alt

এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং মামলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনা ট্রান্সপোর্টের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় এনায়েত উল্লাহ ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

বিএনপির রাজনীতি দিয়ে শুরু, আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বেপরোয়া হয়: সিআইডি

একটি পুরান গাড়ি থেকে ২০টি বাসের মালিক

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজি ও আধিপত্য খাটিয়ে অর্জিত বিপুল অবৈধ সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট থেকে বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) রমনা থানায় এই মামলা করা হয় বলে জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

এ বিষয়ে সিআইডির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নিজেদের অনুসন্ধানের বরাতে সিআইডি জানায়, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৯৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা জমা হয়েছে। আর এসব হিসাব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ২ হাজার ৭ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ‘এনা ট্রান্সপোর্ট’-এর ৪৩টি হিসাবে জমা হয় ৯৩৪ কোটি টাকা। ‘এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’-এর ৮টি হিসাবে জমা ৪১০ কোটি টাকা এবং এনায়েত উল্লাহর ব্যক্তিগত ৭৪টি হিসাবে জমা হয় ৪৫৯ কোটি টাকা।

সিআইডি জানায়, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত এই বিপুল অর্থ অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ‘স্ট্রাকচারিং’ বা ‘স্মার্ট লেয়ারিং’ কৌশল ব্যবহার করে নানা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ১০৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ জব্দের নির্দেশ অনুসন্ধান চলাকালে আদালতের আদেশে এনায়েত উল্লাহর ধানমন্ডির দুটি ফ্ল্যাট এবং রূপগঞ্জের দুটি প্লট ক্রোক (জব্দ) করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা। এছাড়া তার ও সহযোগীদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে স্থিতি রয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা।

একটি পুরান গাড়ি থেকে ২০টি বাসের মালিক

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আশির দশকের পরে পরিবহন সেক্টরে আসেন। পার্টনারশিপে একটি পুরাতন বাস কেনার মাধ্যমে তার ব্যবসার সূচনা হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি ২০টি বাসের মালিক হয়ে ওঠেন।

অল্প সময়েই তিনি পরিবহন মালিকদের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেন। এরপর তার আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব বাড়িয়ে নেন।

প্রথমে বিএনপির রাজনীতি, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও ছিলেন। এই রাজনৈতিক পরিচয় খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিবের দায়িত্বে থাকেন।

এই দীর্ঘ সময়ে তিনি সংগঠনের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং পরিবহন সেক্টরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধে পরিবহন সচল রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি সংবাদ শিরোনামে থাকলেও নিজের কোম্পানির বাসগুলো রাস্তায় নামাতেন না। চাঁদাবাজি কার্যক্রমগুলো ছিল অত্যন্ত সংগঠিত। এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিভিন্ন অজুহাতে বাস মালিকদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করতো। সিআইডির তথ্য বলছে, দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক চাঁদাও নেয়া হতো। নতুন বাস কোনো রুটে নামাতে হলে ২-৫ লাখ টাকা দিতে হতো। নতুন বাস কেনার সময় মালিকদের সেই বাসের একটি ভাগও এনায়েতকে দিতে বাধ্য করা হতো, নইলে বাসটি সড়কে চলতে পারতো না।

ঢাকার প্রতিটি বাস টার্মিনাল তার নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেও সিআইডির তদন্তে উঠে আসে। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশের বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিগুলো থেকেও জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হতো। সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে তিনি পরিবহন সেক্টরে ত্রাসের রাজত্ব চালাতেন বলেও জানায় সিআইডি।

ট্রাইব্যুনালে ফজলুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

ছবি

বিমানে চিকিৎসক নিয়োগে ‘অনিয়মের’ অভিযোগ

ছবি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দের আদেশ, ব্যাংকে ৫৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

ছবি

কালিহাতীতে কিশোরীকে ধর্ষণ, মা ও মেয়েকে ধর্ষকের পরিবারের মারধর

নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছিলেন শেখ হাসিনা: সিলেটে দুদক চেয়ারম্যান

ছবি

রিকশা চালককে থানায় আটকে নির্যাতন, এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

মানিলন্ডারিং: সাকিবকে দুদকে তলব

ছবি

নবাবগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

ছবি

আদালতে জবানবন্দি: জুবায়েদের ছাত্রী সৈকতকে জানায়, ‘ভাইরে কে জানি মাইরা ফেলছে’

ছবি

সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলায় আসামী অধরা

ছবি

সৈয়দপুরে প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণ মামলায় আসামী অধরা

ছবি

দৌলতপুরে চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

ছবি

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও তার স্ত্রীর ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু

ছবি

সীমান্তবর্তী জেলায় মহাসড়কে ডাকাতি, ১০ মাসে ৫৯৪টি ডাকাতির মামলা

ছবি

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডির বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

প্রসিকিউশন ভবনের সামনে ককটেল সদৃশ্য ‘বোমা’ নিক্ষেপ

ছবি

১০ মাসে সারাদেশে ৩,২৩০ হত্যাকাণ্ড

ছবি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মসজিদের ইমামের স্ত্রীকে হত্যা

