ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসির) বিজ্ঞাপন বরাদ্দের ২৫ কোটি টাকার বেশি ‘রাজস্ব ফাঁকি ও আত্মসাতের’ অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মামলা অনুমোদনের বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংস্থার উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে তারা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) খান মোহাম্মদ বিলাল, সাবেক উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (বাজার) এবং চাকরিচ্যুত মো. ইফসুফ আলী সরদার, টিসিএল অপটোইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার হামিদ খান, বেস্টওয়ানের সত্ত্বাধিকারী মোসা. মমতাজ বেগম, বৈশাখী ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মো. গাফ্ফার ইলাহী ও জি-টেকের সত্ত্বাধিকারী সুলতানা দিল আফরোজা।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জমি বা ভবন এবং করপোরেশন এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জমি বা ভবনে বিজ্ঞাপন ফলক (এলইডি সাইন) স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুট ২০ হাজার টাকা হারে বরাদ্দ নির্ধারিত। কিন্তু ‘কৌশলে’ তা কমিয়ে মাত্র ৮০০ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এভাবে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৫ টাকা ‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাৎ’ করা হয়েছে, বলেছে দুদক। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, বলেন দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম।
এছাড়া বিজ্ঞাপন ফলক স্থাপনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দক্ষিণ সিটির তিন কর্মকর্তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হবে, তারা হলেন- দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উপ-কর কর্মকর্তা দেওয়ান আলীম আল রাজী, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান এবং রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সিটির কার্যালয় নগর ভবনে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সে অভিযানে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে যখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের দায়িত্ব বুঝে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছিল, তখন নগর ভবন বন্ধ থাকলেও প্রায় সোয়া কোটি টাকার জ্বালানি খরচের বিল তোলার অভিযোগের সত্যতার পাওয়ার কথা বলেছে সংস্থাটি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসির) বিজ্ঞাপন বরাদ্দের ২৫ কোটি টাকার বেশি ‘রাজস্ব ফাঁকি ও আত্মসাতের’ অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মামলা অনুমোদনের বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংস্থার উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে তারা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) খান মোহাম্মদ বিলাল, সাবেক উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (বাজার) এবং চাকরিচ্যুত মো. ইফসুফ আলী সরদার, টিসিএল অপটোইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতার হামিদ খান, বেস্টওয়ানের সত্ত্বাধিকারী মোসা. মমতাজ বেগম, বৈশাখী ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী মো. গাফ্ফার ইলাহী ও জি-টেকের সত্ত্বাধিকারী সুলতানা দিল আফরোজা।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জমি বা ভবন এবং করপোরেশন এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জমি বা ভবনে বিজ্ঞাপন ফলক (এলইডি সাইন) স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুট ২০ হাজার টাকা হারে বরাদ্দ নির্ধারিত। কিন্তু ‘কৌশলে’ তা কমিয়ে মাত্র ৮০০ টাকা হারে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এভাবে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৫ টাকা ‘রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাৎ’ করা হয়েছে, বলেছে দুদক। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, বলেন দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম।
এছাড়া বিজ্ঞাপন ফলক স্থাপনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দক্ষিণ সিটির তিন কর্মকর্তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হবে, তারা হলেন- দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উপ-কর কর্মকর্তা দেওয়ান আলীম আল রাজী, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান এবং রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সিটির কার্যালয় নগর ভবনে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। সে অভিযানে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে যখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়রের দায়িত্ব বুঝে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছিল, তখন নগর ভবন বন্ধ থাকলেও প্রায় সোয়া কোটি টাকার জ্বালানি খরচের বিল তোলার অভিযোগের সত্যতার পাওয়ার কথা বলেছে সংস্থাটি।