প্লট দুর্নীতি মামলায় আদালতের বিচার ও দণ্ডাদেশ নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক যে প্রশ্ন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তার জবাব দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার জনসংযোগ দপ্তরের মাধ্যমে দেয়া জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিস টিউলিপ সিদ্দিকের বিচার ও দণ্ড সংক্রান্ত মন্তব্য ও উদ্বেগ স্পষ্টভাবে পর্যালোচনার দাবি রাখে।
‘এ কারণে, একটি স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেছি।’ ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম গত সোমবার টিউলিপকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তার মা শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড এবং খালা শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও দেয়া হয়েছে ৫ বছর করে কারাদণ্ড।
মামলার অভিযোগ ছিল, ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও ‘সেই তথ্য গোপন করে আইন ভেঙে দুর্নীতির মাধ্যমে’ শেখ রেহানা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নেন। শেখ হাসিনা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে বোনকে প্লট বরাদ্দে ‘সহায়তা’ করেন। ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক তার মা রেহানাকে প্লট পাইয়ে দিতে খালা শেখ হাসিনাকে ‘প্রভাবিত’ করেন।
দুদকের করা এই মামলায় টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় গত এপ্রিলে তার আইনজীবী অভিযোগ করেন, দুদক ‘প্রামাণিক নথির ভিত্তিতে’ টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর কথা বললেও কোনো প্রামাণিক নথি উপস্থাপন করেনি। গত সোমবার নিজের দুই বছরের কারাদণ্ড হওয়ার রায়কে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘প্রতিহিংসা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার ভাষায়, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল ‘বিশৃঙ্খল, হাস্যকর ও প্রহসনমূলক’।
মামলার বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘অভিযোগে বলা হয়েছে আমি ব্রিটেনে বিরোধী দলের এমপি থাকাকালে আমার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার খালাকে রাজি করিয়েছি যেন তিনি আমার মাকে কোনো এক জায়গায় জমি কিনতে দেন। ‘আমার খালার বয়স আমার চেয়ে দুই গুণ। তিনি আমার চেয়ে বহু বেশি ক্ষমতাবান এবং আমার জন্মের আগ থেকেই তিনি রাজনীতি করেন। আমি জানতে চাই, আমি যে তাকে প্রভাবিত করেছি, তার কী প্রমাণ আছে? পুরো বিষয়টাই ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’ মতো মনে হয়, যা বিশৃঙ্খল, হাস্যকর ও সম্পূর্ণ প্রহসনমূলক।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্লট দুর্নীতি মামলায় আদালতের বিচার ও দণ্ডাদেশ নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক যে প্রশ্ন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তার জবাব দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার জনসংযোগ দপ্তরের মাধ্যমে দেয়া জবাবে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিস টিউলিপ সিদ্দিকের বিচার ও দণ্ড সংক্রান্ত মন্তব্য ও উদ্বেগ স্পষ্টভাবে পর্যালোচনার দাবি রাখে।
‘এ কারণে, একটি স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার নথিপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেছি।’ ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম গত সোমবার টিউলিপকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি তার মা শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড এবং খালা শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও দেয়া হয়েছে ৫ বছর করে কারাদণ্ড।
মামলার অভিযোগ ছিল, ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও ‘সেই তথ্য গোপন করে আইন ভেঙে দুর্নীতির মাধ্যমে’ শেখ রেহানা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নেন। শেখ হাসিনা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে বোনকে প্লট বরাদ্দে ‘সহায়তা’ করেন। ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক তার মা রেহানাকে প্লট পাইয়ে দিতে খালা শেখ হাসিনাকে ‘প্রভাবিত’ করেন।
দুদকের করা এই মামলায় টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় গত এপ্রিলে তার আইনজীবী অভিযোগ করেন, দুদক ‘প্রামাণিক নথির ভিত্তিতে’ টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর কথা বললেও কোনো প্রামাণিক নথি উপস্থাপন করেনি। গত সোমবার নিজের দুই বছরের কারাদণ্ড হওয়ার রায়কে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘প্রতিহিংসা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তার ভাষায়, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল ‘বিশৃঙ্খল, হাস্যকর ও প্রহসনমূলক’।
মামলার বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘অভিযোগে বলা হয়েছে আমি ব্রিটেনে বিরোধী দলের এমপি থাকাকালে আমার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার খালাকে রাজি করিয়েছি যেন তিনি আমার মাকে কোনো এক জায়গায় জমি কিনতে দেন। ‘আমার খালার বয়স আমার চেয়ে দুই গুণ। তিনি আমার চেয়ে বহু বেশি ক্ষমতাবান এবং আমার জন্মের আগ থেকেই তিনি রাজনীতি করেন। আমি জানতে চাই, আমি যে তাকে প্রভাবিত করেছি, তার কী প্রমাণ আছে? পুরো বিষয়টাই ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের’ মতো মনে হয়, যা বিশৃঙ্খল, হাস্যকর ও সম্পূর্ণ প্রহসনমূলক।’