ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও তার স্ত্রী ইসমাত আরার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দু’টি করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দিদারুল আলমের স্ত্রী ইসমাত আরার নামে ২ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার টাকা স্থাবর ও ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। ২০১৪-২০১৫ থেকে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার বৈধ আয় ২ কোটি ৩৮ হাজার টাকা। একই সময়ে তিনি বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়েছেন ২৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্যয় বাদে তার মোট সম্পদের পরিমাণ সেই হিসাবে ১ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদক অনুসন্ধানকালে তার নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ পেয়েছে। যা তার স্বামী দিদারুল আলম সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তাই ইসমাত আরা বেগম তার স্বামীর অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ ভোগ-দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং সম্পদ অর্জনে সহায়তা করায় দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে দ-বিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে দুদক।
এছাড়া দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদক সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের আয়কর নথি পর্যালোচনা করে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অস্থাবরসহ মোট ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। ২০১০-২০১১ থেকে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে তার আয় ৬৯ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
এছাড়া এই সময়ে তিনি মোট ব্যয় দেখিয়েছেন ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বাদে তার সঞ্চয় ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। তবে এর মধ্যে ১০ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা আয়ের গ্রহণযোগ্য উৎস খুঁজে পায়নি দুদক। অনুসন্ধানকালে দুদক তার অর্জিত সম্পদের চেয়েও ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় কম পেয়েছে।
দিদারুল আলম ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৪৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা জমা ও ৪৭২ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উত্তোলনসহ মোট ৯৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে আয়ের উৎস আড়াল করেছেন। ফলে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও তার স্ত্রী ইসমাত আরার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার,(১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে মামলা দু’টি করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দিদারুল আলমের স্ত্রী ইসমাত আরার নামে ২ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার টাকা স্থাবর ও ৫৭ লাখ ৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। ২০১৪-২০১৫ থেকে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার বৈধ আয় ২ কোটি ৩৮ হাজার টাকা। একই সময়ে তিনি বিভিন্ন খাতে ব্যয় দেখিয়েছেন ২৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ব্যয় বাদে তার মোট সম্পদের পরিমাণ সেই হিসাবে ১ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদক অনুসন্ধানকালে তার নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ পেয়েছে। যা তার স্বামী দিদারুল আলম সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তাই ইসমাত আরা বেগম তার স্বামীর অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ ভোগ-দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং সম্পদ অর্জনে সহায়তা করায় দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে দ-বিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে দুদক।
এছাড়া দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদক সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের আয়কর নথি পর্যালোচনা করে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অস্থাবরসহ মোট ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে। ২০১০-২০১১ থেকে ২০২৪-২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন খাত থেকে তার আয় ৬৯ কোটি ৬২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
এছাড়া এই সময়ে তিনি মোট ব্যয় দেখিয়েছেন ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বাদে তার সঞ্চয় ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। তবে এর মধ্যে ১০ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা আয়ের গ্রহণযোগ্য উৎস খুঁজে পায়নি দুদক। অনুসন্ধানকালে দুদক তার অর্জিত সম্পদের চেয়েও ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় কম পেয়েছে।
দিদারুল আলম ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৪৭৫ কোটি ৯৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা জমা ও ৪৭২ কোটি ৯০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উত্তোলনসহ মোট ৯৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে আয়ের উৎস আড়াল করেছেন। ফলে সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।