ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নাটা ফয়সাল ও শরীফ নামে আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তবে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোরে মোহাম্মদপুরের নবীনগরে দুই দফায় এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সুজন ওরফে বাবুল (১৯) ও হানিফ (২৬)।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতেই নবীনগর ও বসিলা ৪০ ফিট এলাকার খালের সাঁকোর কাছে কয়েকজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই করে। পরে ভোর ৪টার দিকে আবারও ছিনতাই করতে আসলে এলাকাবাসী চারজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তারা আরও জানান, নিহত সুজন ওরফে বাবলু এবং আহত ফয়সাল ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জনি ওরফে ‘রক্তচোষা জনি’র ঘনিষ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় তারা প্রকাশ্যে ছিনতাই করে আসছিল। বহুবার গ্রেপ্তার হলেও অল্পদিনের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজে জড়িয়ে পড়ে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক বলেন, মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় ভোরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর হাক্কারপাড়া রাস্তার ওপর ছিনতাই করার সময় উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারী সুজনকে (১৯) ধরে গণধোলাই দেয়। সুজন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার চরটিট্রা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। একই রোডে ছিনতাই করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন হানিফ (২০)। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। নিহত দুইজনই মোহাম্মদপুরের বছিলা ৩ নম্বর রোডের বাসিন্দা। পৃথক স্থানে নিহত দুইজনের বিরুদ্ধে চারটি করে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায়। এ ঘটনায় শরীফ ও নাটা ফয়সাল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন রোডের ১২ নম্বর সড়কে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন দুই যুবক। তাদের মধ্যে একজন নিহত হন এবং অন্যজন গুরুতর আহত হন। নিহতের নাম ইয়ামিন (২৩)। ফাহিম (২৩) নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নাটা ফয়সাল ও শরীফ নামে আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তবে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোরে মোহাম্মদপুরের নবীনগরে দুই দফায় এসব ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সুজন ওরফে বাবুল (১৯) ও হানিফ (২৬)।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতেই নবীনগর ও বসিলা ৪০ ফিট এলাকার খালের সাঁকোর কাছে কয়েকজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই করে। পরে ভোর ৪টার দিকে আবারও ছিনতাই করতে আসলে এলাকাবাসী চারজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তারা আরও জানান, নিহত সুজন ওরফে বাবলু এবং আহত ফয়সাল ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জনি ওরফে ‘রক্তচোষা জনি’র ঘনিষ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় তারা প্রকাশ্যে ছিনতাই করে আসছিল। বহুবার গ্রেপ্তার হলেও অল্পদিনের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজে জড়িয়ে পড়ে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক বলেন, মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় ভোরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর হাক্কারপাড়া রাস্তার ওপর ছিনতাই করার সময় উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারী সুজনকে (১৯) ধরে গণধোলাই দেয়। সুজন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার চরটিট্রা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। একই রোডে ছিনতাই করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন হানিফ (২০)। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। নিহত দুইজনই মোহাম্মদপুরের বছিলা ৩ নম্বর রোডের বাসিন্দা। পৃথক স্থানে নিহত দুইজনের বিরুদ্ধে চারটি করে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায়। এ ঘটনায় শরীফ ও নাটা ফয়সাল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার চন্দ্রিমা মডেল টাউন রোডের ১২ নম্বর সড়কে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন দুই যুবক। তাদের মধ্যে একজন নিহত হন এবং অন্যজন গুরুতর আহত হন। নিহতের নাম ইয়ামিন (২৩)। ফাহিম (২৩) নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।