ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অপহৃত স্কুলছাত্রকে ৭ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার,(০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জামালপুর সদর থানায় একটি জিডি করেছে অপহরণের শিকার ওই শিশুর অভিভাবক।
গতকাল সোমবার রাতে জামালপুরে নিজ বাসার সামনে থেকে অপহরণের শিকার হয় ৯ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্র।
পুলিশ জানায়, জামালপুর পৌর শহরের স্টেশন রোডের স্থানীয় আল করিম আবাসিক হোটেলের পেছনে বসবাসকারী ব্যবসায়ী সাজ্জাতুল ইসলাম পাপনের ৯ বছর বয়সী ছেলে সদর উপজেলার এম এ গফুর মেমোরিয়াল অ্যাকাডেমিতে ৩য় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। সে প্রতিদিন সকালে স্কুলবাসে করে স্কুলে যায়, আবার দুপুরে স্কুলবাসেই ফিরে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে স্টেশন রোডের আল করিম আবাসিক হোটেলের সামনে প্রধান সড়কের পাশে স্কুলবাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু বাস থেকে নেমে সে বাসার দিকে রওনা দিলে অজ্ঞাত দুইজন তাকে ডাক দেয়।
তাদের কাছে যাওয়া মাত্রই তারা স্কুলছাত্রের দিকে কিছু একটা স্প্রে করে, এরপর থেকে সে আর কিছুই মনে করতে পারে না। শিশুটি বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অজ্ঞাত এক ট্রেনযাত্রীর মোবাইল থেকে শিশুটির বাবার কাছে ফোন আসে।
অজ্ঞাত ট্রেনযাত্রী জানায়, তার ছেলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম প্রান্তে কান্নাকাটি করছে। শিশুটির বাবা তার ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে নিশ্চিত হলে তিনি ওই ব্যক্তিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় তার ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
পরে ওই ব্যক্তি রেলওয়ে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তরের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন এবং পরের ট্রেনে তিনি তার গন্তব্যে চলে যান। এরপর জামালপুর থেকে শিশুটির পরিবার ও স্বজনরা ময়মনসিংহে যায় এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সাজ্জাতুল ইসলাম পাপন (৩৩) মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ব্যবসায়ী সাজ্জাতুল ইসলাম পাপন বলেন, স্কুল থেকে ফেরার সময় বাসার সামনে থেকে আমার ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন।
কে বা কারা কীভাবে আমার ছেলেকে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে নিয়ে গিয়েছে তা সে বলতে পারছে না। যখন সে বুঝতে পারে তখন তার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি আমার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
থানায় জিডি করেছি, আশা করছি পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করবে ও আইনের আওতায় আনবে। আমরা পরিবারের সবাই অপহরণকারীদের শাস্তি চাই।
জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, স্কুলছাত্র অপহরণের ঘটনায় তার অভিভাবক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আমরা সেটি গ্রহণ করেছি, এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অপহৃত স্কুলছাত্রকে ৭ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার,(০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জামালপুর সদর থানায় একটি জিডি করেছে অপহরণের শিকার ওই শিশুর অভিভাবক।
গতকাল সোমবার রাতে জামালপুরে নিজ বাসার সামনে থেকে অপহরণের শিকার হয় ৯ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্র।
পুলিশ জানায়, জামালপুর পৌর শহরের স্টেশন রোডের স্থানীয় আল করিম আবাসিক হোটেলের পেছনে বসবাসকারী ব্যবসায়ী সাজ্জাতুল ইসলাম পাপনের ৯ বছর বয়সী ছেলে সদর উপজেলার এম এ গফুর মেমোরিয়াল অ্যাকাডেমিতে ৩য় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। সে প্রতিদিন সকালে স্কুলবাসে করে স্কুলে যায়, আবার দুপুরে স্কুলবাসেই ফিরে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে তাকে স্টেশন রোডের আল করিম আবাসিক হোটেলের সামনে প্রধান সড়কের পাশে স্কুলবাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু বাস থেকে নেমে সে বাসার দিকে রওনা দিলে অজ্ঞাত দুইজন তাকে ডাক দেয়।
তাদের কাছে যাওয়া মাত্রই তারা স্কুলছাত্রের দিকে কিছু একটা স্প্রে করে, এরপর থেকে সে আর কিছুই মনে করতে পারে না। শিশুটি বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অজ্ঞাত এক ট্রেনযাত্রীর মোবাইল থেকে শিশুটির বাবার কাছে ফোন আসে।
অজ্ঞাত ট্রেনযাত্রী জানায়, তার ছেলে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম প্রান্তে কান্নাকাটি করছে। শিশুটির বাবা তার ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে নিশ্চিত হলে তিনি ওই ব্যক্তিকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় তার ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
পরে ওই ব্যক্তি রেলওয়ে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তরের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন এবং পরের ট্রেনে তিনি তার গন্তব্যে চলে যান। এরপর জামালপুর থেকে শিশুটির পরিবার ও স্বজনরা ময়মনসিংহে যায় এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সাজ্জাতুল ইসলাম পাপন (৩৩) মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ব্যবসায়ী সাজ্জাতুল ইসলাম পাপন বলেন, স্কুল থেকে ফেরার সময় বাসার সামনে থেকে আমার ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় আমি খুবই উদ্বিগ্ন।
কে বা কারা কীভাবে আমার ছেলেকে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে নিয়ে গিয়েছে তা সে বলতে পারছে না। যখন সে বুঝতে পারে তখন তার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি আমার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
থানায় জিডি করেছি, আশা করছি পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করবে ও আইনের আওতায় আনবে। আমরা পরিবারের সবাই অপহরণকারীদের শাস্তি চাই।
জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, স্কুলছাত্র অপহরণের ঘটনায় তার অভিভাবক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আমরা সেটি গ্রহণ করেছি, এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।