রাজধানীর শাহজাহানপুরে একমাস আগে সুরুবী আক্তার মাহফুজা নামে এক ?গৃহবধূকে হত্যার মামলায় তার স্বামী ‘নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে’ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেইসঙ্গে আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ আলম ওই ?গৃহবধূর দেবরকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী আশিকুর রহমান (২৬) ও দেবর সাইফুল ইসলামকে (২৪) গতকাল সোমবার পঞ্চগড়ের হাড়িভাঙা ইউনিয়নের বুকধুলিপাড়া সাকিনস্থ ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দুইজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার এসআই মহসিন তালুকদার। আশিকুর আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে সাইফুলকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। তার আইনজীবী তৈয়বুর রহমান জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি করেন। উভয়ের আবেদনের শুনানি নিয়ে পরে আদেশ দেয় পৃথক আদালত। প্রসিকিউশন বিভাগের এএসআই মামুন হোসেন এসব তথ্য দিয়েছেন। ‘ সম্পর্কের পর’ সুরুবী ও আশিকুরের বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালে। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর মালিবাগের বকশিবাগের একটি ভাড়া বাসা থেকে সুরুবীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিনই শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন তার বাবা নুরুল হক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর থেকে সুরবী ও তার স্বামীর মধ্যে ‘কলহ ছিল’। গত ১ নভেম্বর থেকে মালিবাগের বকশিবাগের বাসাটি তারা ভাড়া নেন। সেদিনই ওই বাসা থেকে তাদের ছেলেকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচরে নিয়ে যান সাইফুল (সুরুবীর দেবর)। এরপর গত ৩ নভেম্বর রাতে ‘আশিকুর ও তার সহযোগীরা’ মাহফুজাকে হত্যা করেন। লাশ বস্তাবন্দী করে পরদিন দুপুরে তারা পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে সুরুবীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকেন। দরজা ধাক্কানোর একপর্যায়ে সেটি খুলে যায়। বাসার ভেতরে প্লাস্টিকের বস্তায় লাশ বুঝতে পেরে তারা পুলিশ ডাকেন। এরপর পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজধানীর শাহজাহানপুরে একমাস আগে সুরুবী আক্তার মাহফুজা নামে এক ?গৃহবধূকে হত্যার মামলায় তার স্বামী ‘নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে’ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে মঙ্গলবার,(০২ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেইসঙ্গে আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ আলম ওই ?গৃহবধূর দেবরকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী আশিকুর রহমান (২৬) ও দেবর সাইফুল ইসলামকে (২৪) গতকাল সোমবার পঞ্চগড়ের হাড়িভাঙা ইউনিয়নের বুকধুলিপাড়া সাকিনস্থ ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দুইজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার এসআই মহসিন তালুকদার। আশিকুর আদালতে জবানবন্দি দিতে চাইলে তা রেকর্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অন্যদিকে সাইফুলকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। তার আইনজীবী তৈয়বুর রহমান জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি করেন। উভয়ের আবেদনের শুনানি নিয়ে পরে আদেশ দেয় পৃথক আদালত। প্রসিকিউশন বিভাগের এএসআই মামুন হোসেন এসব তথ্য দিয়েছেন। ‘ সম্পর্কের পর’ সুরুবী ও আশিকুরের বিয়ে হয়েছিল ২০১৯ সালে। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর মালিবাগের বকশিবাগের একটি ভাড়া বাসা থেকে সুরুবীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিনই শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন তার বাবা নুরুল হক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর থেকে সুরবী ও তার স্বামীর মধ্যে ‘কলহ ছিল’। গত ১ নভেম্বর থেকে মালিবাগের বকশিবাগের বাসাটি তারা ভাড়া নেন। সেদিনই ওই বাসা থেকে তাদের ছেলেকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচরে নিয়ে যান সাইফুল (সুরুবীর দেবর)। এরপর গত ৩ নভেম্বর রাতে ‘আশিকুর ও তার সহযোগীরা’ মাহফুজাকে হত্যা করেন। লাশ বস্তাবন্দী করে পরদিন দুপুরে তারা পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে সুরুবীর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকেন। দরজা ধাক্কানোর একপর্যায়ে সেটি খুলে যায়। বাসার ভেতরে প্লাস্টিকের বস্তায় লাশ বুঝতে পেরে তারা পুলিশ ডাকেন। এরপর পুলিশ গিয়ে সেটি উদ্ধার করে।