মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করার পরই গতকাল বুধবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে সংবাদকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতারজ্জুরুল ইসলাম মিঠু। গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের সময় গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির ওয়ারী বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবি আরও জানায়, স্বাস্থ্য খাতে টেন্ডার জালিয়াতি, সিন্ডিকেট গঠন, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার দুদুকের উপ-পরিচালক মো. সাইফুজ্জামান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা করার পরই দুদুকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলাটি অনুমোদনের তথ্য দিয়েছেন।
বহুল আলোচিত পানামা পেপারসে মিঠুর নামও ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়নকাজের নামে প্রভাব খাটিয়ে মিঠু কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তেজগাঁয়ে সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরের (সিএমএসডি) কেনাকাটায় অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতির মূল কারণ হলে এ খাত মিঠু চক্রের দখলে থাকা। এসব নিয়ে দুদক আরও অনুসন্ধান চালাছে।
একদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, মিঠুর ২টি পাসপোর্ট রয়েছে। তারমধ্যে একটি বিদেশি (আমেরিকান), অন্যটি বাংলাদেশের। সে দুর্নীতির জন্য যত কৌশল আছে সবই করেছে।
ডিবির ডিসি তালেবুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। দুদুকের রিকুইজিশন পাওয়ার পর ডিবি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বিষয় দুদক দেখছে।
স্বাস্থ্য খাতের অঘোষিত মাফিয়া
রংপুর থেকে লিয়াকত আলী বাদল জানান, ‘কথিত রয়েছে, সাবেক এক স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে মন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্টপোষকতায় স্বাস্থ্য খাতের অঘোষিত মাফিয়া ডনে পরিণত হন মিঠু।
মোতাজ্জিরুল ইসলাম মিঠুর বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে। ধাপ মেডিকেল পূর্ব গেইট এলাকায় পৈত্রিক টিন সেড আধাপাকা বাড়ি ছাড়া তাদের আর কোনো সম্পদ ছিল না। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন নামকরা হাসপাতালে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে তার উত্থান। তখন তার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য। একপর্যায়ে সারাদেশের বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুকুটহীন স¤্রাটে পরিণত হন। এক চেটিয়াভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন।
দুদক সুত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে অতি উচ্চমূল্যে দেখিয়ে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ, দরপত্রের শর্তানুযায়ী মালামাল সরবরাহ না করা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মালামাল সরবরাহ না করেই বিল উত্তোলন, অপ্রয়োজনীয় এবং অযাচিত মালামাল সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা মিঠু। তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ঢাকা, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল মৌলভীবাজার, জেনারেল হাসপাতাল গোপালগঞ্জ, আইএইচটি সিলেট, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতাল সিএমএসডিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে মালামাল সরবরাহের নামে শত শত কোটি টাকা লুট করেছে।
দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, মিঠু অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছেন এবং অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এসব প্রমাণিত হওয়ায় দুদক বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা ও রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৭শ’ ৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছেন।
৩ বছর আগে ৪১টি সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছিল আদালত
২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর তৎকালীন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠুর মালিকানাধীন রংপুরসহ সারাদেশে ৪১টি সম্পদ জব্দ করার জন্য আদালতে আবেদন করে। তৎকালিন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান সব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেয়।
কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করে আদেশ নেয়া ছাড়া ৪১টি সম্পদ জব্দ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমনকি মিঠুর জন্মস্থান রংপুরে অন্তত ৩০টির মতো সম্পদের একটিও জব্দ করা হয়নি। দুদকের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রংপুর মহানগরীর অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ১০ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক কছির উদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাইন বোর্ড লাগিয়ে সেখানে হাসপাতাল চালু রাখা হয়েছে। এত প্রতিষ্ঠানকে জব্দ করার কোনো আবেদন পর্যন্ত করে নাই দুদক। স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, সচিবসহ দেশের বড় বড় হাসপাতালের পরিচালকের নিয়োগ বদলি সব নিয়ন্ত্রণ করতো মিঠু। তবে ২০২২ সালের দিকে মিঠুর এক চেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল সোচ্চার হলে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা খর্ব হলেও নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দিয়ে নামে-বেনামে তার ঠিকাদারি চলতে থাকে।
এদিকে ২০২৩ সালেই মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারিরও আদেশ দেয় আদালত।
