নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছেলে মেয়েদের নামে সকল সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় নিজের বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে ছেলে মেয়েরা। রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আষাঢ়িয়াচর এলাকায় নিজ বাড়িতে বৃদ্ধ আঃ রহিম (৭০)কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে তারা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আঃ রহিম জানান, উপজেলার পিরোপুর ইউপির আষাঢ়ীয়ারচর গ্রামে তার বাড়ি। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে ছেলে, মেয়ে ও ছেলেদের স্ত্রীরা তার দেখাশোনা না করায় গত কয়েক মাস আগে ২য় বিয়ে করেন তিনি। বিয়ে করার পর ছেলে-মেয়েরা সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিলে ছেলে মেয়েদেরকে একটি জমি লিখে দেই। এরই মধ্যে তারা আমার থাকার বাড়িটিও লিখে নিতে চাপ দেয় এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ছেলে মেয়েদেরকে আমার থাকার বাড়িটা লিখে না দেয়ায় ছেলে মেয়ে নাতিরা মিলে এই হামলা করে। প্রথমে ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪২), সাইফুল ইসলাম (৩৭), মেয়ে হালিমা আক্তার (৩২), নাতি রাহাদ (২৩) ও ছেলেদের স্ত্রীরা আমার সাথে তর্কে লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে তারা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পেটানো শুরু করে। পরে বটি দিয়ে কোপাতে থাকলে আমি আত্ম রক্ষার্থে বাড়ির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছেলেরা মারতে মারতে আমাকে গেইটের বাইরে ফেলে আবারো এলোপাতারি মারতে থাকে এবং বড় ছেলে গলায় পারা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এদিকে বৃদ্ধ আঃ রহিমের ছেলে মেয়েদের ভয়ে কেউ তাকে উদ্ধার করতে সাহস পায়নি। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা আঃ জলিল ঘটনাটি দেখে আঃ রহিমকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান, সন্তানদের বিরুদ্ধে আপন বাবাকে মেরে আহত করার ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থল থেকে তার বড় ছেলে জহিরকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছেলে মেয়েদের নামে সকল সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় নিজের বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে ছেলে মেয়েরা। রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে আষাঢ়িয়াচর এলাকায় নিজ বাড়িতে বৃদ্ধ আঃ রহিম (৭০)কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে তারা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আঃ রহিম জানান, উপজেলার পিরোপুর ইউপির আষাঢ়ীয়ারচর গ্রামে তার বাড়ি। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে ছেলে, মেয়ে ও ছেলেদের স্ত্রীরা তার দেখাশোনা না করায় গত কয়েক মাস আগে ২য় বিয়ে করেন তিনি। বিয়ে করার পর ছেলে-মেয়েরা সম্পত্তি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিলে ছেলে মেয়েদেরকে একটি জমি লিখে দেই। এরই মধ্যে তারা আমার থাকার বাড়িটিও লিখে নিতে চাপ দেয় এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ছেলে মেয়েদেরকে আমার থাকার বাড়িটা লিখে না দেয়ায় ছেলে মেয়ে নাতিরা মিলে এই হামলা করে। প্রথমে ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪২), সাইফুল ইসলাম (৩৭), মেয়ে হালিমা আক্তার (৩২), নাতি রাহাদ (২৩) ও ছেলেদের স্ত্রীরা আমার সাথে তর্কে লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে তারা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পেটানো শুরু করে। পরে বটি দিয়ে কোপাতে থাকলে আমি আত্ম রক্ষার্থে বাড়ির বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছেলেরা মারতে মারতে আমাকে গেইটের বাইরে ফেলে আবারো এলোপাতারি মারতে থাকে এবং বড় ছেলে গলায় পারা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এদিকে বৃদ্ধ আঃ রহিমের ছেলে মেয়েদের ভয়ে কেউ তাকে উদ্ধার করতে সাহস পায়নি। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা আঃ জলিল ঘটনাটি দেখে আঃ রহিমকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান জানান, সন্তানদের বিরুদ্ধে আপন বাবাকে মেরে আহত করার ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থল থেকে তার বড় ছেলে জহিরকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।