ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
যশোরের অভয়নগরে চোর সন্দেহে নসিব তালুকদার (৫১) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নিহতের স্ত্রী তানিয়া বেগম ওরফে পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নসিব তালুকদার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সাবোখালী গ্রামের হামিদ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে বাপ্পি তালুকদারকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নলামারা গ্রামের তিন ভাই- গোবিন্দ বিশ্বাস, প্রদীপ বিশ্বাস ও তারাপদ বিশ্বাস। অন্যজন একই গ্রামের উত্তম দত্ত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত নসিব তালুকদার পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে চা পানের উদ্দেশে শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর বাজারে যান। পরদিন সকালে নিহতের স্ত্রী লোক মারফত জানতে পারেন তার স্বামীর মরদেহ পার্শ্ববর্তী সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পড়ে রয়েছে। কে বা কারা তার স্বামীকে মৎস্যঘেরের মাছ চুরির অপবাদে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে নলামারা গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের মৎস্যঘেরে মাছ চুরি করার সময় স্থানীয় মাছ শিকারিরা নসিব তালুকদারকে ধাওয়া দিলে সে পালিয়ে যায়। সকালে নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মাছ ব্যবসায়ী নসিব তালুকদার হত্যার ঘটনায় গত শুক্রবার তার স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামি আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যশোরের অভয়নগরে চোর সন্দেহে নসিব তালুকদার (৫১) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নিহতের স্ত্রী তানিয়া বেগম ওরফে পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত নসিব তালুকদার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সাবোখালী গ্রামের হামিদ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে বাপ্পি তালুকদারকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নলামারা গ্রামের তিন ভাই- গোবিন্দ বিশ্বাস, প্রদীপ বিশ্বাস ও তারাপদ বিশ্বাস। অন্যজন একই গ্রামের উত্তম দত্ত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত নসিব তালুকদার পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে চা পানের উদ্দেশে শুভরাড়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর বাজারে যান। পরদিন সকালে নিহতের স্ত্রী লোক মারফত জানতে পারেন তার স্বামীর মরদেহ পার্শ্ববর্তী সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পড়ে রয়েছে। কে বা কারা তার স্বামীকে মৎস্যঘেরের মাছ চুরির অপবাদে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে নলামারা গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের মৎস্যঘেরে মাছ চুরি করার সময় স্থানীয় মাছ শিকারিরা নসিব তালুকদারকে ধাওয়া দিলে সে পালিয়ে যায়। সকালে নলামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মাছ ব্যবসায়ী নসিব তালুকদার হত্যার ঘটনায় গত শুক্রবার তার স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও অন্যান্য আসামি আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’