নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঋণ দেয়ার নামে জামানত নিয়ে উধাও এই দুজন -সংবাদ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় “আকিজ গ্রুপ ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি” নামে একটি সংস্থা গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঋণ নিতে আসা গ্রাহকরা অফিসে গিয়ে দেখেন, কর্মকর্তারা আসবাবপত্রসহ পুরো অফিস গুটিয়ে পালিয়েছে।
আকিজ গ্রুপের নামে এখানে কোনো এনজিও নেই, জানান উপজেলা সমাজসেবা এবং উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা
এ ঘটনায় অনেক গ্রাহক কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রাহক সংগ্রহ করে সংস্থাটি ঋণ দেয়ার নামে ১০ শতাংশ করে জামানত নিত। কোম্পানীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার হিসেবে গ্রাহকদের কাছে আমিনুল ইসলাম জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে আবেদন নিত। এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের খান সাহেবের বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া নেওয়া রুমে তারা অফিস চালাত। বৃহস্পতিবার, গ্রাহকরা ঋণ নিতে গেলে দেখেন অফিস খালি, আসবাবপত্রও নেই। ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, “ব্যবসার অবস্থা ভালো না। কম মুনাফায় ঋণ দেবেন বলে আমি ৩ লাখ টাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা জামানত দিয়েছিলাম। ঋণ দেয়ার দিন গিয়ে দেখি কেউ নেই।”
বসুরহাট পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন জানান, “ঋণ নেওয়ার জন্য জামানত দিয়েছিলাম, এখন শুনছি তারা উধাও হয়ে গেছে।”
ভাড়া দেওয়া বাসার মালিক টিপু মিয়া বলেন, “আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি আমাদের তৃতীয় তলার খালি রুম ভাড়া নিতে এলো। তারা আসবাবপত্র রেখে অফিস পরিচয় দেখিয়ে উধাও হয়েছে। তারা জেলা ও ঢাকার অতিথি আসবে বলে সময় চেয়েছিল।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, “আকিজ গ্রুপের নামে এখানে কোনো এনজিও নেই। মানুষকে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। টাকা দেওয়ার আগে কাগজপত্র যাচাই করা জরুরি।”
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা স্মৃতি প্রভা নন্দীও বলেন, “আমাদের দফতরেও আকিজ গ্রুপ নামে কোনো নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নেই।”
শতাধিক গ্রাহক এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং তারা দ্রুত অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছেন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঋণ দেয়ার নামে জামানত নিয়ে উধাও এই দুজন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় “আকিজ গ্রুপ ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি” নামে একটি সংস্থা গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার, (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঋণ নিতে আসা গ্রাহকরা অফিসে গিয়ে দেখেন, কর্মকর্তারা আসবাবপত্রসহ পুরো অফিস গুটিয়ে পালিয়েছে।
আকিজ গ্রুপের নামে এখানে কোনো এনজিও নেই, জানান উপজেলা সমাজসেবা এবং উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা
এ ঘটনায় অনেক গ্রাহক কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রাহক সংগ্রহ করে সংস্থাটি ঋণ দেয়ার নামে ১০ শতাংশ করে জামানত নিত। কোম্পানীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার হিসেবে গ্রাহকদের কাছে আমিনুল ইসলাম জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে আবেদন নিত। এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
বসুরহাট পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের খান সাহেবের বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া নেওয়া রুমে তারা অফিস চালাত। বৃহস্পতিবার, গ্রাহকরা ঋণ নিতে গেলে দেখেন অফিস খালি, আসবাবপত্রও নেই। ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, “ব্যবসার অবস্থা ভালো না। কম মুনাফায় ঋণ দেবেন বলে আমি ৩ লাখ টাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা জামানত দিয়েছিলাম। ঋণ দেয়ার দিন গিয়ে দেখি কেউ নেই।”
বসুরহাট পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন জানান, “ঋণ নেওয়ার জন্য জামানত দিয়েছিলাম, এখন শুনছি তারা উধাও হয়ে গেছে।”
ভাড়া দেওয়া বাসার মালিক টিপু মিয়া বলেন, “আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি আমাদের তৃতীয় তলার খালি রুম ভাড়া নিতে এলো। তারা আসবাবপত্র রেখে অফিস পরিচয় দেখিয়ে উধাও হয়েছে। তারা জেলা ও ঢাকার অতিথি আসবে বলে সময় চেয়েছিল।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, “আকিজ গ্রুপের নামে এখানে কোনো এনজিও নেই। মানুষকে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। টাকা দেওয়ার আগে কাগজপত্র যাচাই করা জরুরি।”
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা স্মৃতি প্রভা নন্দীও বলেন, “আমাদের দফতরেও আকিজ গ্রুপ নামে কোনো নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নেই।”
শতাধিক গ্রাহক এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং তারা দ্রুত অভিযুক্তদের বিচার দাবি করছেন।