alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাল অপহরণ ও হত্যার আসামি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে অপহরণের পর হত্যা মামলার এক আসামি।

শরিফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি স্কুলছাত্র জিসান হোসেনকে অপহরণের পর হত্যা মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান বলে হাজতখানার এসআই মো. রিপন মোল্লা জানান।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এদিন এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল। সেজন্য দুই আসামি শরীফুল ইসলাম এবং শাহিন মণ্ডলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

পরে তাদের এজলাসে তোলা হয়। সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু।

তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের আদালতের দ্বিতীয় তলা থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে নিচ তলা থেকে পালিয়ে যান শরিফুল ইসলাম।

আদালতের সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা যায়, দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য চার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে হাজতখানার দিকে যাচ্ছিলেন। শরিফুল ইসলাম ছিলেন সবার সামনে। তাদের পেছন থেকে দড়ি ধরে হাঁটছিলেন ওই কনস্টেবল।

এভাবে আদালত ভবনের নিচে সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে শরিফুল কোনোভাবে হাতকড়া খুলে দৌড় দেন। পরে তিনি পাশের একটা আদালতে যান। সেখানে গিয়ে গায়ের সাদা শার্ট খুলে হাতে নেন। লাল টি-শার্ট পড়া অবস্থায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।

হাজতখানার এসআই রিপন মোল্লা বলেন, “আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে আসার পথে কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়।”

শরিফুল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদ খানের ছেলে।

ডিএমপির প্রসিকিউশন পুলিশের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, “আসামির হাতে হাতকড়া ছিল। সে ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া লুজ করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলকে হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।”

আসামিকে নিয়ে আসার দায়িত্বে থাকা সেই কনস্টেবল শহিদুল্লাহর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার মাথায় এখন কিছু কাজ করছে না। পরে সবকিছু আপনাদের জানাব।”

২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগে এক আত্মীয়র বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিল জিসান হোসেন। এরপর আর বাসায় ফেরেনি সে। পরিবার খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি।

পরদিন ভোর রাত ৪টার দিকে জিসানের মোবাইল থেকে তার বাবা মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে বার্তা আসে, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ৩০ মিনিট পর ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয় জিসানের মুক্তির জন্য।

এ ঘটনায় মোফাজ্জল হোসেন খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৩ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পান, জিসানের বয়সী একটা ছেলের লাশ ঢাকা মেডিকেলে পড়ে আছে।

সেখানে গিয়ে তিনি ছেলের লাশ সনাক্ত করেন। জানতে পারেন, বাড্ডা থানা পুলিশ আফতাব নগরের আলমগীরের মাছের খামারের মধ্যে জিসানের দেহ চারটি ইট, মাফলার দিয়ে কোমরের সাথে বাঁধা অবস্থায় পায়।

পরে র‌্যাব জিসান হত্যায় জড়িত সন্দেহে শাহিন মিয়া ও শরিফুল ইসলামকে আটক করে। র‌্যাবের কাছে তারা স্বীকার করেন, ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিসানকে ফুঁসলিয়ে সিপাহীবাগ নতুন রাস্তা রিকশা গ্যারেজ থেকে অপহরণ করে আফতাব নগরে আলমগীরের মাছের খামারে নিয়ে যান। সেখানে তারা জিসানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ গুম করতে জিসানের কোমরের সঙ্গে মাফলার দিয়ে চারটি ইট বেঁধে পানিতে ফেলে দেন।

এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি খিলগাঁও থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাৎ খান দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলার ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

ছবি

নগদের ১ কোটি টাকার ডাকাতি: রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের, উদ্ধার সাড়ে ৩২ লাখ

ছবি

স্বপ্না হত্যা: থানা থেকে সিআইডি, তবু রহস্য অজানা

ছবি

আদালত অবমাননার মামলায় আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের সহায়তাকারী নিযুক্ত

ছবি

সবজি ব্যবসায়ী শাওন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে, আনিসুল হক গ্রেপ্তার

মিরপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কেরাণীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

রংপুরের কাউনিয়ায় টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ছবি

মানিলন্ডারিং তদন্ত: তিন সহযোগীর বিদেশ যাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

হাজিরা না দিলে অনুপস্থিতিতেই শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে: ট্রাইব্যুনাল

ছবি

যুক্তরাজ্যে বসুন্ধরা মালিকপক্ষসহ কয়েকজনের সম্পদ জব্দে উদ্যোগ: দুদক

ছবি

টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, তাকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দেখছে দুদক

ছবি

লাশ টুকরো করে বালু চাপা: ব্যবসায়ী জাকির হত্যা মামলায় চার আসামি আদালতে, একজনের স্বীকারোক্তি

ছবি

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যকে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান

অবশেষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা

পীরগাছায় ইসলামিক রিলিফের গরুর মাংস বিতরণের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির গুইমারায় এক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক-১

ছবি

রিমান্ড শেষে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কারাগারে

ছবি

ই-মানি জালিয়াতিতে ‘নগদ’-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অবমাননার মামলায় দুইজনের অনুপস্থিতি

পাঁচটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ছবি

ভাড়ার মোটরসাইকেলচালকের ধর্ষণের শিকার বিউটি পার্লারের কর্মী, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল

