ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ‘যথেষ্ঠ’ প্রমাণ ইতোমধ্যে উত্থাপন হয়েছে বলে দাবি করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাস্মদ তাজুল ইসলাম। এ মামলায় আর দুই-একজনের সাক্ষ্য নেয়ার পর গ্রহণের পর্যায় শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার,(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা এ মামলায় সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলে বিচারের যে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়ায় বিচারটি সমাপ্তির দিকে ধাবিত হবে।’
আজ গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির নেতা সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিবেন বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।
এ মামলা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট এভিডেন্স (তথ্যপ্রমাণ) তারা আদালতে হাজির করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করেন তাজুল ইসলাম। সে কারণে তিনি বলছেন, আর সাক্ষ্য তেমন প্রয়োজন নেই। বাকি দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলাটি সমাপ্তির জন্য প্রেয়ার (আবেদন) করা হবে বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এখানে ডিফেন্সের (আসামিপক্ষ) পক্ষ থেকে সাক্ষী দেয়ার ব্যাপার নেই, আসামি দুজন পলাতক আছেন। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় দোষ স্বীকার করেছেন। সে কারণে হয়তো মামলাটি যুক্তিতর্কের জন্য নির্ধারিত হতে পারে।’
এক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার তাকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছেল। ট্রাইব্যুনালে ‘নির্যাতনের’ বর্ণনা দিলেন মাহমুদুর রহমান
জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ‘নির্যাতনের’ বর্ণনা দিলেন আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে বলেন, দুই দফায় গ্রেপ্তার করে তাকে ৩৯ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। র্যাব-১-এর আয়নাঘর যা টিএফআই সেল নামে পরিচিত সেখানে রাখা হয় বলেও তার অভিযোগ। তবে সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা না হলেও বিভিন্ন উপায়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন মাহমুদুর রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে এ জবানবন্দি দেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক।
তার সাক্ষ্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, “চোখ বাঁধা অবস্থায় আমি পাশের সেলগুলোতে কয়েদিদের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছিলাম। তাদের এক একজনকে সেল থেকে নিয়ে নির্যাতন করে আবার সেলে ফেলে রাখা হতো। সেখানে অধিকাংশরাই আলেম শ্রেণীর মানুষ ছিলেন। আমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টর্চার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হয়তো মানসিক টর্চার ‘করবার উদ্দেশে কিছুক্ষণের জন্য আমার চোখ খুলে দেয়া হয়েছিলো।”
ক্যান্টনমেন্ট থানায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাত্র ১.০০টার দিকে পুরো থানার বাতি নিভিয়ে দিয়ে ৫/৬ জন আততায়ী আমার সেলে প্রবেশ করে আমাকে বিবস্ত্র করে। আমার পরণে শুধু আন্ডারওয়্যার ছিল। আমাকে একটা জাম্পস্যুট পরিয়ে আমার দুই হাত বেঁধে ফেলা হয়। আততায়ীরা আমার ওপরে টর্চার শুরু করলে খুব দ্রুত আমি জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফিরলে আমি দেখতে পাই আমাকে সেল থেকে ডিউটি অফিসারের রুমে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমার সমস্ত শরীর পানিতে ভিজা ছিল। ধারণা করতে পারি, আমার জ্ঞান ফিরানোর জন্য আমার শরীরে পানি ঢালা হয়েছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে ‘যথেষ্ঠ’ প্রমাণ ইতোমধ্যে উত্থাপন হয়েছে বলে দাবি করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাস্মদ তাজুল ইসলাম। এ মামলায় আর দুই-একজনের সাক্ষ্য নেয়ার পর গ্রহণের পর্যায় শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার,(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা এ মামলায় সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলে বিচারের যে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে, সেই প্রক্রিয়ায় বিচারটি সমাপ্তির দিকে ধাবিত হবে।’
আজ গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির নেতা সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিবেন বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।
এ মামলা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট এভিডেন্স (তথ্যপ্রমাণ) তারা আদালতে হাজির করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করেন তাজুল ইসলাম। সে কারণে তিনি বলছেন, আর সাক্ষ্য তেমন প্রয়োজন নেই। বাকি দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর মামলাটি সমাপ্তির জন্য প্রেয়ার (আবেদন) করা হবে বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এখানে ডিফেন্সের (আসামিপক্ষ) পক্ষ থেকে সাক্ষী দেয়ার ব্যাপার নেই, আসামি দুজন পলাতক আছেন। আর চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলায় দোষ স্বীকার করেছেন। সে কারণে হয়তো মামলাটি যুক্তিতর্কের জন্য নির্ধারিত হতে পারে।’
এক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার তাকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছেল। ট্রাইব্যুনালে ‘নির্যাতনের’ বর্ণনা দিলেন মাহমুদুর রহমান
জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ‘নির্যাতনের’ বর্ণনা দিলেন আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে বলেন, দুই দফায় গ্রেপ্তার করে তাকে ৩৯ দিন রিমান্ডে রাখা হয়। র্যাব-১-এর আয়নাঘর যা টিএফআই সেল নামে পরিচিত সেখানে রাখা হয় বলেও তার অভিযোগ। তবে সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা না হলেও বিভিন্ন উপায়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দেন মাহমুদুর রহমান। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে এ জবানবন্দি দেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক।
তার সাক্ষ্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, “চোখ বাঁধা অবস্থায় আমি পাশের সেলগুলোতে কয়েদিদের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছিলাম। তাদের এক একজনকে সেল থেকে নিয়ে নির্যাতন করে আবার সেলে ফেলে রাখা হতো। সেখানে অধিকাংশরাই আলেম শ্রেণীর মানুষ ছিলেন। আমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টর্চার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হয়তো মানসিক টর্চার ‘করবার উদ্দেশে কিছুক্ষণের জন্য আমার চোখ খুলে দেয়া হয়েছিলো।”
ক্যান্টনমেন্ট থানায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘রাত্র ১.০০টার দিকে পুরো থানার বাতি নিভিয়ে দিয়ে ৫/৬ জন আততায়ী আমার সেলে প্রবেশ করে আমাকে বিবস্ত্র করে। আমার পরণে শুধু আন্ডারওয়্যার ছিল। আমাকে একটা জাম্পস্যুট পরিয়ে আমার দুই হাত বেঁধে ফেলা হয়। আততায়ীরা আমার ওপরে টর্চার শুরু করলে খুব দ্রুত আমি জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফিরলে আমি দেখতে পাই আমাকে সেল থেকে ডিউটি অফিসারের রুমে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। আমার সমস্ত শরীর পানিতে ভিজা ছিল। ধারণা করতে পারি, আমার জ্ঞান ফিরানোর জন্য আমার শরীরে পানি ঢালা হয়েছে।’