alt

news » crime-corruption

গাজীপুরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মেলার নামে লটারি প্রতারণা, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

জেলা বার্তা পরিবেশক, গাজীপুর : মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুরে বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলার নামে চলছে লটারির রমরমা ব্যবসা -সংবাদ

গাজীপুর সদর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস (স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে) বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলার নামে চলছে লটারি ব্যবসা। মেলা শুরু হওয়ার মাত্র একদিনের মধ্যেই র‌্যাফেল ড্রয়ের নামে অবৈধ লটারি চালু হয়, যা এখন মেলার মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এই মেলার কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। মেলার কর্তৃপক্ষও অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মতো সুরক্ষিত স্থানে কোনো অদৃশ্য ক্ষমতার বলে চলছে এই মেলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়। এর পরদিন থেকেই শুরু হয় লটারি বিক্রি। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক অটোরিকশা যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্রতিটি গাড়িতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার লটারি বিক্রি করা হচ্ছে। দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার লটারি বিক্রি হলেও পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে মাত্র ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার সামগ্রী। বাকি অর্থ চলে যাচ্ছে মেলার আয়োজকদের পকেটে।

রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফা খানম জানান, বান্ধবীদের নিয়ে মেলায় এসে আকর্ষণীয় পুরস্কারের লোভে ১০০টি লটারি টিকিট কিনলেও একটিও পুরস্কার পাইনি। তার মতো গাজীপুরের হাজারো শিক্ষার্থী তাদের জমানো টাকা হারিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এমনকি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাও টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে লটারির টিকিট কিনছে।

স্থানীয় কারখানার কর্মকর্তা আলী আকবর বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় কুটির শিল্প ও বৃক্ষ মেলা দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে লটারি। এতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

দোকান কর্মচারী হাসান মিয়া বলেন, ভ্যানগাড়িতে লটারি বিক্রির সময় বলা হচ্ছে এটি সেনাবাহিনীর অনুমোদিত। আবার বড় পুরস্কারের লোভ দেখানো হচ্ছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

মেলার ব্যানারে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি মাইকিং করে সেনাবাহিনীর অনুমোদিত বলে প্রচার চালিয়ে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সচেতন মহল ও দর্শনার্থীরা বলছেন, মেলা হওয়া উচিত আনন্দ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উৎসব হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে এটি সাধারণ মানুষের জন্য প্রতারণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এজন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এছাড়া মাঠের অপর পাশে বন বিভাগের জায়গায় গাছ কেটে তৈরি করা হয়েছে বিশাল পার্কিং এলাকা। সেখানে গাড়িপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে বন উজাড় হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

অনুমোদন কোথায় থেকে নিয়েছেন জানতে চাইলে মেলার আয়োজক মজিবর রহমান বলেন, ক্যান্টেনমেন্ট বোর্ড থেকে আমাদেরকে ৩০ দিনের জন্য বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলার অনুমোদন দিয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট ও সেনানিবাস সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো মেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। মেলার জন্য যে মাঠটি ব্যবহার করা হয়েছে তা সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের নয়।

এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী সংবাদকে বলেন, তারা আমাদের কাছে এসেছিল, কিন্তু আমরা কোনো ধরনের অনুমতি দেইনি। তাদের আমরা আমাদের নাম ব্যবহার না করার জন্য বলেছি। এটি একটি স্কুলের মাঠ, ক্যান্টনমেন্টের নয়। বিষয়টি স্টেশন সদর দপ্তরকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।

জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, গত ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় আমার অফিসার পাঠিয়ে নিষেধ করেছি যে, কোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কার্যক্রম করা যাবে না। অনুমোদনের কাগজও তারা দেখাতে পারেনি। শুনেছি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নামে অনুমতির কথা বলছে, তবে বাস্তবে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এটা সেনাবাহিনীর এলাকা, তারা পুলিশি সহায়তা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো।

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. যাবের সাদেক সংবাদকে বলেন, মেলার বিষয়টি আমার জানা নেই, আর্মিরা বলতে পারবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন সংবাদকে বলেন, জেলা প্রশাসনে একটি অবহিত পত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার কোনো অনুমোদন দেয়া হয় নি।

