নুরাল পাগল দরবার শরীফে হামলা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবার শরীফের হামলায় নিহত ১, এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণের সময় গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে গোয়ালন্দঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। রোববার,(০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উজান ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার লাল মিয়া মৃধার ছেলে ও গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, দিরাজতুল্লাহ মৃধা পাড়ার মৃত আক্কাস মৃধার ছেলে ও উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ মৃধা, পৌর শহরের দেওয়ানপাড়ার আবজাল সরদারের ছেলে শাফিন সরদার ও একই এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি, পৌর শহরের কাজীপাড়ার আরিফ কাজীর ছেলে কাজী অপু।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গোয়ালন্দঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়।
ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে আনসার ক্লাব চত্বরে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর ও প্রশাসনের গাড়িতে হামলা চালায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে কয়েকটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে নিহত হন রাসেল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের হামলার সময়কার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। পরে তার ভক্তরা দরবারের ভেতরে তাকে দাফন করে এবং উপরে ১০-১২ ফুট উঁচু কাবা শরীফের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করে। বিষয়টি নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আপত্তি দেখা দিলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে বের হওয়া বিক্ষোভ শেষে দরবারে হামলা চালানো হয়। এ সময় নুরাল পাগলের কবর ভেঙে মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
তবে এখনও নুরাল হকের পরিবার ও হামলায় নিহত রাসেল মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।
নুরাল পাগল দরবার শরীফে হামলা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবার শরীফের হামলায় নিহত ১, এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণের সময় গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাতে গোয়ালন্দঘাট থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। রোববার,(০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উজান ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার লাল মিয়া মৃধার ছেলে ও গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, দিরাজতুল্লাহ মৃধা পাড়ার মৃত আক্কাস মৃধার ছেলে ও উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুদ মৃধা, পৌর শহরের দেওয়ানপাড়ার আবজাল সরদারের ছেলে শাফিন সরদার ও একই এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি, পৌর শহরের কাজীপাড়ার আরিফ কাজীর ছেলে কাজী অপু।
এর আগে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গোয়ালন্দঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়।
ওসি রাকিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে আনসার ক্লাব চত্বরে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর ও প্রশাসনের গাড়িতে হামলা চালায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে কয়েকটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে নিহত হন রাসেল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। তিনি আরও বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের হামলার সময়কার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা। পরে তার ভক্তরা দরবারের ভেতরে তাকে দাফন করে এবং উপরে ১০-১২ ফুট উঁচু কাবা শরীফের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করে। বিষয়টি নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আপত্তি দেখা দিলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর তৌহিদি জনতার ব্যানারে বের হওয়া বিক্ষোভ শেষে দরবারে হামলা চালানো হয়। এ সময় নুরাল পাগলের কবর ভেঙে মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
তবে এখনও নুরাল হকের পরিবার ও হামলায় নিহত রাসেল মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।