে যান। তখন তার মা নালিশ করে যে, তার স্ত্রী (সাহিদা) তার মায়ের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। ওইদিন রাতে মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে মায়ের সাথে খারাপ আচরণের কথা জিজ্ঞাসা করে। এতে সাহিদা বেগম গালমন্দ শুরু করে। মমিন বিরক্ত হয়ে তার পাশে থাকা বালিশ দিয়ে তার স্ত্রী সাহিদা বেগমের নাক ও মুখে চাপা দিয়ে ধরে রাখে। কিছুক্ষণ পর দেখে, তার স্ত্রী আর নড়াচড়া করছে না। এক পর্যায়ে বুঝতে পারে, তার স্ত্রী আর বেঁচে নেই। পরে ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রীর লাশ কাঁধে করে বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে রেখে উপরের ঢাকনাটি লাগিয়ে দেয়। লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় সাহিদা বেগমের পেটিকোটটি তার শরীর থেকে পড়ে যায়। লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে বাড়ির নলকূপ গোসল করে ভোর ৫টায় আবদুল মমিন মসজিদে চলে যায়।
মসজিদ থেকে এসে তার ছেলেকে ফোন করে বলে, তোমার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তার ছেলেসহ আশপাশের লোকজন মমিনের নতুন বাড়িতে এসে অনেক খোঁজাখুজির পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লাশটি খুঁজে পায়। লাশ খোঁজার সময় আবদুল মমিন সবার সাথেই ছিলেন। তাই তাকে কেউ সন্দেহ করেনি।
থানার ওসি সাংবাদিকদের আরও জানান, এ ঘটনায় তার ছেলে মাছুম বিল্লাহ বাদি হয়ে তার বাবা আবদুল মমিনকে ১ নম্বর স্বাক্ষী করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ আবদুল মমিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরই মধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে থানায় এনে গত দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল মমিন তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের নিকট ও আদালতে জবানবন্দি দেয়।