alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

স্বপ্না হত্যা: থানা থেকে সিআইডি, তবু রহস্য অজানা

আফসানা আক্তার : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগর সরকারি এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন স্বপ্না আক্তার। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর ১৪ বছর বয়সী এ কিশোরীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার বছর পেরিয়ে গেলেও স্বপ্না হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

এতে হতাশ নিহতের পরিবারের সদস্যরা। সন্তান হত্যার বিচারের অপক্ষোয় এখনও দিন কাটছে স্বপ্নার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও মা শাহিনা আক্তার নেহার। অন্তত সন্তানের হত্যাকারী কে তা জানতে চান তারা।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি কদমতলী পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হন কিশোরী স্বপ্না। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। তিনদিন পর বাড়ির অদূরে একটি ময়লার স্তুপ থেকে তার বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বাড়ির গলিতে ঢুকতেও দেখা যায় কিশোরী স্বপ্নাকে। তবে, তিনি বাসায় ফেরেননি বলে জানান নিহতের বাবা-মা।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই সময় নিহতের মা শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শুরুতে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও এটি এখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। তবে, থানা পুলিশের মতো তারাও হত্যার কারণ এবং জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি।

পুলিশের তথ্যমতে, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল স্বপ্নাকে। লাশ উদ্ধারের সময় তার হাত-পা বাঁধা ছিল। গলায় একাধিক ছুরির আঘাত ছিল এবং চেহারাও ছিল বিকৃত অবস্থায়। এতটাই বিকৃত ছিল যে, তার বাবা-মাও প্রথমে স্বপ্নাকে শনাক্ত করতে পারেনি। পরে পরনের জামা-কাপড় দেখে এই লাশ স্বপ্নার বলে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে, নিহতের স্কুলব্যাগ ও জুতাও পাওয়া যায়নি।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির তদন্তের পর তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নিখোঁজের দিনই হত্যার শিকার হন তিনি। পরে হাত-পা বেঁধে লাশ এমনভাবে কাপড়ে মুড়িয়ে বস্তায় ভরা হয় যাতে রক্তের চিহ্নও বাইরে থেকে বোঝা না যায়।

স্বপ্নার লাশ সনাক্ত হওয়ার পরপরই তদন্তে নামে থানা পুলিশ। তারা একাধিকবার স্বপ্নার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও মা শাহিনা আক্তার নেহাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। দফায় দফায় স্বপ্নার জেঠা, চাচাতো ভাই, সহপাঠী ও বান্ধবীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু হত্যার রহস্য উদঘাটতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে পুলিশেরই এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর হয়।

নিহতের পিতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “পুলিশ আমাদের দু’জনকে দু’দিন ধরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের সন্দেহ ছিল, আমরা শাসন করতে গিয়ে স্বপ্নাকে মেরে ফেলেছি। কিন্তু সেদিন স্বপ্না তো বাসায়ই আসেনি। সকালে স্কুলের জন্য বের হয়, এরপর আমরা ওর লাশ পেয়েছি।”

সন্তান হত্যার বিচারের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন মা শাহিনা। তিনি বলেন, “স্বপ্নাকে হারানোর পর আমরা সবকিছুই হারিয়েছি। একদিকে সন্তান হারানোর কষ্ট, অন্যদিকে মানুষের বঞ্চনা। পুলিশের সন্দেহের কারণে এলাকাবাসীও আমাদের সন্দেহ করতে শুরু করে। এই কারণে আমাকে গার্মেন্টসের চাকরি থেকেও বের করে দেওয়া হয়। নানা লোকে আমার মেয়েকে নিয়ে নানা রকম আজে-বাজে কথা বলাবলি করে। এখনো অনেকে অনেক কথা বলে। এসব শুনলে বুক ফেঁটে যায়।”

সন্তান হত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, “এক সন্তানকে হারিয়ে আমাদের পরিবার নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাই। জানতে চাই, কারা, কেন আমাদের স্বপ্না হত্যা করেছে। কি দোষ ছিল আমাদের, যে এমন শাস্তি আমাদের দিল।”

