রাজধানীতে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১৮
শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটর থেকে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত’ আওয়ামী লীগের কর্মীরা শাহবাগ অভিমুখে ঝটিকা মিছিল করে -সংগৃহীত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ২৮১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫২৮ জন। শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এএইচএম শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ২৮১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫২৮ জন। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৮০৯ জনকে। অভিযানিক কার্যক্রমে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক একটি, ওয়ান শুটারগান একটি, দেশীয় পিস্তল একটি, গুলি ৪ রাউন্ড, বার্মিজ চাকু ৪টি এবং রাবার কার্তুজ একটি।
রাজধানীতে ‘নিষিদ্ধ’ আ’লীগের মিছিল, আটক ১৮
রাজধানীর মিরপুর, রমনা ও গুলশান এলাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রমনা ও গুলশান থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. মাইন উদ্দীন (৩৬), বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো. রাব্বি (২১), মো. সোহেল হাসান রাফি (২১), আরিফ (২৩), নাদিম (১৯), মো. শুক্কুর হাওলাদার (২৫), শিহাব মুন্সি (২৫), মো. জুয়েল (৩০), সাদ্দাম মোল্লা (২৭), মো. রানা (১৯) ও মো. নাজমুল (১৯)।
পুলিশ জানান, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর ও গুলশান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মী। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই মিছিলের পর একটি বাইকসহ ৬ জনকে আটকের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যালয়ের (এনসিপি) সামনে জড়ো হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে মিছিল নিয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও অনুসারীরা।
মিছিলে থাকা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার কাউকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দুপুর ২টার পর থেকে বাংলামোটর মোড়ে লোকজন নিয়ে জড়ো হতে থাকি। আড়াইটার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রাস্তা ধরে মিছিল নিয়ে যাই। আমাদের মিছিল দেখে আশপাশের লোকজনও মিছিলে যোগ দিয়েছে।’ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের বোরাক টাওয়ারের এক কর্মচারী বলেন, ‘হঠাৎ দেখি ‘হাজারখানেক’ লোক ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’ স্লোগান দিয়ে, জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলামোটর থেকে বোরাক টাওয়ারের দিকে আসছে। ‘মিছিলে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘হঠাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ’ স্লোগান দিচ্ছিল তারা।’ ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘বাংলামোটর থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে আসছিল। পুলিশ একটি বাইকসহ ৬ জনকে আটক করেছে।’
মিরপুর থেকে ৬
নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
মিরপুর মডেল থানা পুলিশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ৬ জন হলো- পাবনার সুজানগর পৌর যুবলীগের সভাপতি ও সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জুয়েল রানা (৩৫), চট্টগ্রাম মহানগরের এজিএস ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আল নমান সাইফ (২৯), চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মো. জুলহাস (২৬), ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ইমন হোসেন খান মানিক (২৫), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. সাগর হোসেন (২৭) ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. ওহিদুল ইসলাম সুমন (৩৩)।
মিরপুর মডেল থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য মুখে মাস্ক পরে মিরপুর পাইকপাড়া ডি-টাইপ স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। এ খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীতে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক ১৮
শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটর থেকে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত’ আওয়ামী লীগের কর্মীরা শাহবাগ অভিমুখে ঝটিকা মিছিল করে -সংগৃহীত
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ২৮১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫২৮ জন। শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এএইচএম শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ২৮১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫২৮ জন। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৮০৯ জনকে। অভিযানিক কার্যক্রমে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক একটি, ওয়ান শুটারগান একটি, দেশীয় পিস্তল একটি, গুলি ৪ রাউন্ড, বার্মিজ চাকু ৪টি এবং রাবার কার্তুজ একটি।
রাজধানীতে ‘নিষিদ্ধ’ আ’লীগের মিছিল, আটক ১৮
রাজধানীর মিরপুর, রমনা ও গুলশান এলাকায় ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রমনা ও গুলশান থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. মাইন উদ্দীন (৩৬), বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো. রাব্বি (২১), মো. সোহেল হাসান রাফি (২১), আরিফ (২৩), নাদিম (১৯), মো. শুক্কুর হাওলাদার (২৫), শিহাব মুন্সি (২৫), মো. জুয়েল (৩০), সাদ্দাম মোল্লা (২৭), মো. রানা (১৯) ও মো. নাজমুল (১৯)।
পুলিশ জানান, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর ও গুলশান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মী। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই মিছিলের পর একটি বাইকসহ ৬ জনকে আটকের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যালয়ের (এনসিপি) সামনে জড়ো হয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে মিছিল নিয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও অনুসারীরা।
মিছিলে থাকা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার কাউকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দুপুর ২টার পর থেকে বাংলামোটর মোড়ে লোকজন নিয়ে জড়ো হতে থাকি। আড়াইটার দিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রাস্তা ধরে মিছিল নিয়ে যাই। আমাদের মিছিল দেখে আশপাশের লোকজনও মিছিলে যোগ দিয়েছে।’ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডের বোরাক টাওয়ারের এক কর্মচারী বলেন, ‘হঠাৎ দেখি ‘হাজারখানেক’ লোক ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’ স্লোগান দিয়ে, জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলামোটর থেকে বোরাক টাওয়ারের দিকে আসছে। ‘মিছিলে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘হঠাও ইউনূস, বাঁচাও দেশ’ স্লোগান দিচ্ছিল তারা।’ ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘বাংলামোটর থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে আসছিল। পুলিশ একটি বাইকসহ ৬ জনকে আটক করেছে।’
মিরপুর থেকে ৬
নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
মিরপুর মডেল থানা পুলিশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ৬ জন হলো- পাবনার সুজানগর পৌর যুবলীগের সভাপতি ও সুজানগর উপজেলা ছাত্রলীগের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জুয়েল রানা (৩৫), চট্টগ্রাম মহানগরের এজিএস ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আল নমান সাইফ (২৯), চট্টগ্রাম জেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মো. জুলহাস (২৬), ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ইমন হোসেন খান মানিক (২৫), আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. সাগর হোসেন (২৭) ও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী মো. ওহিদুল ইসলাম সুমন (৩৩)।
মিরপুর মডেল থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য মুখে মাস্ক পরে মিরপুর পাইকপাড়া ডি-টাইপ স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে এবং সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। এ খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে।