ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যা-নিপীড়নের ঘটনায় দায়ের করা দেড় হাজারের বেশি মামলার মধ্যে আরও ৮টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এ নিয়ে মোট ৩৪টি মামলার অভিযোগপত্র দিলো পুলিশ। মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় সারাদেশে ১ হাজার ৭৩০টি মামলা হয়েছে। গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত ২৬টি মামলার অভিযোগপত্র দেয়ার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
নতুন ৮টি যোগ করে ৩৪টির মধ্যে অভিযোগপত্র জমা পড়া মামলাগুলোর মধ্যে ১৩টি হত্যা মামলা, বাকি ২১টি অন্যান্য ধারার।
শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও কুড়িগ্রাম জেলার এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও চট্টগ্রাম, রাজশাহী মহানগর পুলিশ ১৩ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ দপ্তর।
অন্যান্য ধারার ২১টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলার এবং ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ।
৩৪টি হত্যা মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ৩৯০ জন এবং অন্যান্য ধারার মামলায় মোট আসামি ৭৭৭ জন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্রদের আন্দোলন শেষমেশ সরকার উৎখাতের ইতিহাসে পড়ে। শুরুতে এ আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
সরকারের তরফে জবাব ছিল- গুলি, টিয়ারশেল আর লাঠি, এককথায় কেবলই বলপ্রয়োগ। প্রথমে ফেইসবুক, পরে ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় সরকার।
তাতে হিতে বিপরীত হয়। আন্দোলনে রক্তপাত শুরু হওয়ার ২০ দিনের মধ্যেই লাশ আর রক্তের বোঝা মাথায় নিয়ে পতন হয় দেড় দশকের আওয়ামী লীগ সরকারের।
৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন সাড়ে ১৫ বছর দেশ চালিয়ে আসা শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সে সময়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের যে তালিকা সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, সেখানে শহীদের সংখ্যা আটশ’র বেশি।
তবে অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হতে পারে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যা-নিপীড়নের ঘটনায় দায়ের করা দেড় হাজারের বেশি মামলার মধ্যে আরও ৮টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
এ নিয়ে মোট ৩৪টি মামলার অভিযোগপত্র দিলো পুলিশ। মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় সারাদেশে ১ হাজার ৭৩০টি মামলা হয়েছে। গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত ২৬টি মামলার অভিযোগপত্র দেয়ার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
নতুন ৮টি যোগ করে ৩৪টির মধ্যে অভিযোগপত্র জমা পড়া মামলাগুলোর মধ্যে ১৩টি হত্যা মামলা, বাকি ২১টি অন্যান্য ধারার।
শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও কুড়িগ্রাম জেলার এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ও চট্টগ্রাম, রাজশাহী মহানগর পুলিশ ১৩ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ দপ্তর।
অন্যান্য ধারার ২১টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলার এবং ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ।
৩৪টি হত্যা মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ৩৯০ জন এবং অন্যান্য ধারার মামলায় মোট আসামি ৭৭৭ জন।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্রদের আন্দোলন শেষমেশ সরকার উৎখাতের ইতিহাসে পড়ে। শুরুতে এ আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
সরকারের তরফে জবাব ছিল- গুলি, টিয়ারশেল আর লাঠি, এককথায় কেবলই বলপ্রয়োগ। প্রথমে ফেইসবুক, পরে ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় সরকার।
তাতে হিতে বিপরীত হয়। আন্দোলনে রক্তপাত শুরু হওয়ার ২০ দিনের মধ্যেই লাশ আর রক্তের বোঝা মাথায় নিয়ে পতন হয় দেড় দশকের আওয়ামী লীগ সরকারের।
৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন সাড়ে ১৫ বছর দেশ চালিয়ে আসা শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সে সময়ের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের যে তালিকা সরকার গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে, সেখানে শহীদের সংখ্যা আটশ’র বেশি।
তবে অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘ যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হতে পারে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।