মামলাটির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সাত্তার মোল্লা বলেন, “এ মামলায় কোনো সাক্ষী-প্রমাণ না থাকায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। তবে, আমরা এখনও এটি নিয়ে কাজ করছি।”

ছবি

নগদের ১ কোটি টাকার ডাকাতি: রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের, উদ্ধার সাড়ে ৩২ লাখ

ছবি

সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাল অপহরণ ও হত্যার আসামি

ছবি

আদালত অবমাননার মামলায় আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের সহায়তাকারী নিযুক্ত

ছবি

সবজি ব্যবসায়ী শাওন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে, আনিসুল হক গ্রেপ্তার

মিরপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কেরাণীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

রংপুরের কাউনিয়ায় টিসিবির কার্ড বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ছবি

মানিলন্ডারিং তদন্ত: তিন সহযোগীর বিদেশ যাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

হাজিরা না দিলে অনুপস্থিতিতেই শেখ হাসিনার বিচার শুরু হবে: ট্রাইব্যুনাল

ছবি

যুক্তরাজ্যে বসুন্ধরা মালিকপক্ষসহ কয়েকজনের সম্পদ জব্দে উদ্যোগ: দুদক

ছবি

টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, তাকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দেখছে দুদক

ছবি

লাশ টুকরো করে বালু চাপা: ব্যবসায়ী জাকির হত্যা মামলায় চার আসামি আদালতে, একজনের স্বীকারোক্তি

ছবি

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যকে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান

অবশেষে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা

পীরগাছায় ইসলামিক রিলিফের গরুর মাংস বিতরণের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির গুইমারায় এক পাহাড়ি গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক-১

ছবি

রিমান্ড শেষে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কারাগারে

ছবি

ই-মানি জালিয়াতিতে ‘নগদ’-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অবমাননার মামলায় দুইজনের অনুপস্থিতি

পাঁচটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর

ছবি

ভাড়ার মোটরসাইকেলচালকের ধর্ষণের শিকার বিউটি পার্লারের কর্মী, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল

কেরাণীগঞ্জে হত্যা করে মরদেহ ১০ টুকরো, দেবর-ভাবির মৃত্যুদণ্ড

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: যেসব অভিযোগ ছিলো জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে

ছবি

মিরপুর সড়কে গুলি করে তিন ব্যাগ টাকা-ডলার ছিনিয়ে নিল সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাধিক মামলার আসামি ইউসুফ এখনোও পলাতক

ছবি

জমি দখল ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের ডাক, সময় চাইলেন আহমেদ আকবর সোবহান

মগবাজারে দিনেদুপুরে যুবককে উপর্যুপরি চাপাতির কোপ, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বাড্ডায় এলোপাতাড়ি গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

ছবি

বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

যাত্রাবাড়ীতে বৃক্ষমেলায় ককটেল বিস্ফোরণ

সার্ভার হ্যাক, রাজউকে ভবনের নকশার ভূয়া‘অনুমোদন’

ছবি

দুদকের অনুসন্ধানে শেখ হাসিনার জমি ও গাড়ি গোপনের প্রমাণ, আইনগত পদক্ষেপ চায় কমিশন

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের মামলা, বাদী ব্যাংক কর্মকর্তা

ছবি

রাজধানীতে বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

ধর্ষণ ও মারধরের মামলায় কণ্ঠশিল্পী নোবেল কারাগারে

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

স্বপ্না হত্যা: থানা থেকে সিআইডি, তবু রহস্য অজানা

আফসানা আক্তার

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগর সরকারি এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন স্বপ্না আক্তার। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর ১৪ বছর বয়সী এ কিশোরীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার বছর পেরিয়ে গেলেও স্বপ্না হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

