রংপুর : টাকা ফেরতের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে ভুক্তভোগিদের অনশন -সংবাদ
চাকুরী দেবার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগে এবং টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে সোমবার দিনভর রংপুরের পীরগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে অনশন আর বিক্ষোভ করেছে শতাধিক চাকরি প্রত্যাশি যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ওসমানপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে। ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম প্রদান করে তারা বলেছে টাকা ফেরত না পেলে বাড়ির সামনে সকলেই এক যোগে আত্মহত্যার ঘোষণা ভুক্তভোগিদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিক আহাম্মেদ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পীরগঞ্জ উপজেলার শতাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী ও দফতরি পদে নিয়োগ দানের নামে জন প্রতি ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা করে নিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যানও আওয়ামী লীগের নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুড় বাড়ি পীরগঞ্জ হওয়ায় এবং শেখ হাসিনার সাথে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ আছে বলে চাকরি প্রার্থীদের আশ্বস্ত করে প্রায় ১০ কোটি টাকা গ্রহণ করে। ২/৩ মাসের মধ্যে সকলকে চাকুরী দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু দফায় দফায় সময় দিয়েও কাউকেই চাকুরী দিতে পারেন নাই। ফলে চাকুরী প্রার্থীরা দিনের পর দিন তার কাছে ধর্না দিলেও তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেননি তিনি। উল্টো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এবং কাছের লোক বলে নানান হুমকি ধামকি আর আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন নুর মোহাম্মদ মন্ডল। চাকরি প্রত্যাশিরা জানিয়েছেন যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছের মানুষ হয় চাকুরী দেয়া হবে না হলে টাকা ফেরত পাবে।
কিন্তু জুলাই গণঅভুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলে উপজেলা পরিষদও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর কিছুদিন পালিয়ে বেড়ালেও এখন প্রকাশ্যই ঘুরছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল।
এদিকে চাকুরী না পাওয়ায় টাকা ফেরত পাবার জন্য চাকুরী প্রত্যাশি শতাধিক যুবক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মন্ডলের বাড়িতে গেলে বিভিন্ন তারিখে টাকা দেবার আশ্বাস দিলেও কোন টাকা দেন নাই। সর্বশেষ সোমবার টাকা দেবেন বলে তারিখ দেন। সকাল থেকে পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চাকুরী প্রত্যাশিরা তার পীরগঞ্জ পৌর শহরের ওসমানপুর এলাকার আলী শানি বাড়িতে অবস্থান নেন। তাদের টাকা ফেরত দেবার কথা বলে নুর মোহাম্মদ কৌশলে বাড়ি থেকে সটকে পড়েন বলে চাকুরী দেবার নামে প্রতারিত প্রত্যাশিরা জানান।
অবশেষে হত সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাবেক উপজেলা চেয়য়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন শতাধিক চাকুরী প্রত্যাশি এবং প্রতারিতরা। দুপুর ১২ টার দিকে নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাসা থেকে জানানো হয় তিনি বাসায় নেই। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রতারিতরা। এ সময় টাকা না দিলে বাড়ির সামনেই বিষ পাণ করে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয় তারা। অনেকেই সঙ্গে বিষ নিয়েও আসে। এক পর্যায়ে অনশনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। অনেকেই বাসার সামনে শুয়ে পড়ে টাকা ফেরতের দাবিতে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
এ সময় চাকরি প্রত্যাশি আনোয়ারুল তার বাড়ি জামদানি গ্রামে তিনি বলেন নৈশ প্রহরীর কথা বলে তার কাছে ৮ লাখ টাকা নিয়েছে নুর মোহাম্মদ মন্ডল কিন্তু চাকুরী দেয়নি এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। শেষ সম্বল জমি ও বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়ে টাকা না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা বলে জানান। একই কথা বলেন বগের বাড়ি গ্রামের শামসুল হক। অবস্থা বেগতিক দেখে পীরগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে অনশন ও অবস্থানকারীদের লিখিত অভিযোগ দেবার আহবান জানালে তারা ব্যাবস্থা নেবে আশ্বাস দেন। অবশেষে বিকাল ৪টায় তারা ফিরে যায়।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিক আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাকুরী প্রত্যাশিদের চাকুরী দেবার নামে কোটি কোটি টাকা নেবার কথা স্বীকার করে বলেন আমি তাদের বলেছি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি কঠোর ব্যাবস্থা নেবেন।
