জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আসামি ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে আসামির আইনজীবী আজিজুর রহমান বলেন, তাঁরা এখনো ‘কপি অব অ্যালিগেশন’ পাননি। ফলে তাঁরা জানেন না তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী কবে, কোথায়, কখন, কাকে হত্যা করেছেন বা হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বয়স ৭০ বছরের বেশি এবং তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাই জামিন প্রয়োজন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এই আসামিকে ‘প্রাইমারি অ্যালিগেশন’ দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় দেশব্যাপী সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন, ফলে সেই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর দায় রয়েছে, যা ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ পর্যায়ের। তাঁর জামিন অচিন্তনীয়। ফরমাল চার্জ গঠনের পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পষ্টভাবে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অনেক আসামি পালিয়েছেন, যাঁদের ইন্টারপোল বা বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে আনা যাচ্ছে না। তাই তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরীর জামিন হলে তিনিও পালাতে পারেন।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, চিকিৎসকের নথিপত্রে এমন কিছু নেই যাতে তাঁর জীবন হুমকির মুখে বলা যায়। বয়স বিবেচনায়ও তিনি ভালো আছেন। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আসামি ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে আসামির আইনজীবী আজিজুর রহমান বলেন, তাঁরা এখনো ‘কপি অব অ্যালিগেশন’ পাননি। ফলে তাঁরা জানেন না তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরী কবে, কোথায়, কখন, কাকে হত্যা করেছেন বা হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বয়স ৭০ বছরের বেশি এবং তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাই জামিন প্রয়োজন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এই আসামিকে ‘প্রাইমারি অ্যালিগেশন’ দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় দেশব্যাপী সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন, ফলে সেই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর দায় রয়েছে, যা ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ পর্যায়ের। তাঁর জামিন অচিন্তনীয়। ফরমাল চার্জ গঠনের পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পষ্টভাবে জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার অনেক আসামি পালিয়েছেন, যাঁদের ইন্টারপোল বা বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে আনা যাচ্ছে না। তাই তৌফিক–ই–ইলাহী চৌধুরীর জামিন হলে তিনিও পালাতে পারেন।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, চিকিৎসকের নথিপত্রে এমন কিছু নেই যাতে তাঁর জীবন হুমকির মুখে বলা যায়। বয়স বিবেচনায়ও তিনি ভালো আছেন। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।