‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী’ কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম আরিফুল ইসলাম পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জাহাঙ্গীর এ তথ্য দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এদিন আবেদন করেন। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৮৬ আসামির মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে, আবার অনেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে থাকা আসামিরা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না করতে পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন। আর বিদেশে অবস্থান করা আসামিরা দেশে এলে যেন আটক করা হয় সেজন্য আদেশ প্রয়োজন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। আসামিরা শেখ হাসিনার সঙ্গে অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য। তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ১৪ আগস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এর আগে দুদকের এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ বরিশাল বিভাগের আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনাম। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হত্যার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে ডজন ডজন মামলা হতে থাকে। এর মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
জুলাইয়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু করেছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সময়ে গুমের অভিযোগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে ‘গণহত্যা’, ‘গুম’ এবং শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যার’ তিন মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালেও ভারত তাতে সাড়া দেয়নি।
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী’ কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম আরিফুল ইসলাম পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জাহাঙ্গীর এ তথ্য দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এদিন আবেদন করেন। এতে বলা হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ২৮৬ আসামির মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে, আবার অনেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে থাকা আসামিরা যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না করতে পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন। আর বিদেশে অবস্থান করা আসামিরা দেশে এলে যেন আটক করা হয় সেজন্য আদেশ প্রয়োজন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। আসামিরা শেখ হাসিনার সঙ্গে অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য। তদন্ত শেষে গত ৩০ জুলাই বর্তমানে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ১৪ আগস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এর আগে দুদকের এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ বরিশাল বিভাগের আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, সাজ্জাদুল আনাম। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হত্যার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে ডজন ডজন মামলা হতে থাকে। এর মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
জুলাইয়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু করেছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সময়ে গুমের অভিযোগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে ট্রাইব্যুনালে। ইতোমধ্যে ‘গণহত্যা’, ‘গুম’ এবং শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যার’ তিন মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালেও ভারত তাতে সাড়া দেয়নি।