সিলেট রেঞ্জের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে ধর্ষণ, বিয়ে, প্রতারণাসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের তদন্ত তা প্রমাণিতও হয়েছে। সুপারিশ করা হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের। তবে বিষয়টি আমলে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জিয়াউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট রেঞ্জ অফিসে কর্মরত অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত এসআই জিয়াউল ইসলাম (বিপি নং-৮১০১০৪৭৮৭২) যে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন তার শাস্তি মূলক অপরাধ। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অভিযুক্ত এই এস আই’র বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার মধুরাই (চকদৌলতপুর), পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে। পিতা জমসেদ আলী পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ পর্যন্ত চাকরি জীবনে লঘুদন্ড পেয়েছেন ১৫টি আর গুরুদন্ড পেয়েছেন ১টি। মৌলভীবাজার জেলা গুরুদন্ডের আদেশ নং-১১৫৪ তাং ২৯/০৫/২০২২ইং। নিজের ঘরে রয়েছে স্ত্রী সেলি সহ দুটি সন্তান। পুলিশের চাকরির সুবাধে বিভিন্ন নারীর সাথে অবৈধ প্রেম, বিয়ে-প্রতারণা করেছেন একাধিকবার। এসব অপরাধের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এসআই জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে এবার একাধিক মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ২য় স্ত্রী দুই সন্তানের জননি মারুফা আক্তার শিপা। তিনি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর মেয়ে। তার ১ম বিয়ে হয়েছিলো রাজনগর উপজেলায়। সে ঘরে তার দুটি সন্তান রয়েছে। গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী শিপার করা একটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত ২০১৭ সালে রাজনগর থানায় তৎকালীন সময়ে কর্মরত এসআই জিয়াউল ইসলামের সাথে একটি মামলার মাধ্যমে পরিচয় হয় মারুফা আক্তার শিপার। পরে ওই বছরের ১১ মে মামলার বিষয়ে কথা আছে বলে শিপাকে থানার পাশ্ববর্তী বাসার বাসিন্ধা নারী কনেস্টবল খাদিজা বেগমের বাসা নিয়ে নেশাজাতীয় পানিয়ে খাইয়ে অচেতন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেণ এসআই জিয়াউল ইসলাম। সে সময় তিনি ধর্ষণের একাধিক ভিডিও চিত্র ধারন করে শিপাকে ব্ল্যাকমেইল করেন জিয়াউল, কনেষ্টবল খাদিজা ও তার স্বামী জসিম মিয়া। উক্ত ঘটনায় মারুফা আক্তার শিপা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে চতুর জিয়াউল ইসলাম, স্থানীয় মেম্বার জিয়াউলের মামা আবুল হোসেন ও মৃত ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মিয়াসহ পরিচিত কয়েকজনকে সামনে রেখে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নাটক মঞ্চস্থ করেন আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখ। একই দিনে শিপাকে তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন জিয়া। এদিকে জিয়াউল ইসলামের বিয়ে, প্রথম স্বামীকে তালাক ও নতুন কাবিন রেজিষ্টার গুলো ভূয়া বলে জানিয়েছেন রাজনগরের পাঁচ নং কাজী নজরুল ইসলাম। বিয়ের নাটকটি কাজে লাগিয়ে শিপার কাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এসআই জিয়াউল। যৌতুকের টাকার জন্য অমানষিক নির্যাতন করে শিপার গর্ভের ৩ মাসের সন্তান নষ্ট করেন জিয়াউল। এরপর থেকে শিপাকে তার জীবন থেকে সরে যেতে নানা ভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করে এসআই জিয়াউল। বাধ্য হয়ে এসব ঘটনায় বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একাধিক মামলা মোকদ্দমা করেন শিপা। শিপার করা অভিযোগের বিষয় তদন্তকালে ধর্ষণ, বিয়ে, নির্যাতন, অর্থ আত্মসাতের সব রকম সত্যতা পান তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম। শিপার অভিযোগের পাশাপাশি জয়া নামের আরো এক নারিকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাতে প্রমান পেয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম। জয়া মৃত কনেষ্টবল তাহেরের স্ত্রী। জয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে গড়ে বিবাহের কথা বলে একাধিকবার রিসোর্টে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কসহ নানা ভাবে অত্যাচার সহ তার মৃত-স্বামী কনস্টেবল তাহেরের পেনশনের চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় গুরুদন্ডে দন্ডিত হন জিয়াউল। যার ফলে তার এক বছরের বেতন স্থগিত করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসআই জিয়াউল ইসলাম অভ্যাসগত ভাবে কিংবা স্বভাবগতই দুশ্চরিত্রের অধিকারী যা নৈতিক স্খলন, বিভাগীয় নিয়ম-শৃংখলা পরিপন্তি তথা অসাদাচরনের সামিল। যার দ্বারা তিনি পিআরবির ১০০ ও ১০৯ ধারা ভঙ্গের অপরাধ করেছেন বলে প্রমানিত হয়। জিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে এসব বিশদ বিবরণ জানিয়ে মারুফা আক্তার গত ১৬ এপ্রিল আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সিলেট রেঞ্জের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে ধর্ষণ, বিয়ে, প্রতারণাসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের তদন্ত তা প্রমাণিতও হয়েছে। সুপারিশ করা হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের। তবে বিষয়টি আমলে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জিয়াউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট রেঞ্জ অফিসে কর্মরত অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত এসআই জিয়াউল ইসলাম (বিপি নং-৮১০১০৪৭৮৭২) যে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন তার শাস্তি মূলক অপরাধ। