কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং পোড়া মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান -সংবাদ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাসড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ১ হাজার ৮শ’ মিটার রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা দফায় দফায় মানসম্মত কাজের দাবি জানালেও, মানছে না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে করে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোষাগারের টাকা। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের হাসড়া উত্তর পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাল থেকে বল্লা ইউনিয়নের সরাগী হয়ে কাজিবাড়ী পর্যন্ত এক হাজার ৮শত মিটার রাস্তার কাজের টেন্ডার দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এই কাজ পায় মেসার্স শফিক এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রোভাইটর মো. শফিকুল ইসলাম।
নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার সময় সরাগী গ্রামের জব্বার, আজগর, বারেক সিকদার ও মোমরেজ সহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকজন নিম্নমানের কাজের বাদা দিলেও সেটাকে কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে নিম্নমানের খোয়া গুলো গাড়িতে করে এনে ফেলার পর ভোর হলেই লেবার দিয়ে খোয়া রাস্তায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এসময় একাধিক পথচারী ব্যক্তিরাও জানান, নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং পোড়া মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারা আরো জানান, রাস্তার দুই পাশে কিছু কিছু জায়গায় এজিং এর ইটা বসানো হচ্ছে ইটের গুঁড়ায় কোন মাটি না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই ইট খসে পড়ে যাবে। নিম্নমানের খোয়া বা পোড়া মাটি দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই খোয়া ব্যবহারে নিষেধ করা সত্ত্বেও সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এলজিডির লোকদের সাথে সমন্বয় থাকার কারণেই তারা কাজটি এভাবে করছেন। এ কাজ দেখাশুনার জন্যও কোনো প্রকৌশলী আসলে তারা বলেন কাজ করতেছে এটাই বেশি।
শনিবার, (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাসড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে সরাগী হয়ে কাজিবাড়ী পর্যন্ত, এক হাজার ৮শত মিটার রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এদিকে রাস্তার মাথায় লোক দেখানো কিছু ভালো খোয়া ব্যবহার করা হয়। এরপর থেকে পুরো রাস্তায় ৫ ইঞ্চি খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে নিচে কিছুটা ভালো খোয়া দিয়ে উপরে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় নিম্নমানের পোড়া মাটির মতো মিশ্রিত খোয়া দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের কাজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কাজে বাদা দেওয়া হলেও কিছু দালালদের যোগসাজশে নিম্নমানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শফিক এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার মাসুম বলেন, খোয়া ভালো দেওয়া হচ্ছে কিন্তু এখন কোথায় এর চেয়ে ভালো খোয়া পাওয়া যাচ্ছে না। মেসার্স শফিক এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার শফিক এবিষয়ে জানান, দুই এক গাড়ি নিম্নমানের খোয়া যেতে পারে। এটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিম্নমানের খোয়া দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.. আক্তার হোসাইন বলেন, নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করলে আমরা কাজ বন্ধ করে দেবো বলে ফোন কেটে দেয়। এর পর তার কাছে রাস্তার কিলোমিটার এবং রাস্তা নির্মাণের ব্যয় মূল্যের বিষয়ে জানার জন্য একাধিক বার ফোনে চেষ্টা করলেও ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন এবিষয়ে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং পোড়া মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান -সংবাদ
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাসড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ১ হাজার ৮শ’ মিটার রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা দফায় দফায় মানসম্মত কাজের দাবি জানালেও, মানছে না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে করে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোষাগারের টাকা। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের হাসড়া উত্তর পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাল থেকে বল্লা ইউনিয়নের সরাগী হয়ে কাজিবাড়ী পর্যন্ত এক হাজার ৮শত মিটার রাস্তার কাজের টেন্ডার দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এই কাজ পায় মেসার্স শফিক এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রোভাইটর মো. শফিকুল ইসলাম।
নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার সময় সরাগী গ্রামের জব্বার, আজগর, বারেক সিকদার ও মোমরেজ সহ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকজন নিম্নমানের কাজের বাদা দিলেও সেটাকে কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে নিম্নমানের খোয়া গুলো গাড়িতে করে এনে ফেলার পর ভোর হলেই লেবার দিয়ে খোয়া রাস্তায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এসময় একাধিক পথচারী ব্যক্তিরাও জানান, নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং পোড়া মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারা আরো জানান, রাস্তার দুই পাশে কিছু কিছু জায়গায় এজিং এর ইটা বসানো হচ্ছে ইটের গুঁড়ায় কোন মাটি না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই ইট খসে পড়ে যাবে। নিম্নমানের খোয়া বা পোড়া মাটি দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই খোয়া ব্যবহারে নিষেধ করা সত্ত্বেও সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এলজিডির লোকদের সাথে সমন্বয় থাকার কারণেই তারা কাজটি এভাবে করছেন। এ কাজ দেখাশুনার জন্যও কোনো প্রকৌশলী আসলে তারা বলেন কাজ করতেছে এটাই বেশি।
শনিবার, (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাসড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে সরাগী হয়ে কাজিবাড়ী পর্যন্ত, এক হাজার ৮শত মিটার রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এদিকে রাস্তার মাথায় লোক দেখানো কিছু ভালো খোয়া ব্যবহার করা হয়। এরপর থেকে পুরো রাস্তায় ৫ ইঞ্চি খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে নিচে কিছুটা ভালো খোয়া দিয়ে উপরে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় নিম্নমানের পোড়া মাটির মতো মিশ্রিত খোয়া দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের কাজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কাজে বাদা দেওয়া হলেও কিছু দালালদের যোগসাজশে নিম্নমানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শফিক এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার মাসুম বলেন, খোয়া ভালো দেওয়া হচ্ছে কিন্তু এখন কোথায় এর চেয়ে ভালো খোয়া পাওয়া যাচ্ছে না। মেসার্স শফিক এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার শফিক এবিষয়ে জানান, দুই এক গাড়ি নিম্নমানের খোয়া যেতে পারে। এটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিম্নমানের খোয়া দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.. আক্তার হোসাইন বলেন, নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করলে আমরা কাজ বন্ধ করে দেবো বলে ফোন কেটে দেয়। এর পর তার কাছে রাস্তার কিলোমিটার এবং রাস্তা নির্মাণের ব্যয় মূল্যের বিষয়ে জানার জন্য একাধিক বার ফোনে চেষ্টা করলেও ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন এবিষয়ে বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ব্যবস্থা নিচ্ছি।