রংপুর : টাকা ফেরতের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে ভুক্তভোগিদের অনশন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চাকুরী দেবার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগে এবং টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে সোমবার দিনভর রংপুরের পীরগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে অনশন আর বিক্ষোভ করেছে শতাধিক চাকরি প্রত্যাশি যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ওসমানপুর এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে। ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম প্রদান করে তারা বলেছে টাকা ফেরত না পেলে বাড়ির সামনে সকলেই এক যোগে আত্মহত্যার ঘোষণা ভুক্তভোগিদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিক আহাম্মেদ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পীরগঞ্জ উপজেলার শতাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী ও দফতরি পদে নিয়োগ দানের নামে জন প্রতি ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা করে নিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যানও আওয়ামী লীগের নেতা নুর মোহাম্মদ মন্ডল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুড় বাড়ি পীরগঞ্জ হওয়ায় এবং শেখ হাসিনার সাথে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ আছে বলে চাকরি প্রার্থীদের আশ্বস্ত করে প্রায় ১০ কোটি টাকা গ্রহণ করে। ২/৩ মাসের মধ্যে সকলকে চাকুরী দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু দফায় দফায় সময় দিয়েও কাউকেই চাকুরী দিতে পারেন নাই। ফলে চাকুরী প্রার্থীরা দিনের পর দিন তার কাছে ধর্না দিলেও তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেননি তিনি। উল্টো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত এবং কাছের লোক বলে নানান হুমকি ধামকি আর আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন নুর মোহাম্মদ মন্ডল। চাকরি প্রত্যাশিরা জানিয়েছেন যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছের মানুষ হয় চাকুরী দেয়া হবে না হলে টাকা ফেরত পাবে।
কিন্তু জুলাই গণঅভুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলে উপজেলা পরিষদও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর কিছুদিন পালিয়ে বেড়ালেও এখন প্রকাশ্যই ঘুরছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল।
এদিকে চাকুরী না পাওয়ায় টাকা ফেরত পাবার জন্য চাকুরী প্রত্যাশি শতাধিক যুবক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর মন্ডলের বাড়িতে গেলে বিভিন্ন তারিখে টাকা দেবার আশ্বাস দিলেও কোন টাকা দেন নাই। সর্বশেষ সোমবার টাকা দেবেন বলে তারিখ দেন। সকাল থেকে পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চাকুরী প্রত্যাশিরা তার পীরগঞ্জ পৌর শহরের ওসমানপুর এলাকার আলী শানি বাড়িতে অবস্থান নেন। তাদের টাকা ফেরত দেবার কথা বলে নুর মোহাম্মদ কৌশলে বাড়ি থেকে সটকে পড়েন বলে চাকুরী দেবার নামে প্রতারিত প্রত্যাশিরা জানান।
অবশেষে হত সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাবেক উপজেলা চেয়য়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন শতাধিক চাকুরী প্রত্যাশি এবং প্রতারিতরা। দুপুর ১২ টার দিকে নুর মোহাম্মদ মন্ডলের বাসা থেকে জানানো হয় তিনি বাসায় নেই। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রতারিতরা। এ সময় টাকা না দিলে বাড়ির সামনেই বিষ পাণ করে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয় তারা। অনেকেই সঙ্গে বিষ নিয়েও আসে। এক পর্যায়ে অনশনকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। অনেকেই বাসার সামনে শুয়ে পড়ে টাকা ফেরতের দাবিতে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
এ সময় চাকরি প্রত্যাশি আনোয়ারুল তার বাড়ি জামদানি গ্রামে তিনি বলেন নৈশ প্রহরীর কথা বলে তার কাছে ৮ লাখ টাকা নিয়েছে নুর মোহাম্মদ মন্ডল কিন্তু চাকুরী দেয়নি এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। শেষ সম্বল জমি ও বাড়ি বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়ে টাকা না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা বলে জানান। একই কথা বলেন বগের বাড়ি গ্রামের শামসুল হক। অবস্থা বেগতিক দেখে পীরগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে অনশন ও অবস্থানকারীদের লিখিত অভিযোগ দেবার আহবান জানালে তারা ব্যাবস্থা নেবে আশ্বাস দেন। অবশেষে বিকাল ৪টায় তারা ফিরে যায়।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিক আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাকুরী প্রত্যাশিদের চাকুরী দেবার নামে কোটি কোটি টাকা নেবার কথা স্বীকার করে বলেন আমি তাদের বলেছি লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি কঠোর ব্যাবস্থা নেবেন।