এম. জিয়াবুল হক, চকরিয়া (কক্সবাজার)

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সরকারি চিংড়ি এস্টেটে জমি বরাদ্দে অনিয়ম

৪৩ বছর ধরে প্লট দখলে আমলা-রাজনীতিকরা, বঞ্চিত স্থানীয় চাষিরা

image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সরকারি চিংড়ি এস্টেটে জমি বরাদ্দে অনিয়ম

৪৩ বছর ধরে প্লট দখলে আমলা-রাজনীতিকরা, বঞ্চিত স্থানীয় চাষিরা

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
এম. জিয়াবুল হক, চকরিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিলুপ্ত সুন্দরবনের সাত হাজার একর সরকারি জমিতে ১৯৮১-৮২ সালে গড়ে ওঠা সরকারি চিংড়ি এস্টেট— বা চিংড়িজোন— চার দশক পেরিয়ে এখন বিস্তৃত হয়েছে ২৫ হাজার একরেরও বেশি এলাকায়। সরকার ঘোষিত ১০ ও ১১ একরের মোট ৫৮৭টি প্লটের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যায়ে নতুন করে গড়ে ওঠা হাজারো প্লট মিলিয়ে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ মাছ উৎপাদনের শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তবে বরাদ্দনীতি ও ব্যবহার নিয়ে শুরু থেকেই অভিযোগ রয়েছে গুরুতর অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রভাবশালীদের দখলদারিত্বের।

সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে সরকারের গবেষণার ভিত্তিতে চকরিয়ার উপকূলীয় জলাভূমিকে পরিকল্পিতভাবে প্লটে ভাগ করে রপ্তানিমুখী চিংড়ি শিল্প গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৮১-৮২ সালে ৭ হাজার একর বনভূমি অধিগ্রহণ করে প্রকৃত চাষিদের চাষের জন্য হস্তান্তরের লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করা ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধি করা। কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় চাষিদের প্রাপ্তি ছিল সামান্য; বরাদ্দের বড় অংশ গেছে বহিরাগত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের কাছে।

চিংড়িজোনের বাসিন্দা ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টুর অভিযোগ, সরকার প্রকৃত চাষিদের হাতে প্লট দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে চাইলেও বরাদ্দ পেয়েছেন মূলত প্রভাবশালীরা। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে এবং স্থানীয় চাষিরা শ্রমিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন।

২০১৩ সালের নতুন নীতিমালায় ইজারায় অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছিল স্থানীয় ভূমিহীন ও প্রান্তিক চাষিদের। আবেদন, যাচাই-বাছাই, লটারি ও চুক্তির সব প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশও ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে ফের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অনেকেই প্লট নিয়ে চিংড়ি না চাষ করে লবণ চাষ, মৌসুমি মাছ চাষ, ইটভাটা ও অন্য ব্যবসায় ব্যবহার করছেন যা নীতিমালা লঙ্ঘন ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

টিআইবির অনুপ্রাণিত সংগঠন সনাকের সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান মাহমুদের মতে, চার দশক ধরে বরাদ্দে অনিয়ম চলমান। মাঠপর্যায়ে তদারকি দুর্বল থাকায় এবং নিয়ম ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না থাকায় পরিবেশও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাঁধ নির্মাণ, রাসায়নিক ব্যবহার ও সড়ক কাটা-পাথরের কারণে জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা বাড়ছে।

‘অপরাধ ও দুর্নীতি’ : আরও খবর

» দেশে ও লন্ডনে আনোয়ারুজ্জামানের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক

» ভৈরবে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৩০

» মাগুরায় প্রতিবন্ধী ছেলে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার

» ‘চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন: আসামি গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি’

» সাদা পাথর লুট: বিএনপি নেতাসহ কয়েকজনের সম্পদের খোঁজে দুদক

» ‘রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা ক্ষতি’, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

» ৬০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

» ব্যাগভর্তি জাল টাকা, হাসপাতালে বিল দেয়ার সময় আটক তিন

» আক্কেলপুরে যৌননিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষককে লাঞ্ছিত

» অনলাইনে বিনিয়োগের ফাঁদ, কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার

» জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

» আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ‘ধর্ষণ’: সহপাঠীসহ তিনজন রিমান্ডে

» বিচার ও রায় নিয়ে টিউলিপের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন দুদক চেয়ারম্যান

» ‘পরকীয়ার জেরে’ খুন হন বাউল শিল্পীর স্বামী, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৬

» ভাঙ্গুড়ায় নকল দুধ তৈরির অভিযোগে ব্যবসায়ীর তিন মাসের কারাদণ্ড

» গৃহবধূর বস্তাবন্দী লাশ: ‘দোষ স্বীকার করে’ জবানবন্দির পর স্বামী ও দেবর কারাগারে

» বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে পিস্তল হাতে ভাইরাল হওয়া সেই যুবক অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার

» অভ্যুত্থানের ১০৬ মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ

» সিলেটে যুবককে অপহরণের পর বিবস্ত্র করে ভিডিও কল: মুক্তিপণ দাবি

» আদালতের রায়কে ‘ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক’, বললেন টিউলিপ