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অভিযুক্ত এই এস আই’র বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার মধুরাই (চকদৌলতপুর), পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে। পিতা জমসেদ আলী পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ পর্যন্ত চাকরি জীবনে লঘুদন্ড পেয়েছেন ১৫টি আর গুরুদন্ড পেয়েছেন ১টি। মৌলভীবাজার জেলা গুরুদন্ডের আদেশ নং-১১৫৪ তাং ২৯/০৫/২০২২ইং। নিজের ঘরে রয়েছে স্ত্রী সেলি সহ দুটি সন্তান। পুলিশের চাকরির সুবাধে বিভিন্ন নারীর সাথে অবৈধ প্রেম, বিয়ে-প্রতারণা করেছেন একাধিকবার। এসব অপরাধের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এসআই জিয়াউল ইসলামের বিরুদ্ধে এবার একাধিক মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ২য় স্ত্রী দুই সন্তানের জননি মারুফা আক্তার শিপা। তিনি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার আশিঘর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর মেয়ে। তার ১ম বিয়ে হয়েছিলো রাজনগর উপজেলায়। সে ঘরে তার দুটি সন্তান রয়েছে। গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারী শিপার করা একটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত ২০১৭ সালে রাজনগর থানায় তৎকালীন সময়ে কর্মরত এসআই জিয়াউল ইসলামের সাথে একটি মামলার মাধ্যমে পরিচয় হয় মারুফা আক্তার শিপার। পরে ওই বছরের ১১ মে মামলার বিষয়ে কথা আছে বলে শিপাকে থানার পাশ্ববর্তী বাসার বাসিন্ধা নারী কনেস্টবল খাদিজা বেগমের বাসা নিয়ে নেশাজাতীয় পানিয়ে খাইয়ে অচেতন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেণ এসআই জিয়াউল ইসলাম। সে সময় তিনি ধর্ষণের একাধিক ভিডিও চিত্র ধারন করে শিপাকে ব্ল্যাকমেইল করেন জিয়াউল, কনেষ্টবল খাদিজা ও তার স্বামী জসিম মিয়া। উক্ত ঘটনায় মারুফা আক্তার শিপা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে চতুর জিয়াউল ইসলাম, স্থানীয় মেম্বার জিয়াউলের মামা আবুল হোসেন ও মৃত ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মিয়াসহ পরিচিত কয়েকজনকে সামনে রেখে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নাটক মঞ্চস্থ করেন আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখ। একই দিনে শিপাকে তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন জিয়া। এদিকে জিয়াউল ইসলামের বিয়ে, প্রথম স্বামীকে তালাক ও নতুন কাবিন রেজিষ্টার গুলো ভূয়া বলে জানিয়েছেন রাজনগরের পাঁচ নং কাজী নজরুল ইসলাম। বিয়ের নাটকটি কাজে লাগিয়ে শিপার কাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এসআই জিয়াউল। যৌতুকের টাকার জন্য অমানষিক নির্যাতন করে শিপার গর্ভের ৩ মাসের সন্তান নষ্ট করেন জিয়াউল। এরপর থেকে শিপাকে তার জীবন থেকে সরে যেতে নানা ভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করে এসআই জিয়াউল। বাধ্য হয়ে এসব ঘটনায় বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একাধিক মামলা মোকদ্দমা করেন শিপা। শিপার করা অভিযোগের বিষয় তদন্তকালে ধর্ষণ, বিয়ে, নির্যাতন, অর্থ আত্মসাতের সব রকম সত্যতা পান তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম। শিপার অভিযোগের পাশাপাশি জয়া নামের আরো এক নারিকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাতে প্রমান পেয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল এসপি কামরুল ইসলাম। জয়া মৃত কনেষ্টবল তাহেরের স্ত্রী। জয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে গড়ে বিবাহের কথা বলে একাধিকবার রিসোর্টে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কসহ নানা ভাবে অত্যাচার সহ তার মৃত-স্বামী কনস্টেবল তাহেরের পেনশনের চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় গুরুদন্ডে দন্ডিত হন জিয়াউল। যার ফলে তার এক বছরের বেতন স্থগিত করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসআই জিয়াউল ইসলাম অভ্যাসগত ভাবে কিংবা স্বভাবগতই দুশ্চরিত্রের অধিকারী যা নৈতিক স্খলন, বিভাগীয় নিয়ম-শৃংখলা পরিপন্তি তথা অসাদাচরনের সামিল। যার দ্বারা তিনি পিআরবির ১০০ ও ১০৯ ধারা ভঙ্গের অপরাধ করেছেন বলে প্রমানিত হয়। জিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে এসব বিশদ বিবরণ জানিয়ে মারুফা আক্তার গত ১৬ এপ্রিল আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে।