ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোছা. সুমাইয়া খাতুন (২৭) নামে এক অসহায় নারী নিজের নবজাতক সন্তান বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে স্বামী আলামিন মারা যাওয়ার পর থেকে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছিলেন সুমাইয়া। এ অবস্থায় তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আনারুলের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। ঋণের চাপ সামলাতে না পেরে চাচাতো বোন জান্নাতুলের সহযোগিতায় কুমিল্লার জাহিদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নবজাতক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মহেশপুরের পিয়ারলেস প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। এরপর বুধবার,(০১ অক্টোবর ২০২৫) রাত ১টার দিকে কুমিল্লা থেকে আসা ক্রেতা নবজাতকটি নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, কোনো আদালতের অনুমোদন বা অ্যাফিডেভিট ছাড়াই শিশুটি ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
হাসপাতাল মালিক সেলিম রেজা বাবু দাবি করেন, ‘সিজারের পর রোগীর দেখাশোনা ছাড়া আমার কিছু করার নেই। রোগী যদি কারও সঙ্গে আপোস করে সন্তান দিয়ে দেয়, তার দায় আমার নয়।’
তবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। শিশু বিক্রির অপরাধে হাসপাতালের মালিক সেলিম রেজা বাবুকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে হাসপাতালের আয়া ইসমত আরাকে পুলিশের নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালে একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে, অনুমোদিত লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম, ডিপ্লোমা নার্সের পরিবর্তে আয়া দিয়ে চিকিৎসা, পর্যাপ্ত রুম ও সুবিধার অভাব।
ঘটনার সময় অপারেশন থিয়েটারে চারজন রোগীর সিজার চলছিল। পরে তিনজনকে রিলিজ দেয়া হয় এবং নবজাতক বিক্রির ঘটনায় জড়িত রোগীকে মহেশপুর সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা আক্তার বলেন, ‘ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় হাসপাতাল মালিককে জেল-জরিমানা করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও হেলেনা আক্তার নিপা জানান, ‘আমরা সরেজমিনে গিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। তাই ইউএনও মহোদয়াকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল সিলগালা করেছি এবং মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোছা. সুমাইয়া খাতুন (২৭) নামে এক অসহায় নারী নিজের নবজাতক সন্তান বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে স্বামী আলামিন মারা যাওয়ার পর থেকে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছিলেন সুমাইয়া। এ অবস্থায় তিনি স্থানীয় প্রভাবশালী আনারুলের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। ঋণের চাপ সামলাতে না পেরে চাচাতো বোন জান্নাতুলের সহযোগিতায় কুমিল্লার জাহিদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নবজাতক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মহেশপুরের পিয়ারলেস প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। এরপর বুধবার,(০১ অক্টোবর ২০২৫) রাত ১টার দিকে কুমিল্লা থেকে আসা ক্রেতা নবজাতকটি নিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, কোনো আদালতের অনুমোদন বা অ্যাফিডেভিট ছাড়াই শিশুটি ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
হাসপাতাল মালিক সেলিম রেজা বাবু দাবি করেন, ‘সিজারের পর রোগীর দেখাশোনা ছাড়া আমার কিছু করার নেই। রোগী যদি কারও সঙ্গে আপোস করে সন্তান দিয়ে দেয়, তার দায় আমার নয়।’
তবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। শিশু বিক্রির অপরাধে হাসপাতালের মালিক সেলিম রেজা বাবুকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে হাসপাতালের আয়া ইসমত আরাকে পুলিশের নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালে একাধিক অনিয়ম ধরা পড়ে, অনুমোদিত লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম, ডিপ্লোমা নার্সের পরিবর্তে আয়া দিয়ে চিকিৎসা, পর্যাপ্ত রুম ও সুবিধার অভাব।
ঘটনার সময় অপারেশন থিয়েটারে চারজন রোগীর সিজার চলছিল। পরে তিনজনকে রিলিজ দেয়া হয় এবং নবজাতক বিক্রির ঘটনায় জড়িত রোগীকে মহেশপুর সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাদিজা আক্তার বলেন, ‘ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় হাসপাতাল মালিককে জেল-জরিমানা করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে।’ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও হেলেনা আক্তার নিপা জানান, ‘আমরা সরেজমিনে গিয়ে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। তাই ইউএনও মহোদয়াকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল সিলগালা করেছি এবং মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’