পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তিন মামলায় ৬ জন করে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য শোনেন জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাক্ষীরা হলেন- গণভবন শাখার সোনালী ব্যাংক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, কর অঞ্চল-৬ এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপরারেটর রেজাউল হক, নোটিস সার্ভার আবু তাহের, কর অঞ্চল খুলনা কর পরিদর্শক লুৎফর রহমান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে বলে দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান। তিনি বলেন, ‘রাজউক অঞ্চলে প্লট পেতে গেলে রাজউক আইনে একটা হলফনামা দিতে হয়। যে হলফনামায় তার নিজের, রক্তের বা নিকটাত্মীয় কারও ফ্ল্যাট, প্লট রাজধানীর বুকে থাকতে পারবে না।
‘শেখ হাসিনার পুত্র জয় এবং মেয়ে পুতুল হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, রাজউকের এরিয়া নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার কোথাও তাদের নামে, আত্মীয়র নামে বাড়ি বা সম্পত্তি নেই। এটা বলেই তারা হলফনামা দেন।’ এ আইনজীবী বলেন, ‘হলফনামায় উল্লেখ আছে, আত্মীয়স্বজন, রক্তের সম্পর্কের কারও বাড়ি থাকে তাহলে তারা প্লট পাবে না। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা পূর্বাচলের প্লট বাগিয়ে নেন। আর এতে তাদের সহযোগিতা করেন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাদের আয়করের তথ্যেও গরমিল আছে।
গরমিল থাকলে আয়বহির্ভূত অর্থ দিয়ে যদি প্লট কেনা হয়, তাহলে তো তারা অপরাধী হবেন।’ এর আগে গত ১১ আগস্ট বিচার শুরুর প্রথম দিন তিন মামলার তিন বাদী সাক্ষ্য দেন। গত ৩১ জুলাই পৃথক ৬ মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
এসব মামলার শেখ পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক। শেখ পরিবার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদউল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এ ৬ মামলা করে দুদক। সব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তিন মামলায় ৬ জন করে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য শোনেন জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাক্ষীরা হলেন- গণভবন শাখার সোনালী ব্যাংক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, কর অঞ্চল-৬ এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপরারেটর রেজাউল হক, নোটিস সার্ভার আবু তাহের, কর অঞ্চল খুলনা কর পরিদর্শক লুৎফর রহমান এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে বলে দুদকের আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান। তিনি বলেন, ‘রাজউক অঞ্চলে প্লট পেতে গেলে রাজউক আইনে একটা হলফনামা দিতে হয়। যে হলফনামায় তার নিজের, রক্তের বা নিকটাত্মীয় কারও ফ্ল্যাট, প্লট রাজধানীর বুকে থাকতে পারবে না।
‘শেখ হাসিনার পুত্র জয় এবং মেয়ে পুতুল হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, রাজউকের এরিয়া নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার কোথাও তাদের নামে, আত্মীয়র নামে বাড়ি বা সম্পত্তি নেই। এটা বলেই তারা হলফনামা দেন।’ এ আইনজীবী বলেন, ‘হলফনামায় উল্লেখ আছে, আত্মীয়স্বজন, রক্তের সম্পর্কের কারও বাড়ি থাকে তাহলে তারা প্লট পাবে না। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারা পূর্বাচলের প্লট বাগিয়ে নেন। আর এতে তাদের সহযোগিতা করেন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাদের আয়করের তথ্যেও গরমিল আছে।
গরমিল থাকলে আয়বহির্ভূত অর্থ দিয়ে যদি প্লট কেনা হয়, তাহলে তো তারা অপরাধী হবেন।’ এর আগে গত ১১ আগস্ট বিচার শুরুর প্রথম দিন তিন মামলার তিন বাদী সাক্ষ্য দেন। গত ৩১ জুলাই পৃথক ৬ মামলায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা পরিবারের সাত সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
এসব মামলার শেখ পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অন্য মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক। শেখ পরিবার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদউল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে এ ৬ মামলা করে দুদক। সব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’