ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট) মো. জামশেদ আলম। দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৭-এ সাহাব উদ্দিনকে হাজির করে পুলিশ। আদালতের বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
এ তথ্য জানিয়ে মো. জামশেদ আলম বলেন, রিমান্ডের শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়নি। মামলার নথি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর আগে, সিলেটে পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি (পদ স্থগিত) সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কুমারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাকে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আলোচিত সাদাপাথর লুট ছাড়াও সাতটি মামলা রয়েছে।
সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-৯ রোববার রাত ২টা ২৯ মিনিটে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-৯ গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে সাহাব উদ্দিনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় খনি ও খনিজসম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
সাহাব উদ্দিন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সাদাপাথর লুটকাণ্ডে তার নাম আসায় কেন্দ্র থেকে তার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক তদন্তে সাদাপাথর লুটেরার তালিকায় সাহাব উদ্দিনের নাম রয়েছে।
সাহাব উদ্দিন একজন পাথর ব্যবসায়ী। ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক সংগঠনেরও নেতৃত্বে রয়েছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার নেতৃত্বে একটি চক্র সক্রিয় হয় ভোলাগঞ্জে। ৫ আগস্টে ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক পাশের রিসোর্ট ও রোপওয়ে বাঙ্কারে হামলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, ভোলাগঞ্জ শুল্কস্টেশন এলাকার সরকারি সরকারি জমি দখল, পাথরমহালের জমি ভাড়া দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্টের বছরপূর্তিতে সাদাপাথর এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাজী সাহাব উদ্দিনের লোকজনেরা তার নামে রীতিমতো দখলযজ্ঞ করে পাথর লুটপাট শুরু করে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট) মো. জামশেদ আলম। দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৭-এ সাহাব উদ্দিনকে হাজির করে পুলিশ। আদালতের বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
এ তথ্য জানিয়ে মো. জামশেদ আলম বলেন, রিমান্ডের শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়নি। মামলার নথি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর আগে, সিলেটে পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি (পদ স্থগিত) সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে সিলেট নগরীর কুমারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাকে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আলোচিত সাদাপাথর লুট ছাড়াও সাতটি মামলা রয়েছে।
সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-৯ রোববার রাত ২টা ২৯ মিনিটে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারে র্যাব-৯ গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে সাহাব উদ্দিনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় খনি ও খনিজসম্পদ নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
সাহাব উদ্দিন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সাদাপাথর লুটকাণ্ডে তার নাম আসায় কেন্দ্র থেকে তার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক তদন্তে সাদাপাথর লুটেরার তালিকায় সাহাব উদ্দিনের নাম রয়েছে।
সাহাব উদ্দিন একজন পাথর ব্যবসায়ী। ভোলাগঞ্জ পাথর আমদানিকারক সংগঠনেরও নেতৃত্বে রয়েছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তার নেতৃত্বে একটি চক্র সক্রিয় হয় ভোলাগঞ্জে। ৫ আগস্টে ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক পাশের রিসোর্ট ও রোপওয়ে বাঙ্কারে হামলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, ভোলাগঞ্জ শুল্কস্টেশন এলাকার সরকারি সরকারি জমি দখল, পাথরমহালের জমি ভাড়া দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্টের বছরপূর্তিতে সাদাপাথর এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাজী সাহাব উদ্দিনের লোকজনেরা তার নামে রীতিমতো দখলযজ্ঞ করে পাথর লুটপাট শুরু করে।