বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজা খাটা মুশফিক উদ্দীন টগরকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াক লালবাগ থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ
টগরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই মতিয়ার রহমান বুলবুল পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
গ্রেপ্তার ও মামলার অভিযোগ
ঢাকার আজিমপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে টগরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সংস্থাটি জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র এনে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে সরবরাহ করছিলেন। র্যাব-৩ এর ডিএডি মো. খালেকুজ্জামান শুক্রবার বিকালে মামলা দায়ের করে টগরকে লালবাগ থানায় হস্তান্তর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। টগরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। রিমান্ডে নিয়ে অভিযান চালালে অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য, আরও অস্ত্র তার কাছে আছে কি না এবং অন্য কেউ জড়িত কি না—তা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
র্যাবের বক্তব্য
র্যাব জানিয়েছে, আজিমপুরের চায়না বিল্ডিং গলির একটি ফ্ল্যাটে মাদক বিক্রির খবরে তারা যায়। সেখানে থাকা ৫০ বছর বয়সী টগর পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন।
তার কক্ষ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, একটি কাঠের পিস্তলের গ্রিপ, ১৫৫ রাউন্ড .২২ রাইফেলের গুলি, একটি ৭.৬২ এমএম মিসফায়ার গুলি, শর্টগানের খালি কার্তুজ, মানুষের মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের সময়ও তার কাছ থেকে এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, মুখোশ পরে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন।
সনি হত্যা মামলা
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই সংঘর্ষে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সদস্যদের নাম উঠে আসে।
ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে মামলা হয়। বিচারে নিম্ন আদালত মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাই কোর্ট মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেওয়া হয়।
মুকি পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যান, সাগরও পলাতক রয়েছেন। টগর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন এবং ২০২০ সালে মুক্তির পর থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন বলে র্যাব জানিয়েছে। তবে এবার তাকে অস্ত্রসহ ফের গ্রেপ্তার করা হলো।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজা খাটা মুশফিক উদ্দীন টগরকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াক লালবাগ থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ
টগরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই মতিয়ার রহমান বুলবুল পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
গ্রেপ্তার ও মামলার অভিযোগ
ঢাকার আজিমপুর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে টগরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সংস্থাটি জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র এনে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে সরবরাহ করছিলেন। র্যাব-৩ এর ডিএডি মো. খালেকুজ্জামান শুক্রবার বিকালে মামলা দায়ের করে টগরকে লালবাগ থানায় হস্তান্তর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। টগরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। রিমান্ডে নিয়ে অভিযান চালালে অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য, আরও অস্ত্র তার কাছে আছে কি না এবং অন্য কেউ জড়িত কি না—তা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
র্যাবের বক্তব্য
র্যাব জানিয়েছে, আজিমপুরের চায়না বিল্ডিং গলির একটি ফ্ল্যাটে মাদক বিক্রির খবরে তারা যায়। সেখানে থাকা ৫০ বছর বয়সী টগর পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন।
তার কক্ষ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, একটি কাঠের পিস্তলের গ্রিপ, ১৫৫ রাউন্ড .২২ রাইফেলের গুলি, একটি ৭.৬২ এমএম মিসফায়ার গুলি, শর্টগানের খালি কার্তুজ, মানুষের মুখোশ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের সময়ও তার কাছ থেকে এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, মুখোশ পরে তিনি ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিলেন।
সনি হত্যা মামলা
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই সংঘর্ষে বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সদস্যদের নাম উঠে আসে।
ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে মামলা হয়। বিচারে নিম্ন আদালত মুকি, টগর ও নুরুল ইসলাম সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাই কোর্ট মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। একইসঙ্গে এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেওয়া হয়।
মুকি পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ায় পালিয়ে যান, সাগরও পলাতক রয়েছেন। টগর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন এবং ২০২০ সালে মুক্তির পর থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন বলে র্যাব জানিয়েছে। তবে এবার তাকে অস্ত্রসহ ফের গ্রেপ্তার করা হলো।