এতে হতাশ নিহতের পরিবারের সদস্যরা। সন্তান হত্যার বিচারের অপক্ষোয় এখনও দিন কাটছে স্বপ্নার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও মা শাহিনা আক্তার নেহার। অন্তত সন্তানের হত্যাকারী কে তা জানতে চান তারা।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ এপ্রিল সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি কদমতলী পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হন কিশোরী স্বপ্না। তারপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। তিনদিন পর বাড়ির অদূরে একটি ময়লার স্তুপ থেকে তার বস্তাবন্দি হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বাড়ির গলিতে ঢুকতেও দেখা যায় কিশোরী স্বপ্নাকে। তবে, তিনি বাসায় ফেরেননি বলে জানান নিহতের বাবা-মা।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই সময় নিহতের মা শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শুরুতে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও এটি এখন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। তবে, থানা পুলিশের মতো তারাও হত্যার কারণ এবং জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি।

পুলিশের তথ্যমতে, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল স্বপ্নাকে। লাশ উদ্ধারের সময় তার হাত-পা বাঁধা ছিল। গলায় একাধিক ছুরির আঘাত ছিল এবং চেহারাও ছিল বিকৃত অবস্থায়। এতটাই বিকৃত ছিল যে, তার বাবা-মাও প্রথমে স্বপ্নাকে শনাক্ত করতে পারেনি। পরে পরনের জামা-কাপড় দেখে এই লাশ স্বপ্নার বলে শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে, নিহতের স্কুলব্যাগ ও জুতাও পাওয়া যায়নি।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির তদন্তের পর তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নিখোঁজের দিনই হত্যার শিকার হন তিনি। পরে হাত-পা বেঁধে লাশ এমনভাবে কাপড়ে মুড়িয়ে বস্তায় ভরা হয় যাতে রক্তের চিহ্নও বাইরে থেকে বোঝা না যায়।

স্বপ্নার লাশ সনাক্ত হওয়ার পরপরই তদন্তে নামে থানা পুলিশ। তারা একাধিকবার স্বপ্নার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও মা শাহিনা আক্তার নেহাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন। দফায় দফায় স্বপ্নার জেঠা, চাচাতো ভাই, সহপাঠী ও বান্ধবীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু হত্যার রহস্য উদঘাটতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে পুলিশেরই এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর হয়।

নিহতের পিতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “পুলিশ আমাদের দু’জনকে দু’দিন ধরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের সন্দেহ ছিল, আমরা শাসন করতে গিয়ে স্বপ্নাকে মেরে ফেলেছি। কিন্তু সেদিন স্বপ্না তো বাসায়ই আসেনি। সকালে স্কুলের জন্য বের হয়, এরপর আমরা ওর লাশ পেয়েছি।”

সন্তান হত্যার বিচারের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন মা শাহিনা। তিনি বলেন, “স্বপ্নাকে হারানোর পর আমরা সবকিছুই হারিয়েছি। একদিকে সন্তান হারানোর কষ্ট, অন্যদিকে মানুষের বঞ্চনা। পুলিশের সন্দেহের কারণে এলাকাবাসীও আমাদের সন্দেহ করতে শুরু করে। এই কারণে আমাকে গার্মেন্টসের চাকরি থেকেও বের করে দেওয়া হয়। নানা লোকে আমার মেয়েকে নিয়ে নানা রকম আজে-বাজে কথা বলাবলি করে। এখনো অনেকে অনেক কথা বলে। এসব শুনলে বুক ফেঁটে যায়।”

সন্তান হত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, “এক সন্তানকে হারিয়ে আমাদের পরিবার নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাই। জানতে চাই, কারা, কেন আমাদের স্বপ্না হত্যা করেছে। কি দোষ ছিল আমাদের, যে এমন শাস্তি আমাদের দিল।”

মামলাটির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সাত্তার মোল্লা বলেন, “এ মামলায় কোনো সাক্ষী-প্রমাণ না থাকায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। তবে, আমরা এখনও এটি নিয়ে কাজ করছি।”

back to top