ছবি

মামুন হত্যা: ৫ দিন পর মামলা, আসামি ‘অজ্ঞাত’

ছবি

৩৫৮ কোটি টাকা ‘ক্ষতি’, রেলের সাবেক ডিজিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

চট্টগ্রামে মোবাইল মেকানিককে হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

ছবি

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন

ছবি

কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

ছবি

যশোরে বোমা, ছুরি ও তলোয়ারসহ আটক ১

ছবি

হাইকোর্টের সামনে খণ্ডিত লাশ: ‘প্রেমঘটিত সংকট’ বলছে ডিবি

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারার’ হুমকি

ছবি

বিচারকের ছেলে হত্যা মামলা: লিমন মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড, পুলিশ কমিশনারকে আদালতের নোটিশ

সখীপুরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে অব্যাহতি

ছবি

মোহনপুরে শটগান, স্পিড বোর্টসহ ৫ ডাকাত আটক

ছবি

চট্টগ্রামে জালিয়াতির অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কচুয়ায় গণ-ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ১৭ নভেম্বর

ছবি

‘অর্থ পাচার’: স্ত্রীসহ মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

tab

এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে সিআইডির মানিলন্ডারিং মামলা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনা ট্রান্সপোর্টের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪(২) ধারায় এনায়েত উল্লাহ ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

বিএনপির রাজনীতি দিয়ে শুরু, আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বেপরোয়া হয়: সিআইডি

একটি পুরান গাড়ি থেকে ২০টি বাসের মালিক

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজি ও আধিপত্য খাটিয়ে অর্জিত বিপুল অবৈধ সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট থেকে বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) রমনা থানায় এই মামলা করা হয় বলে জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

এ বিষয়ে সিআইডির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

নিজেদের অনুসন্ধানের বরাতে সিআইডি জানায়, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৯৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ২ হাজার ১৩১ কোটি টাকা জমা হয়েছে। আর এসব হিসাব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ২ হাজার ৭ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ‘এনা ট্রান্সপোর্ট’-এর ৪৩টি হিসাবে জমা হয় ৯৩৪ কোটি টাকা। ‘এনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’-এর ৮টি হিসাবে জমা ৪১০ কোটি টাকা এবং এনায়েত উল্লাহর ব্যক্তিগত ৭৪টি হিসাবে জমা হয় ৪৫৯ কোটি টাকা।

সিআইডি জানায়, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত এই বিপুল অর্থ অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ‘স্ট্রাকচারিং’ বা ‘স্মার্ট লেয়ারিং’ কৌশল ব্যবহার করে নানা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ১০৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা পাচার করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ জব্দের নির্দেশ অনুসন্ধান চলাকালে আদালতের আদেশে এনায়েত উল্লাহর ধানমন্ডির দুটি ফ্ল্যাট এবং রূপগঞ্জের দুটি প্লট ক্রোক (জব্দ) করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা। এছাড়া তার ও সহযোগীদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে স্থিতি রয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা।

একটি পুরান গাড়ি থেকে ২০টি বাসের মালিক

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আশির দশকের পরে পরিবহন সেক্টরে আসেন। পার্টনারশিপে একটি পুরাতন বাস কেনার মাধ্যমে তার ব্যবসার সূচনা হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি ২০টি বাসের মালিক হয়ে ওঠেন।

অল্প সময়েই তিনি পরিবহন মালিকদের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেন। এরপর তার আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব বাড়িয়ে নেন।

প্রথমে বিএনপির রাজনীতি, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও ছিলেন। এই রাজনৈতিক পরিচয় খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে আরও বেপরোয়া করে তুলেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিবের দায়িত্বে থাকেন।

এই দীর্ঘ সময়ে তিনি সংগঠনের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং পরিবহন সেক্টরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধে পরিবহন সচল রাখার ঘোষণা দিয়ে তিনি সংবাদ শিরোনামে থাকলেও নিজের কোম্পানির বাসগুলো রাস্তায় নামাতেন না। চাঁদাবাজি কার্যক্রমগুলো ছিল অত্যন্ত সংগঠিত। এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিভিন্ন অজুহাতে বাস মালিকদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করতো। সিআইডির তথ্য বলছে, দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক চাঁদাও নেয়া হতো। নতুন বাস কোনো রুটে নামাতে হলে ২-৫ লাখ টাকা দিতে হতো। নতুন বাস কেনার সময় মালিকদের সেই বাসের একটি ভাগও এনায়েতকে দিতে বাধ্য করা হতো, নইলে বাসটি সড়কে চলতে পারতো না।

ঢাকার প্রতিটি বাস টার্মিনাল তার নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেও সিআইডির তদন্তে উঠে আসে। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশের বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিগুলো থেকেও জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হতো। সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে তিনি পরিবহন সেক্টরে ত্রাসের রাজত্ব চালাতেন বলেও জানায় সিআইডি।

back to top