ছবি

সাংবাদিক নির্যাতন মামলা: সাবেক ডিসি সুলতানা কারাগারে

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে আরও ৬ জনের সাক্ষ্য

ছবি

জুলাই আন্দোলনে দমন-পীড়ন: মামলা দেড় হাজারের বেশি, অভিযোগপত্র ৩৪টির

ছবি

পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম: এখনও অধরা মূল হোতারা

ছবি

জুলাই হত্যাকাণ্ড: ট্রাইব্যুনালে যা বললেন ‘রাজসাক্ষী’ পুলিশের সাবেক আইজি মামুন

ছবি

আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গ্রেপ্তার ১০২

ছবি

সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে

ছবি

ধর্ষণে মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা করা বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

ছাগলকাণ্ড: স্ত্রীসহ মতিউরের রিমান্ড শুনানিতে আসেননি তদন্ত কর্মকর্তা

ছবি

অতিরিক্ত ডিআইজি ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক

ছবি

শিক্ষক কার্জনকে জামিন দেয়নি আদালত

ছবি

রাতের আঁধারে কেটে দেওয়া হলো কৃষকের স্বপ্নের লাউগাছ

ছবি

সীতাকুণ্ডে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক ৪

ছবি

জাহিদ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি

ছবি

সিলেটে হাঁস মারার প্রতিবাদে খুন

ছবি

জামিন নাকচ, কারাগারে তৌহিদ আফ্রিদি

ছবি

যমেক: এসি ও প্রজেক্টর চুরিতে তুমুল হইচই

ছবি

গুমের বিচার হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে: মাইকেল চাকমা

ছবি

আইন অমান্য করায় ১২২ জেলে আটক

ছবি

উপদেষ্টা হতে সমন্বয়ককে ২শ’ কোটির চেক, ‘সত্যতা’ পেয়েছে দুদক

পীরগাছায় বাড়ির উঠোনে শুকোচ্ছে গাঁজা, কলাবাগানে লুকানো ৩০ গাছ

ছবি

চট্টগ্রাম থেকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, কক্সবাজারে উদ্ধার

ছবি

জনশক্তি রপ্তানি ‘সিন্ডিকেট’: লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিনসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ‘মানিলন্ডারিং’ মামলা

ছবি

জেনেভা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান: সামুরাই-চাপাতিসহ গ্রেপ্তার ১১

ছবি

আরেক সাবেক এমপির অফিসে চাঁদাবাজি: ‘বৈষম্যবিরোধী’ সেই ৪ নেতা রিমান্ডে

ছবি

কারাগারে থাকা জ্বালাময়ী জালালের ভোটাধিকারের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ডাকসু

ছবি

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের মামলায় সাবেক উপাচার্য কলিমউল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড

পীরগাছায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

চার মামলায় দণ্ড: কারাগারে বিএনপি নেতা মামুন হাসান

ছবি

সাদা পাথর পর্যটন স্পট পরিদর্শন করলো মন্ত্রিপরিষদ তদন্ত কমিটি

ছবি

মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন: ৬ মাসেই ধর্ষণের ঘটনা গত বছরের প্রায় সমান

ছবি

ঢাকা বিমানবন্দর: সাড়ে ৮ কেজি কোকেনসহ গায়ানার নাগরিক গ্রেপ্তার

ছবি

ফরিদপুরে দুই কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছবি

৩১০ টাকার বিদ্যুৎ বিল ৩ লক্ষাধিক টাকা!

