ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারী ডিমলায় তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিষয়ে দৈনিক সংবাদে সম্প্রতি একাধিক সচিত্র খবর প্রকাশ হলে বুধবার,(২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। খগা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিসামতের চরে তিস্তা নদীতে ৩ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন কবির। অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ২৬ জন সদস্য এবং ডিমলা থানার পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযানে সহায়তা করেন।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে আসছে তিস্তা পাড়ের নদীভাঙা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে দায়সাড়া অবৈধ পাথর জব্দ করলেও সামান্যতম এর প্রভাব পড়েনি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ওপরে। তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙনের ভয়াবহতা রুদ্র আকার ধারণ করছে। প্রতিবছর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন রোধে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কার্যত তেমন সুফলে আসছে না। স্থানীয় সচেতন মহল দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি করে আসছে, দ্রুততম সময়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ভাঙতে আইন প্রয়োগ করে অভিযান পরিচালনার জন্য। তারা বলেছে যে, নাহলে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।
সূত্র জানায়, তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির নৈপথ্যে থাকা নেতারা এতই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে, তারা স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা করেই ক্ষমতার দাপটে শতাধিক নৌকাযোগে তিস্তা নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনে আকস্মিক বন্যা ও নদীভাঙন দেখা দেয় প্রতিবছর। আবাদি জমি, ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে দেধারছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও তেমন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারেনি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবৈধ পাথর উত্তোলনের কার্যকরি ভূমিকা না রাখায় পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আরও বেশি চরম বেপরোয়া হয়ে পড়ায় সম্প্রতি দৈনিক সংবাদে এ বিষয়ে একাধিক সচিত্র খবর প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। খবর প্রকাশের পর বুধবার তিন ঘণ্টাব্যাপী যৌথ অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে আসছিল, দীর্ঘদিন যাবৎ তিস্তা নদী ও সংলগ্ন এলাকায় মহা ধুমধামের সঙ্গে চলে আসছে পাথর উত্তোলন। এ অবৈধ কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় চক্রটির চক্রের হাতে শারীরিক লাঞ্ছিতসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকে। সর্বপরি তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনে অভয় স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। পাথরখেকো ওই চক্রটি দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকা পালন করার অভিযোগ রয়েছে তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের। ডিমলার সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নীলফামারী ডিমলায় তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিষয়ে দৈনিক সংবাদে সম্প্রতি একাধিক সচিত্র খবর প্রকাশ হলে বুধবার,(২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) তিস্তা নদীতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। খগা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের কিসামতের চরে তিস্তা নদীতে ৩ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রওশন কবির। অভিযানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ২৬ জন সদস্য এবং ডিমলা থানার পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযানে সহায়তা করেন।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। দীর্ঘদিন ধরে চক্রটির করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবি জানিয়ে আসছে তিস্তা পাড়ের নদীভাঙা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে দায়সাড়া অবৈধ পাথর জব্দ করলেও সামান্যতম এর প্রভাব পড়েনি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির ওপরে। তিস্তা নদী থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙনের ভয়াবহতা রুদ্র আকার ধারণ করছে। প্রতিবছর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভাঙন রোধে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কার্যত তেমন সুফলে আসছে না। স্থানীয় সচেতন মহল দীর্ঘদিন যাবৎ দাবি করে আসছে, দ্রুততম সময়ে তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট ভাঙতে আইন প্রয়োগ করে অভিযান পরিচালনার জন্য। তারা বলেছে যে, নাহলে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে।
সূত্র জানায়, তিস্তা নদী হতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী চক্রটির নৈপথ্যে থাকা নেতারা এতই শক্তিশালী ও বেপরোয়া যে, তারা স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা করেই ক্ষমতার দাপটে শতাধিক নৌকাযোগে তিস্তা নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে নদী থেকে পাথর তুলে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নির্বিচারে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীভাঙনে আকস্মিক বন্যা ও নদীভাঙন দেখা দেয় প্রতিবছর। আবাদি জমি, ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে দেধারছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও তেমন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারেনি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবৈধ পাথর উত্তোলনের কার্যকরি ভূমিকা না রাখায় পাথর উত্তোলনকারী চক্রটি আরও বেশি চরম বেপরোয়া হয়ে পড়ায় সম্প্রতি দৈনিক সংবাদে এ বিষয়ে একাধিক সচিত্র খবর প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। খবর প্রকাশের পর বুধবার তিন ঘণ্টাব্যাপী যৌথ অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ১৩টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা বিনষ্ট করা হয় এবং পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে আসছিল, দীর্ঘদিন যাবৎ তিস্তা নদী ও সংলগ্ন এলাকায় মহা ধুমধামের সঙ্গে চলে আসছে পাথর উত্তোলন। এ অবৈধ কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় চক্রটির চক্রের হাতে শারীরিক লাঞ্ছিতসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকে। সর্বপরি তিস্তা নদীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনে অভয় স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। পাথরখেকো ওই চক্রটি দুর্দান্ত ক্ষমতার দাপটে স্থানীয় প্রশাসন অসহায় ও নির্বিকারের ভূমিকা পালন করার অভিযোগ রয়েছে তিস্তা হতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের। ডিমলার সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।