ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ফরিদপুরে ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে যাবজ্জীবন এবং এক শিশুকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেনবৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মো. সজীব শেখ (২৬), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার যোগিবরাট গ্রামের বাসিন্দা। মো. সোহেল মোল্লা (২৫), একই গ্রামের বাসিন্দা। এই মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত শিশু আসামি হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন মোল্লা (২৪), একই গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় ইয়াসিন নাবালক ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাদের পুলিশ হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাতে মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে টিভি দেখছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিভি দেখা শেষে টিউবওয়েলে হাতবৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫)মুখ ধুতে গেলে তিন আসামি তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তারা মেয়েটির মুখ বেঁধে তাকে ফেলে রেখে যায়।
মেয়েটির সাড়া না পেয়ে তার মা তাকে খুঁজতে বের হন এবং বাড়ির পাশে এক আসামির উঠানে তাকে দেখতে পান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার তিন দিন পর, ২০১৮ সালের ২ আগস্ট শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি এবং তদন্ত শেষে সাত বছর পর গতকাল এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পি.পি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, এই রায় ধর্ষকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরে ১৩ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে যাবজ্জীবন এবং এক শিশুকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে, প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেনবৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) মো. সজীব শেখ (২৬), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার যোগিবরাট গ্রামের বাসিন্দা। মো. সোহেল মোল্লা (২৫), একই গ্রামের বাসিন্দা। এই মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত শিশু আসামি হলেন মোহাম্মদ ইয়াসিন মোল্লা (২৪), একই গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় ইয়াসিন নাবালক ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাদের পুলিশ হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাতে মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে টিভি দেখছিল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিভি দেখা শেষে টিউবওয়েলে হাতবৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫)মুখ ধুতে গেলে তিন আসামি তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তারা মেয়েটির মুখ বেঁধে তাকে ফেলে রেখে যায়।
মেয়েটির সাড়া না পেয়ে তার মা তাকে খুঁজতে বের হন এবং বাড়ির পাশে এক আসামির উঠানে তাকে দেখতে পান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার তিন দিন পর, ২০১৮ সালের ২ আগস্ট শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে আলফাডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি এবং তদন্ত শেষে সাত বছর পর গতকাল এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পি.পি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, এই রায় ধর্ষকদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।