এনায়েত করিমকে পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকার মিন্টো রোডে গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির’ সময় আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেই মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার সহযোগী এস এম গোলাম মোস্তফা আজাদকেও একই সময়ের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর আক্তার মোর্শেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার,(১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ্ ফারজানা হক রিমান্ডের আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য দিয়েছেন। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এনায়েত করিম চৌধুরীকে আটক করে রমনা মডেল থানা পুলিশ। বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার সাত দিনের রিমান্ড চায় রমনা মডেল থানার এসআই আজিজুল হাকিম। তবে ঢাকার মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ তিথি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে গত সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এরই মাঝে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। এরপর তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত সোমবার দুই দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে পুনরায় তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা আজাদকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড দেয়।
এনায়েত করিমকে পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা দাবি করা এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম চৌধুরীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে যান পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এরপর এনায়েত করিমের নিরাপত্তায় নিজের দেহরক্ষীকে (একজন পুলিশ সদস্য) নিয়োজিত করেছিলেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তা। গ্রেপ্তারের সময় ওই দেহরক্ষী এনায়েত করিমের সঙ্গেই ছিলেন। দেহরক্ষীকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ডিআইজির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসার পর এনায়েত করিম দুদিন একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ছিলেন। ওই হোটেল বুকিং ও তার ভাড়া পরিশোধ করেছিলেন জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব পরিচয় দেয়া কাজী মামুনুর রশিদ। গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম এসব তথ্য দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এনায়েত করিমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিষয়ে জানা গেছে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে ওই সব সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এনায়েত করিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এনায়েত করিম ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি প্রভাবশালী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরিচয় দিয়ে বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানোর স্বপ্ন দেখিয়ে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল ডিনারে আমন্ত্রণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তিনি অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও অনেক নেতার কাছ থেকে অর্থ নেন। ২০১৮ সালের পর বিএনপিপন্থী এক সাংবাদিক নেতা এবং নবগঠিত একটি দলের নেতার (তিনি পরে দলটি ছেড়ে যান) সঙ্গে সখ্য গড়েও এনায়েত করিম প্রতারণা চালিয়ে গেছেন। এ দুজনের সঙ্গে এখনও এনায়েত করিমের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার আমলেও (২০০১-০৬ সাল) একবার এনায়েত করিমকে প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এনায়েত করিমের প্রতারণার বিষয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত একজনকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে কয়েকজন র?্যাব কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসে। তখনও এনায়েত করিম সরকার পরিবর্তনের আভাস দিয়ে কারও কারও কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব হিসেবে পরিচয় দেয়া কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, এনায়েত করিমের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্কও দীর্ঘদিনের। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গেও এনায়েত করিমের সখ্য ছিল। এনায়েত করিম বাংলাদেশে এলে এরশাদের সঙ্গে দেখা করতেন। মূলত পারিবারিক সম্পর্ক থাকার কারণেই এনায়েত করিম বাংলাদেশে এলে তিনি আপ্যায়ন করতেন। এবারও তিনি হোটেল বুকিং ও ভাড়া পরিশোধ করেছেন। মামুনুর রশিদ যখন যুক্তরাষ্ট্রে যান, তখন এনায়েত করিম তাকে আপ্যায়ন করেন। এখানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য কিছু নেই।
কাজী মামুনুর রশিদ দাবি করেন, এনায়েত করিমের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া বা প্রতারণার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সরকার পতনের ষড়যন্ত্র বা অন্য কোনো বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না।
এনায়েত করিমকে পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকার মিন্টো রোডে গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির’ সময় আটক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেই মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে আরও ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার সহযোগী এস এম গোলাম মোস্তফা আজাদকেও একই সময়ের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর আক্তার মোর্শেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার,(১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ্ ফারজানা হক রিমান্ডের আদেশ দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী এ তথ্য দিয়েছেন। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এনায়েত করিম চৌধুরীকে আটক করে রমনা মডেল থানা পুলিশ। বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার সাত দিনের রিমান্ড চায় রমনা মডেল থানার এসআই আজিজুল হাকিম। তবে ঢাকার মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ তিথি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে গত সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এরই মাঝে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। এরপর তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত সোমবার দুই দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে পুনরায় তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা আজাদকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড দেয়।
এনায়েত করিমকে পাঁচ তারকা হোটেলের ভাড়া দেন জাপা নেতা
বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা দাবি করা এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম চৌধুরীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে যান পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। এরপর এনায়েত করিমের নিরাপত্তায় নিজের দেহরক্ষীকে (একজন পুলিশ সদস্য) নিয়োজিত করেছিলেন পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তা। গ্রেপ্তারের সময় ওই দেহরক্ষী এনায়েত করিমের সঙ্গেই ছিলেন। দেহরক্ষীকে এরই মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ডিআইজির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসার পর এনায়েত করিম দুদিন একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ছিলেন। ওই হোটেল বুকিং ও তার ভাড়া পরিশোধ করেছিলেন জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব পরিচয় দেয়া কাজী মামুনুর রশিদ। গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এনায়েত করিম এসব তথ্য দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এনায়েত করিমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের বিষয়ে জানা গেছে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে ওই সব সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেও আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এনায়েত করিমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এনায়েত করিম ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি প্রভাবশালী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান পরিচয় দিয়ে বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় বসানোর স্বপ্ন দেখিয়ে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল ডিনারে আমন্ত্রণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তিনি অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও অনেক নেতার কাছ থেকে অর্থ নেন। ২০১৮ সালের পর বিএনপিপন্থী এক সাংবাদিক নেতা এবং নবগঠিত একটি দলের নেতার (তিনি পরে দলটি ছেড়ে যান) সঙ্গে সখ্য গড়েও এনায়েত করিম প্রতারণা চালিয়ে গেছেন। এ দুজনের সঙ্গে এখনও এনায়েত করিমের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার আমলেও (২০০১-০৬ সাল) একবার এনায়েত করিমকে প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এনায়েত করিমের প্রতারণার বিষয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত একজনকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে কয়েকজন র?্যাব কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসে। তখনও এনায়েত করিম সরকার পরিবর্তনের আভাস দিয়ে কারও কারও কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব হিসেবে পরিচয় দেয়া কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, এনায়েত করিমের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সম্পর্কও দীর্ঘদিনের। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গেও এনায়েত করিমের সখ্য ছিল। এনায়েত করিম বাংলাদেশে এলে এরশাদের সঙ্গে দেখা করতেন। মূলত পারিবারিক সম্পর্ক থাকার কারণেই এনায়েত করিম বাংলাদেশে এলে তিনি আপ্যায়ন করতেন। এবারও তিনি হোটেল বুকিং ও ভাড়া পরিশোধ করেছেন। মামুনুর রশিদ যখন যুক্তরাষ্ট্রে যান, তখন এনায়েত করিম তাকে আপ্যায়ন করেন। এখানে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য কিছু নেই।
কাজী মামুনুর রশিদ দাবি করেন, এনায়েত করিমের বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া বা প্রতারণার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সরকার পতনের ষড়যন্ত্র বা অন্য কোনো বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না।