ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী গোষ্ঠী সিলেট-আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে কনডেনসেট চুরি করে আসছে। এসব চুরির ঘটনা নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
জানা যায়, এ চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, নামধারী ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে তথাকথিত কিছু সাংবাদিকও জড়িত।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের শাসন ইলামপাড়া গ্রামে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরন বাংলাদেশ লিমিটেডের পাইপলাইনে দুর্বৃত্তরা অবৈধভাবে ট্যাপিং করার সময় ছিদ্র দিয়ে গ্যাসীয় তরল বেরিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কনডেনসেট জৈতাছড়া ( ছোট নদী) -এর পানির স্রোতের সাথে মিশে যাওয়ায় পানিতে ভেসে ওঠা মাছগুলো সংগ্রহ করতে এসে স্থানীয় এক পরিবারের তিনজন সদস্য আকস্মিকভাবে অগ্নিদগ্ধ হন। প্রথমে তাদের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার হাসপাতাল, পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাদেরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের পিতা ও পুত্রের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, স্থানীয় বাসিন্দা বশির মিয়া (৫০) ও তাঁর ছেলে রেদোয়ান মিয়া (২০)। পরিবারের আরেক সদস্য এখনো আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
শেভরনের মতো বহুজাতিক কোম্পানির পাইপলাইন কিভাবে এত সহজে ছিদ্র করা সম্ভব হলো কেন তা আগেভাগে শনাক্ত হলো না ? পাইপলাইনের মনিটরিং সিস্টেম কতটা কার্যকর ছিল এসব প্রশ্ন এখন আলোচনায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনডেনসেট অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ; সামান্য ফাঁসও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেভরনের এক কর্মচারী বলেন, দুর্বৃত্তরা ১২ ইঞ্চি পাইপ ছিদ্র করে তেল বের করার চেষ্টা করে। পরে পাইপের সেই ছিদ্র আর বন্ধ হচ্ছিল না। এ লাইনে অনেক প্রেসার থাকে। পরে ছিদ্রকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। শেভরন বাংলাদেশের মিডিয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।”
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রশাসনের ভূমিকা শুধু তাৎক্ষণিক সহায়তায় সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ তেলচুরি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী গোষ্ঠী সিলেট-আশুগঞ্জসহ বিভিন্ন পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে কনডেনসেট চুরি করে আসছে। এসব চুরির ঘটনা নিয়ে অতীতে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
জানা যায়, এ চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, নামধারী ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে তথাকথিত কিছু সাংবাদিকও জড়িত।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের শাসন ইলামপাড়া গ্রামে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরন বাংলাদেশ লিমিটেডের পাইপলাইনে দুর্বৃত্তরা অবৈধভাবে ট্যাপিং করার সময় ছিদ্র দিয়ে গ্যাসীয় তরল বেরিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কনডেনসেট জৈতাছড়া ( ছোট নদী) -এর পানির স্রোতের সাথে মিশে যাওয়ায় পানিতে ভেসে ওঠা মাছগুলো সংগ্রহ করতে এসে স্থানীয় এক পরিবারের তিনজন সদস্য আকস্মিকভাবে অগ্নিদগ্ধ হন। প্রথমে তাদের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার হাসপাতাল, পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাদেরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের পিতা ও পুত্রের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, স্থানীয় বাসিন্দা বশির মিয়া (৫০) ও তাঁর ছেলে রেদোয়ান মিয়া (২০)। পরিবারের আরেক সদস্য এখনো আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
শেভরনের মতো বহুজাতিক কোম্পানির পাইপলাইন কিভাবে এত সহজে ছিদ্র করা সম্ভব হলো কেন তা আগেভাগে শনাক্ত হলো না ? পাইপলাইনের মনিটরিং সিস্টেম কতটা কার্যকর ছিল এসব প্রশ্ন এখন আলোচনায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কনডেনসেট অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ; সামান্য ফাঁসও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেভরনের এক কর্মচারী বলেন, দুর্বৃত্তরা ১২ ইঞ্চি পাইপ ছিদ্র করে তেল বের করার চেষ্টা করে। পরে পাইপের সেই ছিদ্র আর বন্ধ হচ্ছিল না। এ লাইনে অনেক প্রেসার থাকে। পরে ছিদ্রকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। শেভরন বাংলাদেশের মিডিয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।”
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রশাসনের ভূমিকা শুধু তাৎক্ষণিক সহায়তায় সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবৈধ তেলচুরি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।