সিলেটে এক যুবককে অপহরণের পর বিবস্ত্র করে হাত-পা বেঁধে ভিডিও কলে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই কানাইঘাট থানার সোনারখেওড় গ্রামের মো. ইব্রাহীম সোমবার, (০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার এবং এয়ারপোর্ট থানায় পৃথক অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, তার ছোট ভাই বুরহান উদ্দিন গতকাল রোববার সকালে একটি নারী ও শিশু মামলার হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে সিলেটের আদালতে আসেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুরহান উদ্দিন নিজ নম্বর থেকে বড় ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, কানাইঘাটের নারায়নপুর এলাকার করিম উদ্দিন (৩০) ও জকিগঞ্জের রনি (৪০) সহ ৫-৬ জন তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। সেখানে তাকে উলঙ্গ করে হাত-পা বেঁধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৮ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বুরহান উদ্দিনের পরিবারের লোকজনকে ভিডিও কলে তার নির্যাতনের দৃশ্য দেখায় এবং বারবার অর্থ প্রদানের জন্য চাপ দেয়। নগদ তিন লাখ টাকা করিম উদ্দিনের বাড়িতে এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। এ সময় তিনটি বিকাশ নম্বরও সরবরাহ করা হয়।
বড় ভাই মো. ইব্রাহীম জানান, রাতেই তিনি তার আত্মীয়ের সঙ্গে কোতোয়ালী মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান তদারকির পর জানানো হয়, ঘটনাটি এয়ারপোর্ট থানার আওতাধীন। পরে তাকে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেয়া হয়।
পরিবারের দাবি, রাতভর ভিডিও কলে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে আসামিরা হুমকি দিতে থাকে যে সোমবার (সোমবার) সকাল ৭টার মধ্যে টাকা না পেলে বুরহান উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। এ পরিস্থিতিতে জীবনরক্ষার আকুতি জানিয়ে পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।
সোমবার বিকেলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এসআই বিধান নামের এক কর্মকর্তাকে ভিকটিম উদ্ধারে অভিযানে নামানো হয়েছে। সঙ্গে র্যাব-৯ এর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে র্যাব ও পুলিশ উভয়েই এ অভিযোগটি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সিলেটে এক যুবককে অপহরণের পর বিবস্ত্র করে হাত-পা বেঁধে ভিডিও কলে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই কানাইঘাট থানার সোনারখেওড় গ্রামের মো. ইব্রাহীম সোমবার, (০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার এবং এয়ারপোর্ট থানায় পৃথক অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, তার ছোট ভাই বুরহান উদ্দিন গতকাল রোববার সকালে একটি নারী ও শিশু মামলার হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে সিলেটের আদালতে আসেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বুরহান উদ্দিন নিজ নম্বর থেকে বড় ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, কানাইঘাটের নারায়নপুর এলাকার করিম উদ্দিন (৩০) ও জকিগঞ্জের রনি (৪০) সহ ৫-৬ জন তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। সেখানে তাকে উলঙ্গ করে হাত-পা বেঁধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৮ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বুরহান উদ্দিনের পরিবারের লোকজনকে ভিডিও কলে তার নির্যাতনের দৃশ্য দেখায় এবং বারবার অর্থ প্রদানের জন্য চাপ দেয়। নগদ তিন লাখ টাকা করিম উদ্দিনের বাড়িতে এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। এ সময় তিনটি বিকাশ নম্বরও সরবরাহ করা হয়।
বড় ভাই মো. ইব্রাহীম জানান, রাতেই তিনি তার আত্মীয়ের সঙ্গে কোতোয়ালী মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান তদারকির পর জানানো হয়, ঘটনাটি এয়ারপোর্ট থানার আওতাধীন। পরে তাকে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেয়া হয়।
পরিবারের দাবি, রাতভর ভিডিও কলে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে আসামিরা হুমকি দিতে থাকে যে সোমবার (সোমবার) সকাল ৭টার মধ্যে টাকা না পেলে বুরহান উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে। এ পরিস্থিতিতে জীবনরক্ষার আকুতি জানিয়ে পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।
সোমবার বিকেলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর এসআই বিধান নামের এক কর্মকর্তাকে ভিকটিম উদ্ধারে অভিযানে নামানো হয়েছে। সঙ্গে র্যাব-৯ এর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে র্যাব ও পুলিশ উভয়েই এ অভিযোগটি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।