ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ক্রাইম জোন (অপরাধ প্রবণ) হিসেবে পরিচিত জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ককটেল, বিস্ফোরক, মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান।
ডিএমপির ডিসি তালেবুর রহমান জানান, অভিযানের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮টি ককটেল, ২টি পেট্রোল বোমা, ৫টি হেলমেট, তিনটি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ফোন ও ৫শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করছে: পুলিশ
৬-৭ মাসে তিন হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে:
ডিএমপির ডিসি
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, ‘এটি মোহাম্মদপুর থানার একটি আলোচিত স্থান। যেখানে নিয়মিতভাবে অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। মাদকের বিস্তারের জন্যও এলাকাটি পরিচিত।’
জেনেভা ক্যাম্পে নিয়িমিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় একযোগে ১২০ জন পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেকের নাম বলেছে বলে দাবি পুলিশের। তাদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বছর শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মাদকের কারবারের দখল নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছিল। ওই সময় যারা গ্রেপ্তার হয়েছিল, তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার মাদক কারবারে ‘দখল বা নিয়ন্ত্রণ’ নিতে সংঘাতে জড়াচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একের পর এক অভিযানের পরও জেনেভা ক্যাম্পে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না কেন - এমন প্রশ্নে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, ‘সব সময় আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি, কিন্তু নির্মূল করাতো সম্ভব না। মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী যারা আছে, আগেও তাদের নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। এরপরও চেষ্টা অব্যাহত আছে, আমরা হয়তো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছে যাব।’
জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ক্রিমিনাল জাস্টিসের একটা পার্ট। আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত প্রক্রিয়া আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করে থাকি। বাকি যে অংশটুকু আছে, সেটি অন্য সংস্থা করে থাকে। সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মন্তব্য করতে চায় না।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় একের পর এক অপরাধ ঘটেছে। গত ৬-৭ মাসে তিন হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। একের পর এক অভিযানের কারণে অপরাধীরা এক এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ক্রাইম জোন (অপরাধ প্রবণ) হিসেবে পরিচিত জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ককটেল, বিস্ফোরক, মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রোববার,(২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান।
ডিএমপির ডিসি তালেবুর রহমান জানান, অভিযানের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৮টি ককটেল, ২টি পেট্রোল বোমা, ৫টি হেলমেট, তিনটি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ফোন ও ৫শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করছে: পুলিশ
৬-৭ মাসে তিন হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে:
ডিএমপির ডিসি
রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, ‘এটি মোহাম্মদপুর থানার একটি আলোচিত স্থান। যেখানে নিয়মিতভাবে অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। মাদকের বিস্তারের জন্যও এলাকাটি পরিচিত।’
জেনেভা ক্যাম্পে নিয়িমিত অভিযানের ধারাবাহিকতায় একযোগে ১২০ জন পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেকের নাম বলেছে বলে দাবি পুলিশের। তাদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত বছর শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মাদকের কারবারের দখল নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়েছিল। ওই সময় যারা গ্রেপ্তার হয়েছিল, তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার মাদক কারবারে ‘দখল বা নিয়ন্ত্রণ’ নিতে সংঘাতে জড়াচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একের পর এক অভিযানের পরও জেনেভা ক্যাম্পে মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না কেন - এমন প্রশ্নে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, ‘সব সময় আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি, কিন্তু নির্মূল করাতো সম্ভব না। মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী যারা আছে, আগেও তাদের নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। এরপরও চেষ্টা অব্যাহত আছে, আমরা হয়তো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছে যাব।’
জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ক্রিমিনাল জাস্টিসের একটা পার্ট। আসামি গ্রেপ্তার, তদন্ত প্রক্রিয়া আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করে থাকি। বাকি যে অংশটুকু আছে, সেটি অন্য সংস্থা করে থাকে। সেখানে আমাদের কোনো হাত নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ মন্তব্য করতে চায় না।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদপুর এলাকায় একের পর এক অপরাধ ঘটেছে। গত ৬-৭ মাসে তিন হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। একের পর এক অভিযানের কারণে অপরাধীরা এক এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।’