বিদেশে যাবার মিঠুর ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছরে অন্তত ১৫-২০ বার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছে মিঠু। রংপুরেও এক মাস আগে এসে বেশ কয়েকদিন প্রকাশ্যই ঘুরে বেরিয়েছে মিঠু এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করার পরই গতকাল বুধবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে সংবাদকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির হোতা মোতারজ্জুরুল ইসলাম মিঠু। গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত ১১টা ১০ মিনিটের সময় গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবির ওয়ারী বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবি আরও জানায়, স্বাস্থ্য খাতে টেন্ডার জালিয়াতি, সিন্ডিকেট গঠন, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার দুদুকের উপ-পরিচালক মো. সাইফুজ্জামান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা করার পরই দুদুকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলাটি অনুমোদনের তথ্য দিয়েছেন।
বহুল আলোচিত পানামা পেপারসে মিঠুর নামও ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়নকাজের নামে প্রভাব খাটিয়ে মিঠু কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তেজগাঁয়ে সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরের (সিএমএসডি) কেনাকাটায় অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতির মূল কারণ হলে এ খাত মিঠু চক্রের দখলে থাকা। এসব নিয়ে দুদক আরও অনুসন্ধান চালাছে।
একদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদকে জানিয়েছেন, মিঠুর ২টি পাসপোর্ট রয়েছে। তারমধ্যে একটি বিদেশি (আমেরিকান), অন্যটি বাংলাদেশের। সে দুর্নীতির জন্য যত কৌশল আছে সবই করেছে।
ডিবির ডিসি তালেবুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। দুদুকের রিকুইজিশন পাওয়ার পর ডিবি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বিষয় দুদক দেখছে।
স্বাস্থ্য খাতের অঘোষিত মাফিয়া
রংপুর থেকে লিয়াকত আলী বাদল জানান, ‘কথিত রয়েছে, সাবেক এক স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে মন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্টপোষকতায় স্বাস্থ্য খাতের অঘোষিত মাফিয়া ডনে পরিণত হন মিঠু।
মোতাজ্জিরুল ইসলাম মিঠুর বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে। ধাপ মেডিকেল পূর্ব গেইট এলাকায় পৈত্রিক টিন সেড আধাপাকা বাড়ি ছাড়া তাদের আর কোনো সম্পদ ছিল না। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন নামকরা হাসপাতালে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করে তার উত্থান। তখন তার ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য। একপর্যায়ে সারাদেশের বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুকুটহীন স¤্রাটে পরিণত হন। এক চেটিয়াভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন।
দুদক সুত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে অতি উচ্চমূল্যে দেখিয়ে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ, দরপত্রের শর্তানুযায়ী মালামাল সরবরাহ না করা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মালামাল সরবরাহ না করেই বিল উত্তোলন, অপ্রয়োজনীয় এবং অযাচিত মালামাল সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা মিঠু। তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ঢাকা, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল মৌলভীবাজার, জেনারেল হাসপাতাল গোপালগঞ্জ, আইএইচটি সিলেট, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতাল সিএমএসডিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে মালামাল সরবরাহের নামে শত শত কোটি টাকা লুট করেছে।
দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, মিঠু অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছেন এবং অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এসব প্রমাণিত হওয়ায় দুদক বাংলাদেশের মধ্যে ঢাকা ও রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৭৩ কোটি ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৭শ’ ৩৮ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছেন।
৩ বছর আগে ৪১টি সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছিল আদালত
২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর তৎকালীন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমানের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠুর মালিকানাধীন রংপুরসহ সারাদেশে ৪১টি সম্পদ জব্দ করার জন্য আদালতে আবেদন করে। তৎকালিন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান সব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেয়।
কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করে আদেশ নেয়া ছাড়া ৪১টি সম্পদ জব্দ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমনকি মিঠুর জন্মস্থান রংপুরে অন্তত ৩০টির মতো সম্পদের একটিও জব্দ করা হয়নি। দুদকের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রংপুর মহানগরীর অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ১০ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক কছির উদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাইন বোর্ড লাগিয়ে সেখানে হাসপাতাল চালু রাখা হয়েছে। এত প্রতিষ্ঠানকে জব্দ করার কোনো আবেদন পর্যন্ত করে নাই দুদক। স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, সচিবসহ দেশের বড় বড় হাসপাতালের পরিচালকের নিয়োগ বদলি সব নিয়ন্ত্রণ করতো মিঠু। তবে ২০২২ সালের দিকে মিঠুর এক চেটিয়া আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল সোচ্চার হলে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা খর্ব হলেও নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দিয়ে নামে-বেনামে তার ঠিকাদারি চলতে থাকে।
এদিকে ২০২৩ সালেই মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারিরও আদেশ দেয় আদালত।
বিদেশে যাবার মিঠুর ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছরে অন্তত ১৫-২০ বার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছে মিঠু। রংপুরেও এক মাস আগে এসে বেশ কয়েকদিন প্রকাশ্যই ঘুরে বেরিয়েছে মিঠু এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।