কেরাণীগঞ্জে হত্যা করে মরদেহ ১০ টুকরো, দেবর-ভাবির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: যেসব অভিযোগ ছিলো জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে

ছবি

মিরপুর সড়কে গুলি করে তিন ব্যাগ টাকা-ডলার ছিনিয়ে নিল সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাধিক মামলার আসামি ইউসুফ এখনোও পলাতক

ছবি

জমি দখল ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের ডাক, সময় চাইলেন আহমেদ আকবর সোবহান

মগবাজারে দিনেদুপুরে যুবককে উপর্যুপরি চাপাতির কোপ, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বাড্ডায় এলোপাতাড়ি গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

যাত্রাবাড়ীতে বৃক্ষমেলায় ককটেল বিস্ফোরণ

সার্ভার হ্যাক, রাজউকে ভবনের নকশার ভূয়া‘অনুমোদন’

ছবি

দুদকের অনুসন্ধানে শেখ হাসিনার জমি ও গাড়ি গোপনের প্রমাণ, আইনগত পদক্ষেপ চায় কমিশন

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের মামলা, বাদী ব্যাংক কর্মকর্তা

ছবি

রাজধানীতে বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

ধর্ষণ ও মারধরের মামলায় কণ্ঠশিল্পী নোবেল কারাগারে

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাল অপহরণ ও হত্যার আসামি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে অপহরণের পর হত্যা মামলার এক আসামি।

শরিফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি স্কুলছাত্র জিসান হোসেনকে অপহরণের পর হত্যা মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে যান বলে হাজতখানার এসআই মো. রিপন মোল্লা জানান।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে এদিন এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ছিল। সেজন্য দুই আসামি শরীফুল ইসলাম এবং শাহিন মণ্ডলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

পরে তাদের এজলাসে তোলা হয়। সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু।

তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের আদালতের দ্বিতীয় তলা থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে নিচ তলা থেকে পালিয়ে যান শরিফুল ইসলাম।

আদালতের সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা যায়, দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য চার আসামিকে সঙ্গে নিয়ে হাজতখানার দিকে যাচ্ছিলেন। শরিফুল ইসলাম ছিলেন সবার সামনে। তাদের পেছন থেকে দড়ি ধরে হাঁটছিলেন ওই কনস্টেবল।

এভাবে আদালত ভবনের নিচে সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে শরিফুল কোনোভাবে হাতকড়া খুলে দৌড় দেন। পরে তিনি পাশের একটা আদালতে যান। সেখানে গিয়ে গায়ের সাদা শার্ট খুলে হাতে নেন। লাল টি-শার্ট পড়া অবস্থায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।

হাজতখানার এসআই রিপন মোল্লা বলেন, “আসামিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে আসার পথে কনস্টেবল শহিদুল্লাহকে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়।”

শরিফুল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামের মৃত শফিক আহম্মেদ খানের ছেলে।

ডিএমপির প্রসিকিউশন পুলিশের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, “আসামির হাতে হাতকড়া ছিল। সে ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া লুজ করে কৌশলে খুলে ফেলে। পরে পুলিশ কনস্টেবলকে হাতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।”

আসামিকে নিয়ে আসার দায়িত্বে থাকা সেই কনস্টেবল শহিদুল্লাহর কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার মাথায় এখন কিছু কাজ করছে না। পরে সবকিছু আপনাদের জানাব।”

২০১৮ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগে এক আত্মীয়র বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিল জিসান হোসেন। এরপর আর বাসায় ফেরেনি সে। পরিবার খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি।

পরদিন ভোর রাত ৪টার দিকে জিসানের মোবাইল থেকে তার বাবা মোফাজ্জল হোসেনের মোবাইলে বার্তা আসে, তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ৩০ মিনিট পর ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয় জিসানের মুক্তির জন্য।

এ ঘটনায় মোফাজ্জল হোসেন খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৩ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খবর পান, জিসানের বয়সী একটা ছেলের লাশ ঢাকা মেডিকেলে পড়ে আছে।

সেখানে গিয়ে তিনি ছেলের লাশ সনাক্ত করেন। জানতে পারেন, বাড্ডা থানা পুলিশ আফতাব নগরের আলমগীরের মাছের খামারের মধ্যে জিসানের দেহ চারটি ইট, মাফলার দিয়ে কোমরের সাথে বাঁধা অবস্থায় পায়।

পরে র‌্যাব জিসান হত্যায় জড়িত সন্দেহে শাহিন মিয়া ও শরিফুল ইসলামকে আটক করে। র‌্যাবের কাছে তারা স্বীকার করেন, ১৯ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য জিসানকে ফুঁসলিয়ে সিপাহীবাগ নতুন রাস্তা রিকশা গ্যারেজ থেকে অপহরণ করে আফতাব নগরে আলমগীরের মাছের খামারে নিয়ে যান। সেখানে তারা জিসানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ গুম করতে জিসানের কোমরের সঙ্গে মাফলার দিয়ে চারটি ইট বেঁধে পানিতে ফেলে দেন।

এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি মোফাজ্জল হোসেন খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি খিলগাঁও থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ রাহাৎ খান দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলার ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

back to top