সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতির’ অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার,(০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘আবদুল হামিদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখবিলাসের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা এবং সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প বাবদ রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
নিকুঞ্জের লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে আবদুল হামিদের ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে। সে বাড়ি ঘিরে সাজসজ্জায় অর্থ ব্যয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিল দুদক। দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদের সঙ্গে তার তিন ছেলের নামও রয়েছে অনুসন্ধানের তালিকায়। তারা হলেন সাবেক এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, রাসেল আহমেদ তুহিন ও রিয়াদ আহমেদ তুষার।
দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলে আরও রয়েছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন। দুদকের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
চলতি বছরের ২০ মার্চ একটি প্রত্রিকায় ‘হামিদের সুখবিলাসে গচ্চা ২৪ কোটি টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে হামিদের তিন তলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়ি। কর্নার প্লট হওয়ায় বাড়ির দুইদিক ফাঁকা। সামনের অংশে প্রবাহমান খাল। দুপাশে হাঁটার (ওয়াকওয়ে) বাঁধানো রাস্তা।
নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি ডেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ। দেশি-বিদেশি ফুল ও শৌখিন পাতাবাহারে সজ্জিত চারপাশ। ‘এমনকি খালের পানিতেও ভাসছে পদ্মফুল। সারি সারি খেজুর গাছ লেকের পাড় ঘেঁষে। গাছের খাঁজে খাঁজে নিয়মিত রস সংগ্রহের চিহ্ন। খালসংলগ্ন রাস্তা আলোকিত করতেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কিছুদূর পরপর বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাম্প পোস্ট।’