ছবি

সিরাজগঞ্জে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার

ছবি

যুবদল নেতা মাসুদ রানা হত্যা: ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

tab

news » crime-corruption

গাজীপুরে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মেলার নামে লটারি প্রতারণা, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

জেলা বার্তা পরিবেশক, গাজীপুর

গাজীপুরে বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলার নামে চলছে লটারির রমরমা ব্যবসা -সংবাদ

মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুর সদর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস (স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে) বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলার নামে চলছে লটারি ব্যবসা। মেলা শুরু হওয়ার মাত্র একদিনের মধ্যেই র‌্যাফেল ড্রয়ের নামে অবৈধ লটারি চালু হয়, যা এখন মেলার মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এই মেলার কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। মেলার কর্তৃপক্ষও অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মতো সুরক্ষিত স্থানে কোনো অদৃশ্য ক্ষমতার বলে চলছে এই মেলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে মেলা শুরু হয়। এর পরদিন থেকেই শুরু হয় লটারি বিক্রি। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক অটোরিকশা যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে প্রতিটি গাড়িতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার লটারি বিক্রি করা হচ্ছে। দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার লটারি বিক্রি হলেও পুরস্কার হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে মাত্র ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার সামগ্রী। বাকি অর্থ চলে যাচ্ছে মেলার আয়োজকদের পকেটে।

রাজেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফা খানম জানান, বান্ধবীদের নিয়ে মেলায় এসে আকর্ষণীয় পুরস্কারের লোভে ১০০টি লটারি টিকিট কিনলেও একটিও পুরস্কার পাইনি। তার মতো গাজীপুরের হাজারো শিক্ষার্থী তাদের জমানো টাকা হারিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এমনকি ছোট ছোট শিক্ষার্থীরাও টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে লটারির টিকিট কিনছে।

স্থানীয় কারখানার কর্মকর্তা আলী আকবর বলেন, পরিবার নিয়ে মেলায় কুটির শিল্প ও বৃক্ষ মেলা দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে লটারি। এতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

দোকান কর্মচারী হাসান মিয়া বলেন, ভ্যানগাড়িতে লটারি বিক্রির সময় বলা হচ্ছে এটি সেনাবাহিনীর অনুমোদিত। আবার বড় পুরস্কারের লোভ দেখানো হচ্ছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

মেলার ব্যানারে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি মাইকিং করে সেনাবাহিনীর অনুমোদিত বলে প্রচার চালিয়ে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সচেতন মহল ও দর্শনার্থীরা বলছেন, মেলা হওয়া উচিত আনন্দ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উৎসব হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে এটি সাধারণ মানুষের জন্য প্রতারণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এজন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এছাড়া মাঠের অপর পাশে বন বিভাগের জায়গায় গাছ কেটে তৈরি করা হয়েছে বিশাল পার্কিং এলাকা। সেখানে গাড়িপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে বন উজাড় হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

অনুমোদন কোথায় থেকে নিয়েছেন জানতে চাইলে মেলার আয়োজক মজিবর রহমান বলেন, ক্যান্টেনমেন্ট বোর্ড থেকে আমাদেরকে ৩০ দিনের জন্য বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলার অনুমোদন দিয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট ও সেনানিবাস সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো মেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। মেলার জন্য যে মাঠটি ব্যবহার করা হয়েছে তা সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের নয়।

এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারী সংবাদকে বলেন, তারা আমাদের কাছে এসেছিল, কিন্তু আমরা কোনো ধরনের অনুমতি দেইনি। তাদের আমরা আমাদের নাম ব্যবহার না করার জন্য বলেছি। এটি একটি স্কুলের মাঠ, ক্যান্টনমেন্টের নয়। বিষয়টি স্টেশন সদর দপ্তরকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।

জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, গত ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় আমার অফিসার পাঠিয়ে নিষেধ করেছি যে, কোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কার্যক্রম করা যাবে না। অনুমোদনের কাগজও তারা দেখাতে পারেনি। শুনেছি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নামে অনুমতির কথা বলছে, তবে বাস্তবে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এটা সেনাবাহিনীর এলাকা, তারা পুলিশি সহায়তা চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো।

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. যাবের সাদেক সংবাদকে বলেন, মেলার বিষয়টি আমার জানা নেই, আর্মিরা বলতে পারবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন সংবাদকে বলেন, জেলা প্রশাসনে একটি অবহিত পত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার কোনো অনুমোদন দেয়া হয় নি।

back to top