বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ কেজি কোকেন উদ্ধার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত গায়ানার নাগরিক কোকেন বহনকারী বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে। উত্তরায় যে হোটেলে গায়ানার নামে রুম বুকিং দিয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
ক্লু উদ্ঘাটনে মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা
মাদকসহ আটক গায়ানার এ নারী ২০১৮ সালে নিজ দেশে কোকেনসহ ধরা পড়ে। তখন তাকে ৪ বছরের জেল ও ২.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়
বিমানবন্দর থানার ওসি তাছলিমা আক্তার সংবাদকে জানান, গায়ানার নাগরিক ক্যারেন পেটুলা স্টাফল জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, সে কোকেন ক্যারিয়ার (বহনকারী)। একজন তার কাছে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি উত্তরায় একটি হোটেলে তার জন্য রুমও বুকিং দিয়েছে। সেই হোটেলে গিয়ে পুলিশ খোঁজ নিয়েছে। তারা কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এজন্য তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধারকৃত কোকেন সিলগালা করে থানায় জমা রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ছাড়াও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন। রিমান্ড শেষে ওই গায়ানার নাগরিককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, কোকেন উদ্ধার ও পাচারে বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট জড়িত। এ চক্র বাংলাদেশকে টানজিট (রুট) হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে মাফিয়া চক্র জড়িত থাকতে পারে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে গায়ানার নাগরিক কারও নাম বলেনি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাজেদ।
মামলার বাদী কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জানিবুল হক এজাহারে বলেছেন, উদ্ধারকৃত মাদকের বিষয়টি এখন তদন্ত পর্যায়ে আছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ তদন্ত করছেন। এছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, মাদকসহ আটক গায়ানার এ নারী ২০১৮ সালে নিজ দেশে একবার কোকেনসহ ধরা পড়েছে। কোকেন পাচারের অভিযোগে তাকে ৪ বছরের জেল ও ২ পয়েন্ট ৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা হয়েছে।
ওই সময় সে আদালতে দোষ স্বীকার করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এমন কাজ সে আর করবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আবার কোকেনসহ বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টম্বর গায়ানার চেদ্দি জাগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ দশমিক ১৪২ কেজি (২ দশমিক ৫ পাউন্ড) কোকেনসহ ধরা পড়েছিল স্টফল।
দোষ স্বীকার করে নিলে আদালত তাকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছে। ওই সময় গায়না থেকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার পথেই আটক হয় গায়নার এ নারী। এইবার কাতারের দোহা থেকে ঢাকায় পৌঁছে তিনি কোকেনসহ ধরা পড়েছেন।
বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ কেজি কোকেন উদ্ধার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত গায়ানার নাগরিক কোকেন বহনকারী বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে। উত্তরায় যে হোটেলে গায়ানার নামে রুম বুকিং দিয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
ক্লু উদ্ঘাটনে মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা
মাদকসহ আটক গায়ানার এ নারী ২০১৮ সালে নিজ দেশে কোকেনসহ ধরা পড়ে। তখন তাকে ৪ বছরের জেল ও ২.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়
বিমানবন্দর থানার ওসি তাছলিমা আক্তার সংবাদকে জানান, গায়ানার নাগরিক ক্যারেন পেটুলা স্টাফল জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, সে কোকেন ক্যারিয়ার (বহনকারী)। একজন তার কাছে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি উত্তরায় একটি হোটেলে তার জন্য রুমও বুকিং দিয়েছে। সেই হোটেলে গিয়ে পুলিশ খোঁজ নিয়েছে। তারা কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এজন্য তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধারকৃত কোকেন সিলগালা করে থানায় জমা রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ছাড়াও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন। রিমান্ড শেষে ওই গায়ানার নাগরিককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধারনা করা হচ্ছে, কোকেন উদ্ধার ও পাচারে বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট জড়িত। এ চক্র বাংলাদেশকে টানজিট (রুট) হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে মাফিয়া চক্র জড়িত থাকতে পারে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে গায়ানার নাগরিক কারও নাম বলেনি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাজেদ।
মামলার বাদী কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জানিবুল হক এজাহারে বলেছেন, উদ্ধারকৃত মাদকের বিষয়টি এখন তদন্ত পর্যায়ে আছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ তদন্ত করছেন। এছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, মাদকসহ আটক গায়ানার এ নারী ২০১৮ সালে নিজ দেশে একবার কোকেনসহ ধরা পড়েছে। কোকেন পাচারের অভিযোগে তাকে ৪ বছরের জেল ও ২ পয়েন্ট ৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা হয়েছে।
ওই সময় সে আদালতে দোষ স্বীকার করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এমন কাজ সে আর করবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আবার কোকেনসহ বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টম্বর গায়ানার চেদ্দি জাগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ দশমিক ১৪২ কেজি (২ দশমিক ৫ পাউন্ড) কোকেনসহ ধরা পড়েছিল স্টফল।
দোষ স্বীকার করে নিলে আদালত তাকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছে। ওই সময় গায়না থেকে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার পথেই আটক হয় গায়নার এ নারী। এইবার কাতারের দোহা থেকে ঢাকায় পৌঁছে তিনি কোকেনসহ ধরা পড়েছেন।